আমার আমি

প্রতিদিনকার বেচাকেনা আর আমি তুমির বাজারে
আমি আমাকে হারিয়ে ফেলি!
আমি ভুলে যাই বর্ষা যায়,
আমার আর বৃষ্টি হয়ে উঠা হয়না,
আমি হিসেবের চাপে পিষ্ট হতে হতে এক্সেল সিট মেলাই
আর জানালার ওপাশে শরৎ যায়,
তুলোর মতো মেঘ হয়ে ভেসে যাওয়া হয় না আমার!
আমি রোজকার আমি তুমির ফর্দ মেলাতে গিয়ে,
কুয়াশা হয়ে ভেজাইনা হৃদয়!
আমি অসমাপ্ত সম্পর্কগুলো
গিলে ফেলতে গিয়ে গলায় চোরকাঁটা বানাই!
নতুন কাপড়, রঙ আর ছাপার গন্ধে
আমি ভুলে থাকি কামিনীর কামনা জড়ানো গন্ধ!
শুধু কাগজের সংখ্যা গুনতে গুনতে
ভীষণ রকম শব্দ খরা মাইগ্রেন নামক মোড়কে ফিরে আসে,
সকাল বিকালের চা’য়ের কাপে চুমুকে চুমুকে
জমা পড়ে অভিমানে জমানো কথার স্তুপ!
এতো হিসাব নিকাশের মাঝে ও
কি করে বোকা কিশোরী বুকের ভেতর থেকে
বেরিয়ে এসে বারবার বোঝাতে চায়
কেউ একজন আসবে রুপকথার গল্পের মতো,
বুঝবে না বলা সব মান অভিমান!
সোনার কাঠি রুপার কাঠি ছুঁয়ে কেউ
একদিন ঠিক মুক্ত করে নিয়ে যাবে
আমার আমিকে
যার একদিন বৃষ্টি হবার কথা ছিলো!

Related Articles
নিন্দিত কন্টকে নন্দিত কুসুম
নিন্দিত কন্টকে নন্দিত কুসুম আহা সুন্দর! হেরি সানন্দ পুলকে সৃজিত অম্বরে নির্জন নিঝুম আবির্ভাব অন্ধকার নিরালোকে। ভাবনার জোনাকি আলো পথ
আমাদের মাতৃভাষা
আমাদের মাতৃভাষা
আব্দুল মান্নান মল্লিক
ঝরে পড়া পুষ্প পাপড়ি,
তাইতো আজ রাস্তায় গড়াগড়ি।
কি মূল্য আছে বল! তোমাদের কাছে,
অধুনা এই নতুন সমাজে।
গজিয়ে ওঠা সবুজ পত্রে
নতুনের স্বাদে ও গন্ধে।
লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে নতুন পাতায়,
ভরিয়াছে বৈদেশিক শব্দে।
ছিল কি খুব বেশী প্রয়োজন?
তবে কেন এত আয়োজন?
নাট্য গল্প…
জোছনা রাতে বৃষ্টি পড়ে
জোছনা রাতে আকাশের গায়ে তারা ঝিকিমিকি করে, আম বাগানে চাঁদ উঠেছে সেথা জোছনার রাশি ঝরে। নয়ন দিঘির কালো জলে যখন