সে

সে কারো ভোরের প্রার্থনা, কোনো ঠোঁটের বলে যাওয়া অবিরত গুণগান! সে বনলতার চোখের পাতায় লেগে থাকা অপূর্ব শিশির! সে কুমারী মা মরিয়মের কোলে খেলা করা হাস্যজ্জল শিশুর মনোমুগ্ধকর দৃশ্য! সে এক অবুঝ বাউল মনের অভিমান, চোখে লালন করা হাজারো কথা!

গাঁয়ের পথে

গাঁয়ের পথে চলতে গেলেই পায়ে লাগে লাল ধূলো, গাঁয়ের পথে ঘেউ ঘেউ করে পাড়ার কুকুর গুলো। গাঁয়ের পথে উড়িয়ে ধূলো দৌড়ে চলে গোরুর গাড়ি, ক্যাঁচ কোঁচ্ কোচ শব্দ করে চাকা দুটো ডাক ছাড়ি। গাঁয়ের পথে মিনিবাস চলে আসে বহু যাত্রী

টের পাওনি

জগৎ টা কাউকে নিয়ে সাজাতে বলছো? জগৎ টা যে তুমি নিয়ে গেছো, টের পাওনি! নিথর দেহ টা কে বিক্রি করে দিতে চাও? ভেতর টা যে শূন্য করে দিয়েছো, টের পাওনি! সুখী দেখতে চাও আমায়? সারা জীবনের দুঃখ দিয়েছো, টের পাওনি!

বৈশাখ বন্দনা

এসো হে বৈশাখ এসো, এসো আজি এ ধরায়, বৈশাখের দাবদাহে প্রাণ কেঁদে মরে মরুতৃষায়। শোকাকুল মানব ত্রাহি ত্রাহি রবে করয়ে ক্রন্দন, তেজোদীপ্ত ভৈরবী মূর্তি লয়ে বৈশাখের আগমন।   এসো হে বৈশাখ, দিকে দিকে শুনি তব আহ্বান, বিশ্ব নিখিলে তৃষ্ণার্ত মানব

অন্ধবিচার

লিখেছেন: সন্তোষ কুমার মন্ডল

প্রথম প্রকাশ: KobioKobita.com

অবিজ্ঞ

লিখেছেন: সন্তোষ কুমার মন্ডল

প্রথম প্রকাশ: KobioKobita.com

হলুদ ঘোড়া

লিখেছেন: Niaz-Aziz

প্রথম প্রকাশ: Kobi

তবুও তুমি

লিখেছেন: জাহিদ আরেফিন

তবুও তুমি
_______জাহিদ আরেফিন
বিদীর্ণ তুমি, ক্ষণকালের মায়া মেখে সূর্যবেষ্টনীতে বন্ধি,
কত অনাদরে, -তবু প্রতিদানে আমার ভাঙা গৃহে জ্বালো
-সন্ধ্যা প্রদীপ,
আমি এমনি, শীতল মৃত্তিকায় হই আগ্নেয়গিরি।
তোমার আঁচল ভরে জ্বলন্ত লাভা আর আগুনের ফুলকিতে,
তাই আঁকড়ে স্বপ্ন দেখো,-জোনাক জ্বালো ফুলকিতে ।
আমি কেন …

প্রথম প্রকাশ: http://www.kobiokobita.com/2016/04/23/4375

আমাদের মাতৃভাষা

আমাদের মাতৃভাষা
আব্দুল মান্নান মল্লিক
ঝরে পড়া পুষ্প পাপড়ি,
তাইতো আজ রাস্তায় গড়াগড়ি।
কি মূল্য আছে বল! তোমাদের কাছে,
অধুনা এই নতুন সমাজে।
গজিয়ে ওঠা সবুজ পত্রে
নতুনের স্বাদে ও গন্ধে।
লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে নতুন পাতায়,
ভরিয়াছে বৈদেশিক শব্দে।
ছিল কি খুব বেশী প্রয়োজন?
তবে কেন এত আয়োজন?
নাট্য গল্প…

তুই কি আমার দুঃখ হবি?

তুই কি আমার দুঃখ হবি? এই আমি এক উড়নচন্ডী আউলা বাউল রুখো চুলে পথের ধুলো চোখের নীচে কালো ছায়া। সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি। তুই কি আমার দুঃখ হবি? তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি? মধ্যরাতে বেজে ওঠা

Poem: For God Sake…

For god sake Let the birds fly above, For god sake Let the timid speakup, For god sake Let joy always flash, For god sake Let the gloomy gray Turn to lively green. For god sake Shield the people From

সেদিনটি কেমন ছিল।।

যে পথ হইনি চলা

পথটা হয়েছে বিভক্ত হরিদ্রা বনে, দুঃখিত পারিনি আমি দু’পথে চলতে হয়ে পথিক একা, থামিয়া বহুক্ষণ দেখিনু একটিকে সম্ভব যতক্ষণ তদ্দুর পথ যেথা বেঁকেছে নিন্মবনে; পরে নিলাম অন্যটি, যা ন্যায্য নির্দোষ, হয়তো মেনে এর দাবী অধিকতর, ঘাসেরা ছিল যে ভুখা পদচারনার;

ছিন্নভিন্ন ছড়া

১ কালো টাকা নাই যদি হয় সাদা, তাতে যায় আসে না কিছু, নেই তো কোন বাঁধা । টাকার কোন রঙ থাকে না, যার কাছে সে থাকে, সবাই তাকে ‘হুজুর’ ‘হুজুর’ ডাকে । যাই বলো না মামু, আমি কিন্তু গরম গরম

নরেন্দ্রের প্রতি

লক্ষ্য যদি হয় কারো স্থির নিখাদ কর্মে না থাকে যদি ক্লান্তি অবসাদ পূর্ণ তবে হয় তার সেই আহ্লাদ যত না বলুক তাহে উচ্চাভিলাষ। নরেন্দ্র তুমি, এ’র যথার্থ প্রমাণ চা বিক্রেতা হ’তে, তুমি আজ হয়েছ ভারতের নির্বাচিত মন্ত্রী প্রধান। মর্ত্যলোকে নন্দিত,

।।দুঃখবৃষ্টি।।

মনের ভিতর দুঃখ উড়ে দুঃখ উড়ে দুঃখ উড়ে টাপুর টুপুর কষ্ট ঝড়ে বৃষ্টি পড়ে হৃদয় জুড়ে ।। মনের চালে বৃষ্টি ঝরাই ভালবাসার পানসী সাজাই নানা রঙের দুঃখ উড়াই হৃদয় জুড়ে বৃষ্টি ঝরাই ।। মেঘের ডাকে জল নূপুরে রুনুঝুনু দুঃখ বাজে

নিল পদ্ম (বঙ্গ আমার)

হয়ত কোনদিন

হয়ত কোনদিন দেখা হয়ে যাবে তোমার আমার চির চেনা পথে । কোন এক বৈশাখের রমনার বটমূলে অথবা ষ্টেশনে আছি একই ট্রেনের জন্য দাঁড়িয়ে।। হয়ত একদিন দেখা হয়ে যাবে শপিং মল এ অথবা চিড় চেনা রেস্তোরাঁয় তুমিও মুখ ফিরিয়ে নিলে আমিও

নির্বাসন

. . . . . . . . . . এখানে তোর সবই ছিল বসতবাটি, থালাবাসন আর টুকিটাকি প্রয়োজনীয় আসবাব। একটু দূরে পুকুরের ওপাশে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকা গাব গাছ সেও ছিল। তুই এখানে ছিলি, তোর সংসার ছিল নিকানো উঠানের ধারে

তুমি

পুরানো বই,পুরানো ম্যাগাজিন, পুরানো চিঠি পুরানো বিল,পুরানো শাড়ির মতই ইচ্ছে ছিল পরতে পরতে ভাঁজ করে তোমার পুরানো সব স্মৃতি গুলি তুলে রাখব সারিবদ্ধ করে দৃষ্টির আড়ালে তাকিয়ায় এককোণে দায়সারা ভাবে। অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকবে নিঃসঙ্গ তুমি থরে থরে ধুলোর আস্তরণ

কবিতাঃ হেলান পাল – আর থাকবে না

গত ইরি মৌসুমেযাদেরকে আমি কাজে নিয়েছিলাম;৭৪ এর দুর্ভিক্ষে আমার বাবাযে পরিবার গুলোকে সাহায্য করেছিল,তারাই পুড়িয়ে দিল আমার ঘর, লুট করে নিলযা কিছু ছিল, বউ, বোন মেয়েশেষ সম্বল টুকু। আমার বাড়িয় দক্ষিনের বটতলায় বসলেইদেখা যায়, দেখা যায় নদী – ডাকাতীয়া নদীঅজান্তেই

কবিতাঃ ভালবাসে কয়জন?

কঠোর রৌদ্র পোড়া কোন এক দপুরে আমি ক্লান্ত, ক্লান্ত হয়ে হাটছি এক আফুরন্ত মাঠের শুকিয়ে যাওয়া ঘাসের ওপর দিয়ে গন্তব্য নেই, কি চাই জানিনা। একটা অচেনা গাছ, তার ছায়ার নিচে থমকে দাঁড়ালাম মনে হোল এতটুকু আশ্রয়ই-তো খুঁজছিলাম। আমার মনে তৃষ্ণা

বৃষ্টি যখন – নদীটা কোথাও আছে

হাজার বছর ধরে বৃষ্টি আমি ঝরছি অঝর ধারায় ঝরছি তো ঝরছিই… মাঠ ঘাট শস্য লোকালয় কিছুই বাকি থাকে না; ভেসে যায় আমার কান্নায় ভেসে যায় দেশ, ভেসে যায় মহাদেশ আমি নৌকা ভাসাই – দেখা মেলে না সেই নদীটির। তবে যে

মনে মনেই থেকো

মনের বাইরে পা দিও না মনে মনেই থেকো, মনের মাঝেই মনটা আমার মনটা ঘরে রেখো। জান মনটা ঘরেই রেখো।। মনে মনে দেওলিয়া কেউ মন দিও না তাতে, একতারা কি বাউল বানায় মনই মনের সাথে। মন চেনালেই মন চেনা যায় মনকে