যে কারনে নির্বাচন করছেন না সাকিব

যে কারনে নির্বাচন করছেন না সাকিব

ফজলুল বারী: শুক্রবার (৯ নভেম্বর) খবর পাই বাংলাদেশের চলমান ক্রিকেট লিজেন্ড মাশরাফি বিন মর্তুজার আওয়ামী লীগে যোগদান আর নড়াইল-২ আসন থেকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই পরিবারটির সঙ্গে ব্যক্তিগত একটি সম্পর্কের কারনে সিদ্ধান্তটি জানা সহজ হয়। কাজেই প্রথম রিপোর্টার হিসাবে লিখে ফেলি পুরো বিষয়টি। অনলাইনেও সেটি চলে আসে। শনিবার জানা গেলো শুধু মাশরাফি না টেস্ট-টি টোয়েন্টি দলের ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসানও আনুষ্ঠনিক যোগ দিচ্ছেন এবং নির্বাচন করবেন। আমাকে একজন তখন বললেন, মাশরাফিরটা জানতে পেলেন, সাকিবেরটা পেলেননা! ব্যাস শুরু হয় গেলো গেলো সোশ্যাল মিডিয়ার বাহাস-পাল্টা বাহাস! আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা, নৌকা প্রতীক যাদের জানের দুশমন তারা হতভম্ব হয়ে লেগে গেলেন এর পিছনে। কারন মাশরাফি সাকিবকে তারাও ভালোবাসেন। দেশজুড়েই তাদের একটি গ্রহনযোগ্যতা তারা জানেন। আরেক গ্রুপ দেশের কর্দমাক্ত রাজনীতির চেহারা জানেন বলে চাইছিলেন না অবসরের আগে তারা রাজনীতিতে আসুক। এক্ষেত্রে আমার বক্তব্য ছিলো রাজনীতি নির্বাচনে সিদ্ধান্তের বিষয়টি তাদের একান্ত নিজস্ব। ২০২৩ সালের নির্বাচনের নির্বাচনের সময় এদের কার কোথায় অবস্থান থাকবে তা কেউ জানেনা।

মূলত মাশরাফি-সাকিবের নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে শনিবার সারাদিনই নানা তৎপরতা চলতে থাকে। বিশেষ করে মাগুরা-১ আসন থেকে সাকিবের নির্বাচন করার ইচ্ছা প্রকাশে একটি স্পর্শকাতর প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। কারন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অবৈতনিক কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান শেখর ওই আসনে নির্বাচন করার জন্যে প্রধানমন্ত্রীর সম্মতিতে গত পাঁচবছর ধরে কাজ করছেন। সপ্তাহের দু’দিন এরজন্যে তিনি নির্বাচনী এলাকাটিতে গিয়ে থাকেন। শেখরের বাবা আসাদুজ্জামানও সেখানকার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছিলেন। এরপর শুরু হয় সাকিবকে বোঝানোর প্রক্রিয়া। বুদ্ধিমান সাকিবও তাতে রাজি হন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি আপাতত তাকে খেলায় মনোযোগ দিতে বলেন। এসব ছিল সাকিবের মতবদলের নেপথ্যের ঘটনা।

এখানে আমার একটি প্রস্তাব আছে। তাহলো সাকিবও যেহেতু নির্বাচন করতে ও আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চেয়েছিলেন কাজেই আগামী নির্বাচনী প্রচারনায় আওয়ামী লীগ সাকিবকে কাজে লাগাতে পারে। শুধু সাকিবনা, মাশরাফিকে আগামী নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রচারনায় কাজে লাগানো যেতে পারে। কারন আগামী নির্বাচন দেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়া এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ক্ষমতায় বহাল থাকার জন্যে গুরুত্বপূর্ণ। যত যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি হয়েছে তারা ক্ষমতায় ফিরতে না পারলে পুরো বিষয়টিই ভেস্তে যেতে পারে। মাশরাফি বিন মুর্তজার নির্বাচনী কাজকর্মের জন্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসমূহের নেতার্মীরাই যথেষ্ট।


Place your ads here!

Related Articles

National Election: Some interesting insights

Bangladesh stands at a crossroads and the path to a new invigorated Bangladesh depends how the new political forces emerge

আমার অনুভূতিতে পূর্ণিমা

আজ পূর্ণিমা !! অনেক ছোট থেকেই এই দিনটার প্রতি আমার এক বিশেষ দুর্বলতা! অসাধারন সুন্দর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে মনের গভীরে

সাহাদাত মানিকের ‘মানুষের সংলাপ’

আতিকুর রহমান শুভ: আমার পদ্য পছন্দ নয় একেবারেই৷ পদ্যের শব্দের কারুকার্য আমি কম বুঝি৷ গদ্যের সারল্য আমাকে বরাবর টানে৷ তবুও

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment