আমাকে কেন?

আমাকে  কেন?
আর্থার এ্যাশ (১৯৪৩-১৯৯৩)

আর্থার এ্যাশ (১৯৪৩-১৯৯৩)

দিলরুবা শাহানা: বার্তাটি হল আর্থার এ্যাশের। প্রশ্ন আসবে কে আর্থার এ্যাশ? তার কথা কি এমন গুরুত্বপূর্ণ? কেনই বা কথাগুলো শুনতে হবে?

আর্থার এ্যাশ যেনতেন মানুষ নন। স^নামধন্য খেলোয়ার। কালো মানুষটি খেলেছেন টেনিস। আর্থারই প্রথম আফ্রো-আমেরিকান যে উইমবলডন কাপসহ অন্যান্য গ্র্যান্ডস্লামও জিতেছিলেন। এখন যেমন আমেরিকার কৃষ্ণকন্যা সেরেনা উইলিয়াম ও ভেনাস উইলিয়ম টেনিসের মাঠ তুমুল দাপটে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তখন দেশ-কাল-সামাজিক পরিবেশ কালো মানুষের অনুকুলে ছিলনা। মাত্র নয়বছর বয়সে মাকে হারান আর্থার। তারপরও বাবা সমস্ত প্রতিকুল পরিস্থিতির মুখোমুখি দাড়িয়ে আর্থারকে টেনিস খেলোয়ার হিসাবে গড়ে তুলেন। আর্থার ১৯৮০ সাল থেকে খেলাতে সক্রিয় ছিলেন না। হৃদযন্ত্রে দু’দুবার অপারেশন করাতে হয়। অপারেশনের সময়ে ১৯৮৩তে আর্থারকে যে রক্ত দেওয়া হয় তা থেকেই তার এইচআইভি সংক্রমণ হয়। এভাবেই তিনি এইডস রোগে আক্রান্ত নন।

সুহৃদ ভক্তরা অনেকেই চিঠি লিখতো আর্থার এ্যাশকে। তেমনি এক ভক্ত চিঠিতে লিখেছিলেন
‘কেন স্রষ্টা এই বাজে অসুখটি দেওয়ার জন্য তোমাকে নির্বাচিত করলেন?’
উত্তরে আর্থার লিখলেন
‘৫০মিলিয়ন শিশু টেনিস খেলতে শুরু করে।
৫মিলিয়ন টেনিস খেলার প্রশিক্ষণ পায়।
৫০০,০০০ হাজার পেশাদার খেলোয়ার হওয়ার প্রশিক্ষণ পায়।
৫০,০০০ পেশাদার বৃত্তে আসে।
৫০০০ গ্রান্ডস্লাম পর্যন্ত আসে।
৫০জন উইমবলডন পর্যন্ত পৌঁছায়।
৪জন পৌঁছায় সেমিফাইনালে।
২জন পৌঁছায় ফাইনালে।
সেই ২জনের মাঝে আমিই উইমবলডন কাপ জিতে হাতে নিলাম।
তখনতো আমি স্রষ্টার কাছে জানতে চাইনি
আমাকে কেন?
তো আজ যখন আমি অসুস্থ, ব্যথায় জর্জ্জরিত আমি কি জিজ্ঞেস করতে পারি
আমাকে কেন?
সুখ আমাদের মাধুর্যময় করে।
ঘাত-সংঘাত করে সবল-শক্তিমান।
দুঃখবেদনা আমাদের মানবিক করে গড়ে।
ব্যর্থতা আমাদের নম্রবিনয়ী করে তুলে।
সাফল্য আমাদের উজ্জল করে।
কিন্তু একমাত্র বিশ্বাসই আমাদের এগিয়ে নিয়ে যায়।

কখনো কখনো তুমি তোমার জীবন নিয়ে সন্তোষ্ট নও তখনও পৃথিবীর বহুলোক তোমার মত জীবনযাপনের স^প্ন দেখে।
খামারে দাড়ানো শিশু মাথার উপর উড়ে যাওয়া বিমানে চড়ার স^প্নে বিভোর আর বিমানচালক খামার দেখে ঘরেফেরার সপ্নে ব্যাকুল হয়।
এইই হচ্ছে জীবন!

তোমার জীবন উপভোগ কর…
যদি সম্পদই সুখের রহস্য হতো তবেতো ধনীদের রাস্তায় নৃত্য করা উচিত।
কিন্তু শুধুমাত্র গরীব শিশুরাই তা করে।
যদি ক্ষমতাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতো তবেতো ক্ষমতাবানদের প্রহরী বা বডিগার্ড ছাড়া ঘুরাফেরা করার কথা।
কিন্তু যাদের জীবনযাপন সাধারন তারাই শান্তিতে ঘুমায়।
যদি সৌন্দর্য আর খ্যাতি নিবির-গভীর আদর্শ সম্পর্কের চাবিকাঠি হত তবে সেলেব্রিটিদের বিয়ে হতো শ্রেষ্ট বিয়ে।
সাধারন জীপনযাপন কর, সুখী থাক! বিনম্র হয়ে চল, ভালবাস খাটি হৃদয়ে।’


Place your ads here!

Related Articles

My Take On The Multicultural Festival 2015

On the 14th of February, like most people in Canberra, my family and I attended the 2015 Multicultural Festival. At

Non-Aligned Conference Bangladesh

The Non-Aligned Conference is being held in a resort city of Sharm el -Sheikh in Egypt and the heads of

Rafiqun Nabi's Cartoon

রনবীর একটি কার্টুন ও কিছু কথা : ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে একজন কবি বা সাহিত্যিক তার লিখনীর মাধ্যমে একটি

1 comment

Write a comment
  1. Prova
    Prova 12 October, 2017, 00:10

    Dear Writer, thank you for sharing this uncommon piece of writing.
    Reading Ash’s comment on “amake keno” will provide inspiration to all of us. It teaches us to look at life’s events differently.
    Thank you

    Reply this comment

Write a Comment