চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল ‘মহাশ্বেতা দেবী’

চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল ‘মহাশ্বেতা দেবী’

চলে গেলেন বাংলা সাহিত্যের অন্যতম দিকপাল, ‘হাজার চুরাশির মা’ সহ অসংখ্য সাহিত্যের স্রষ্টা মহাশ্বেতা দেবী। দীর্ঘ রোগভোগের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। লেখিকার মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় সময় দুপুর ৩টে ১৬ মিনিটে । দীর্ঘ দিন তিনি ওই হাসপাতালেই ছিলেন। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা, শ্বাসকষ্টেও ভুগছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। তাঁর মৃত্যু সংবাদে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে এক শোকবার্তায় লিখেছেন, ‘‘ভারত এক মহান লেখিকাকে হারাল, বাংলা এক মহান মাকে হারাল। আমি এক জন ব্যক্তিগত পথপ্রদর্শককে হারালাম। মহাশ্বেতা দি শান্তিতে থাকুন।’’ বর্তমান সময়ে ভারতের সবচেয়ে প্রবীণ সাহিত্যিকদের অন্যতম ছিলেন মহাশ্বেতা দেবী। গোটা ভারতের সাহিত্যিকদের মধ্যে সমসাময়িক কালে সবচেয়ে সম্মানিত নামগুলির অন্যতমও ছিলেন তিনি। জ্ঞানপীঠ, পদ্মশ্রী, পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হয়েছিলেন। মহাশ্বেতা বেদীর মৃত্যুর খবর আসতেই শোকস্তব্ধ মানুষের ভিড় জমতে শুরু করেছে দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালটিতে। অনুরাগী, সাধারণ মানুষ তো বটেই, রাজ্যের মন্ত্রী, শিল্পী, সাহিত্যিকরাও একে একে পৌঁছেন হাসপাতালে। হাজার চুরাশির মা’ যতবার পড়েছি ব্রতী চরিত্রটি আমাকে আচ্ছন্ন করে রাখতো। তোমাকে ভুলবনা দিদি। ভালো থেকো।


Place your ads here!

Related Articles

দয়াকরে এবার থামুন

বিরোধীদল ও সরকারী দল এবার দয়া করে থামুন। দেশের কেমন উন্নতি আপনারা চান তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। দেশের মানুষের

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান

জাতিসংঘে’র কাছে  বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের  দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। গত ২১ ফেব্রূয়ারী ২০১৬ কেনবেরাতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলখ্যে ‘একুশে রেডিও’র সাথে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে অস্ট্রেলিয়াতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাস্ট্রদুত হিজ   এক্সিলেন্সি কাজী ইমতিয়াজ  হোসাইন বলেন, বাংলাভাষাকে বাংলাদেশের  সর্বস্তরে চালু করার সরকারী পদক্ষেপের পাশাপাশি বাংলা ভাষার  আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের জন্যে জাতিসংঘে’র কাছে  প্রধান মন্ত্রি শেখ হাসিনা বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দানের আহবান জানিয়েছেন। বিশ্বজুরে বাংলা ভাষার ব্যপক ব্যপৃতির প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে রাস্ট্রদুত  হোসাইন বলেন, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুই তৃতীয়াংশ দেশে বাংলা ভাষা ভাষি লোকেদের বিচরন রয়েছে। এসব দেশে বাংলা’র প্রচলন ও চর্চার মধ্যে দিয়ে বাংলাকে আরো  ব্যপৃত করার সুজোগ রয়েছে। বাংলা ভাষার মধ্য দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের পরিচয় আরো নিগুড় হবে বলে তিনি মনে করেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে’র স্বার্থকতা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে  এউনেস্কো ২১ ফেব্রূয়ারী’কে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবে ঘোষনা করার পর পৃথিবীর সর্বত্রই  সব ভাষাভাষির লোকেরা গর্বের সাথে  এই দিন টিকে উদযাপন করে আসছে।মাজিক কর্মকান্ড সহ জন জীবনের প্রতিটি কাজে ভাষার প্রয়োজনীয়তাটাকে  স্মরন করার একাটা সুজোগ করে দিয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন। বাংলাকে সর্বস্তরে চালু করার সরকারী উদ্দোগ থাকা স্বত্তেও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানে বাংলাভাষার ব্যবহার তেমনভাবে  দেখা যায় না কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন- বাংলাদেশ একটা রপ্তানী মুখী দেশ। আর ব্যাবসায়িক 

Shinzo Abe’s visit to Bangladesh: An Assessment

The visit of the Japanese Prime Minister to Bangladesh has been a fruitful one for his country. Japan got what

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment