স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান পেলেন ১৯ বীরাঙ্গনা
স্বাধীনতার ৩৮ বছর পর রাষ্ট্রীয় সম্মান পেলেন সিরাজগঞ্জের ১৯ বীরাঙ্গনা। গতকাল মঙ্গলবার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে তাঁদের সম্মান জানানো হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গতকাল আছিয়া খাতুন, হাজেরা বেগম, হাসিনা বেগম, জয়গুন বেওয়া, আয়মনা বেগম, সুরাইয়া বেগম, রাজু বালা, সূর্য বেগম, বাহাতুন বেগম, করিমন বেওয়া, নূরজাহান বেগম, রাহেলা বেগম, আয়েশা বেগম, রহিমা বেওয়া, আছিয়া বেগম, কমলা বেগম, জোত্স্না বানু, মাহেলা বেগম ও সামিনা খাতুনকে সম্মান জানানো হয়। সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলায় তাঁদের বাড়ি।
বিকেল তিনটায় শহীদ শামসুদ্দিন সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে উপস্থিত সবাই দাঁড়িয়ে বীরাঙ্গনাদের সম্মান জানান। অনুষ্ঠানে বীরাঙ্গনা আছিয়া খাতুন আবেগজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ৩৮ বছর অতিবাহিত হলেও আমাদের সম্মান জানানো তো দূরের কথা, কেউ খোঁজখবর পর্যন্ত নেয়নি। দেরিতে হলেও আজ এ সম্মানে আমাদের দুঃখ-কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হলো।’
বীরাঙ্গনা হাজেরা বেগম বলেন, ‘রোগে-শোকে, খেয়ে না খেয়ে আমাদের অনেকেই ইতিমধ্যে মারা গেছেন। মৃত্যুর পরও তাঁদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দেওয়া হয়নি।’ তিনি বীরাঙ্গনাদের মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধাদের মতো রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোর দাবি জানান।
বীরাঙ্গনা আছিয়া, হাজেরাসহ সবার কণ্ঠেই ছিল প্রায় একই রকম অনুযোগ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আয়োজন করে বীরাঙ্গনাদের সম্মাননা জানানো হয় না। তাই আমরা এ উদ্যোগ নিয়েছি।’
পরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বীরঙ্গনাদের প্রত্যেককে নগদ পাঁচ হাজার টাকা, একটি শাড়ি, একটি কম্বল ও একটি করে চাদর দেওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মোশারফ হোসেন। অন্যদের মধ্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার রুহুল আমিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কামরুল হাসান, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান জামাত আলী মুন্সি, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক গাজী সোহরাব আলী, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Link requested Borhanuddin Shafi | original source