তোমার কথা
তোমার কথা:-
তোমার কথা মনে হলেই
আপনা আপনিই হেসে উঠে
ডাক্তার বাড়ির রক্তিম, রক্ত জবা গুলি!
শরীর দুলিয়ে হাসতে থাকে
দুধে ভাতে খাবার পাকা আম
আম গাছটা – পতপত করে
ডালে বসা দোয়েল, কোয়েল
নড়ে উঠে, পাখা মেলে প্রশন্নপুরের
নীল আকাশে।
চিলেকোঠার ছাদে বসে পেঁচাটা
গভীর রাতে ডানা ঝাফটায়
রহস্যময় চোঁখ জোড়া খুলে
তাকিয়ে থাকে জোঁছনা ভেজা
নিস্তব্ধ ভূতুড়ে খোলা ছাদের দিকে;
একটু দূরে
পুকুর পাড়ের তালগাছটা
বাঁশঝাড়টা, ডুমুর গাছটা
আনিস ভাইয়ের কবরের উপর
নুয়ে পড়া গাছগুলি
স্থির হয়ে থাকে বেশ কিছু সময়;
দখিনা বাতাসে কামিনী ফুলের সুবাস
জোনাকীরা আলো জ্বালিয়ে
পুকুর পাড়ের বাঁশঝাড় সাজিয়ে রাখে
হাজী সাহেবের দক্ষিণের তালগাছটা
তাল ফেলতে সময় নেয় পুকুর জলে!
দ্বিধান্বিত হয়, ডাকাতীয়ার ক্ষয়ে যাওয়া চর
বিরহী উদাস ঝাঁকে বসে থাকা সাদা বকগুলি;
পারাপারের নৌকা বেঁধে রেখে ঘাটে
পাড়ে বসে থাকে খোনার মাঝি;
কোন কোলাহল নেই, কোন ব্যাস্ততা নেই
অলস বেদে পাড়া – কন্যা জায়া জননী
নৌকা গুলি পড়ে আছে নিস্তব্দতায়;
তোমার কথা মনে হতেই
আপনা আপনিই নড়েচড়ে উঠে
একলা বাড়িটা , স্থবির ডাকাতীয়ার জল!
বাউলিয়ানায় মাতাল হয়, অযত্নের
একলা একা ধূলিমাখা একতারাটা;
ধূলিমাখা প্রশন্নপুরের চাতক পথ
কার যেন পদচিহ্ন এঁকে রাখে বুকে,
অপেক্ষায় থাকে এক চির পরিচিত
সাত সমুদ্র তের নদী পেরিয়ে
নির্বাসিত প্রেমিক বাউল হৃদয়ের;
বাউল, তুমি কি আর আসবে না?
আসবে না!
Related Articles
Eid Er Kobita – Abed Chaudhury
ঈদের কবিতা – আবেদ চৌধুরী সেহ্রী রাতের অমাবশ্যায় জ্বলে উঠা অলৌকিক তারা; শেষ আকাশ অন্ধকারে তৈরি করে আনন্দের চাঁদ ।
নির্বাসন
. . . . . . . . . . এখানে তোর সবই ছিল বসতবাটি, থালাবাসন আর টুকিটাকি প্রয়োজনীয় আসবাব।
আমি অমংগল দেখেছি – জাফর হোসেন
একসময় বাঘে মহিশে জল খেয়েছে এক ঘাটে,সুর্য উঠেছে পশ্চিমে , সাত খুন হয়েছে মাপ এক কথার জোরে । মাত্রা হীন


