মহাকালের অস্থি

হঠাৎ একদিন মনসামঙ্গলের দেবীর দেখা পেলে
নিবিড় বন্ধুতায় জড়াতাম ।
তারপর পৃথিবী অঘোর ঘুমে অচেতন হলে
যা কিছু খারাপ , যা কিছু দূষিত,
নীলের শিয়রে দাঁড়িয়ে দেখতাম,
কি করে সে ছোবল দিয়ে বিষে বিষ মিশিয়ে
শুদ্ধ করে পাপ ও অনন্তের পুণ্য হওয়ার খেলা।
সকল স্বর্গ আজ শুধু পাপী তাপির দখলে
দুধে আলতায় গোলা রঙীন ভাণের,
সুখ সুখামি মুখের হাসি -কান্না।
অন্ধকার চৈত্রের বাতাসে খুনিরা কাছে আসে
মুখে অহিংসার শান্ত বুলি,
তারা কায়দা করে সকল পায়ের চিহ্ন মুছে দিতে আসলেও পারেনি এখনো,
অনেক চিহ্ন পড়ে আছে নরম মাটিতে।
আজকাল দেখি যেখানে যত শিল্পী গায়ক কবি লেখক চারুকলা ও উন্মেষ সেখানেই নেতি,
সব প্রসন্নতাকে আত্নসাৎ করে নিজে টয়টম্বুর হয়ে
গাছের তলায় পড়ে আছে পাকা ফলের মত জড়বৎ।
বিশ্ববিদ্যালয় ,খেলার মাঠে , মিছিলে জনসভায় ,নিরাশ দলকে দল মানুষ।
মানুষের এমন কাতর জলস্রোত
সমুদ্রের কাছে গিয়েও অদেখা হয়ে আছে।

Najmin Mortuza
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে "বিষাদ-সিন্ধু" আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।
Related Articles
ঢাকার ইলেকট্রা – ডঃ খায়রুল হক চৌধূরী
এই নভেম্বরে এসে আমরা সবাই অশান্ত দীঘর্ পথ-পরিক্রমায়; তোমার সাথে আমরা এই বিশাল জনপদের বাসিন্ধারা। আর কিছু নয়, একটু আশা
চলে যা মন খারাপ
খুব ইচ্ছে করে বিষন্নতা থেকে বেড়িয়ে পড়ি, বন্ধন ছেড়ার তুমুল কষ্টের দরজা পেরিয়ে ঢুকে পড়ি বৃত্তবন্দী.. দু:খদাগ মুছে কিছু কিছু
খোকা আসবে
খোকা আসবে আমার খোকা আসবে বাড়ীতে শূন্য উঠান ভরে উঠবে কোলাহলে রাত জেগে গল্প বলবে মাগো ! কত দিন পর