ছি – সু চি – ছি

সু চি
তোর ছেলেটা, এক মাসের আব্দুল মাসুদ
তোর কোলে’ই মরলো – তুই টের পেলি না
আঁচলে ঢেকে, বুকে জড়িয়ে সীমান্ত পেরিয়ে
পালিয়ে এলি – ধর্ষণ, হত্যা, বুলেট মাথায় নিয়ে
টের পেলি না, বুকের ধন – নিষ্প্রাণ, মৃত
কি ভাবে তোকে বোঝাই, ওটা প্রাণহীন দেহ
ওকে রেখে দে’ সু চি
তোর ছেলে আর বেঁচে নেই!
সু চি
হামিদা বেগম তোরই আসল নাম – ভুলে গেলি
চার দেয়ালে আটকে থেকে সবই ভুলে গেলি!
প্রাণহীন বুকের মানিকটাকে রেখে দে এবার ;
একটু শান্তিতে ঘুমাক, পর দেশের মাটি
পর দেশের আগন্তুক ভালোবাসা
এবার জড়িয়ে ধরুক তাকে পরম আদরে।
সু চি
তুই সেই মা, যাঁকে বলাত্কার শেষে গুলি করে তোর পোষা
সামরিক কুত্তারা, শেষে গলা কেটে নিশ্চিত করে মৃত্যু
তুই’ই সেই কিশোরী সহোদরা, যাদের বার বার বলাত্কার করে
তুই, তোর দেশ, তোর গণতন্ত্র, তোর জেনারেল’রা
সু চি, তুই সেই মানবতার মরণ, যে খান থেকে
মায়ানমারের কাল অধ্যায় শুরু, তোর রক্তহীন হৃদপিন্ডে!
সু চি
তোর মাথায় ঐ টকটকে লাল গেঁদা ফুল – দেখ
জগতের সৃষ্টির সেরা প্রাণী’র রক্ত,
হাড়গোড়, রক্তের পোড়া গন্ধ আছে তাতে
তোর হাতে গৌতম বুদ্ধের রক্তাক্ত শব; রক্তাক্ত অহিংসা
আছে তোর ইচ্ছা, গণহত্যা, পাশবিক অত্যাচার
এই গেঁদা ফুল তোর সন্তানেরই রক্তে রাঙানো আজ!
রোহিঙ্গ্যা? বাঙালি? নাকি মানুষ!
এরাই কি সন্ত্রাসী? এরাই কি জিহাদী? এরাই কি বিদ্রোহী?
ছি – সু চি – ছি
বল, কি ভাবে বলি তোকে
অথবা তোর সমাধি পাশে দাঁড়িয়ে;
জগতের সকল প্রাণী সুখী হউক!
ক্যানবেরা
১৯/০৯/২০১৭
Related Articles
মনে পড়ে
চোখ বিপ্লবী হয়ে ওঠে তোমায় দেখতে! চোখের গভীরে গেলে দেখতে পাবে ভয়ঙ্কর হিংস্রতা! ভালোবাসা! ক্ষুদা! তৃষ্ঞা! অন্তর চক্ষু মেলো, অন্তর
ভোরের হাওয়া পুলক জাগায়
ভোরের হাওয়া পুলক জাগায় লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) ভোরের হাওয়ায় পুলক জাগায় মোর চিত্ত ওঠে ভরে, গাছের ডালে পাখিরা
নতুন সকালের সন্ধানে
মাটির প্রদীপ ও আকাশের চাঁদ সাঁঝের বেলা কথা কয়, মাটির প্রদীপ নিভে গেলে পরে চাঁদ শুধু জেগে রয়। তুলসীতলায় জ্বলে