রায় ষ্টুডিও
যেদিন তুমি বললে,”চলে যাচ্ছি”
বুকের ভেতর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো কিছু একটা ।
নদীর পাড় কি এমনি ভেঙে পরে তারপর সব শুনশান শুধু ছলাৎ ছলাৎ জলের বয়ে চলা।
তেমনি চোখের কোলে জলের ধারা।
বললে ,”একবার শেষবার দেখা করতে চাই”!
খুব জোড়ে যেমন হাওয়া ঘুরে ওঠে,ব্যাকুল বাতাসে বৃক্ষরা দোলে,ছিন্ন পাতার ছোটাছুটি চলে-
বিক্ষিপ্ত মন ছুটছে তোমার কাছে,আঁকড়ে ধরতে চাই
কোনো ঠাঁই নাই-
আমার দীর্ঘশ্বাস ঠিকানাবিহীন আমাকেই খুঁজে ফেরে।
একবার মুখ তুলে চেয়ে বললে,”এবার তবে যাই “
মুহূর্তেই শরতের সব শিউলিরা ব্যাথাতুর ঝড়ে পরলো একসাথে-
সারা গাছ জুড়ে যে শূন্যতা তা চেপে বসলো আমার বুকে।নি:শ্বাস বন্ধ ,তোমার ছায়াও অদৃশ্য ।
তুমি চোখের আড়াল হলে।
সেই শেষবার আশ্বিনের সকালে তোমার সাথে আমার রায় স্টুডিওতে দেখা হয়েছিল-
আর তারপর থেকে আমার জীবনে তুমি নেই নদী নেই বৃক্ষ নেই শিউলি নেই – শুধু নেই আর নেই
তুমি না থাকাতে আসলে শূন্যতা ছাড়া আমার আর কিছুই অবশিষ্ট নেই।
Related Articles
আমি আর যাব না
না, যাব নাতোমার সাথে আমি আর যাব না;না ডাকাতীয়ার পাড়ে, না ধুলু মাখাপ্রিয় মেঠ পথ ধরে, না বর্ষা, না বসন্তকোন
স্বাধীন ভারতবর্ষ
স্বাধীন ভারতবর্ষ লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) কত না সংগ্রাম করে পেয়েছি মোদের স্বাধীনতা ভারত মাতাকে মোরা করেছি স্বাধীন।
রাঙা মাটির পথ চলেছে
রাঙা মাটির পথ চলেছে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী রাঙা মাটির পথ চলেছে আমার গাঁয়ের পাশে, দুধার ভরা ধান খেত আর চিল