ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল নিয়ে “বাংলা কথা” এর মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল নিয়ে “বাংলা কথা” এর মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ

গত ২০শে আগস্ট “বাংলা কথা’ নামক একটি অনলাইন সংবাদপত্রে ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের কার্যক্রম এবং কার্যকরী কমিটির সদস্য ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে যে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও অবমাননাকর সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

ছবিতে পিঠা মেলা ২০১৮

প্রথমত স্কুল কারো একক সিদ্ধান্তে পরিচালিত হয় না। নির্বাহী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত সমূহই এই ক্ষেত্রে অনুসৃত হয় । সুতরাং প্রতিটি সিদ্ধান্ত স্কুলের স্বার্থ সর্বাগ্রে রেখে নেয়া হয় বিধায় এখানে স্বেচ্ছাচারিতার কোনও সুযোগ নেই। স্কুলে লেখাপড়ার মান নিয়ে কোন ধরনের অবহেলা করা হয় না বিধায় এই স্কুলের  গ্রহণযোগ্যতা এবং সুপরিচিতি আজ গর্ব করার মতো।

 

দ্বিতীয়ত প্রতি রবিবার দুপুর বারোটা থেকে একটা পর্যন্ত এক ঘন্টা নিয়ম করে গানের ক্লাস হয়। যেখানে সব ছাত্রছাত্রী অংশগ্রহণ করে। বিশেষ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিতে অনেক সময় অন্যান্য দিনেও গানের অনুশীলনের ব্যবস্থা করা হয়। সেক্ষেত্রেও সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণের পথ উন্মুক্ত রাখা হয়। শুধুমাত্র কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে গানের চর্চা করা হয় এমন অভিযোগের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।

 

তৃতীয়ত বিগত পিঠা মেলায় স্কুলের পরিবেশনার সার্বিক মান বজায় রাখার স্বার্থে সব শিক্ষার্থীকে রিহার্সালে অংশ নিতে অনুরোধ করা হয়। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রিহার্সাল ব্যতীত কেহই চূড়ান্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। এই সিদ্ধান্ত ক্ষুদে বার্তার মাধ্যমে একাধিক বার অভিভাবকদের জানিয়ে দেয়া হয়। অভিভাবকেরাও স্কুলের এই সিদ্ধান্তকে সাদরে গ্রহণ করে অনুশীলন পর্ব গুলিতে তাদের সন্তানদের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এই বিষয়টিকে পত্রিকাটি যেভাবে চিত্রায়িত করেছে তা সর্বৈব মিথ্যা।

ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুলের প্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

চতুর্থত ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল, বাংলা ভাষা শিক্ষা ও আমাদের নিজস্ব  সংস্কৃতি প্রচার ও প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আমাদের মূল দর্শনের সাথে সাংঘর্ষিক কোনও কর্মকাণ্ডে আমরা কখনও সংযুক্ত হতে পারি না। বিগত পিঠা মেলায় আবহমান বাংলার কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে সাজ সজ্জার মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছিল। এরই অংশ হিসাবে গ্রামীণ জনপদে ব্যবহৃত হুক্কাকে সাজসজ্জার উপকরণ হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখানে কেউ হুক্কা পান করেননি। যেই ছবি দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়েছে সেটি অনুষ্ঠান শেষে সবার প্রস্থানের পর অনুষ্ঠানস্থল পরিষ্কার করার সময় ব্যক্তিগত উদ্যোগে তোলা হয়েছিল। এই ছবিগুলো শুধুমাত্র ঐ ব্যক্তির ফেসবুকে তার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে। প্রসংগত উল্লেখ্য এখানেও হুক্কা পান করা হয়নি, শুধুমাত্র ছবি তোলা হয়েছে। কোন দর্শকের উপস্থিতি সেখানে ছিল না। ঘটনার সত্যতা বিন্দুমাত্র যাচাই না করে এমন কল্পনাপ্রসুত সংবাদ  পরিবেশন এবং অনুমতি ছাড়া কারো ফেস বুক থেকে ছবি নিয়ে তার অপব্যবহার করা সুস্থ মানসিকতার পরিচয় বহন করে না এবং Australian Privacy Act এর পরিপন্থি।

 

পঞ্চমত যেই শিক্ষার্থীর বেলায় এই অভিযোগটি আনা হয়েছে সেই ছোট মেয়েটি কখনও গানের ক্লাসে অংশগ্রহন করেনি এবং একটি ক্লাস রিহার্সিল ছাড়া অন্য কোন রিহার্সালে অংশগ্রহণ করেনি।  তার অভিভাবকও স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে রিহার্সালে আসার অপারগতা জানাননি । অভিভাবক যোগাযোগ করলে অবগত হতেন যে, যেসব বাচ্চারা নির্ধারিত দিনে রিহার্সালে আসতে পারেনি তাদের রিহার্সালের জন্য দ্বিতীয় ব্যবস্থা ছিল।  বাংলা স্কুলের নিয়মের প্রতি সেই নির্দিষ্ট অভিভাবকের উদাসীনতার কারণে এবং আয়োজনের শৃঙ্খলা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও  ছাত্রীটিকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখানে বলা প্রয়োজন বাংলা স্কুল সব ছাত্রছাত্রীর সুবিধা অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে থাকে এবং কখনই কোনও ছাত্রছাত্রীকে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ থেকে বিরত রাখতে চায় না | মূলধারার স্কুলের নিয়ম কানুনের সাথে বাংলা স্কুলের নিয়মের কোনো ব্যতিক্রম নেই | তা ছাড়া যে সকল বাচ্চা রিহার্সালে অংশ নিয়েছিল,  অনুষ্ঠান এর দিন সকালে প্রথমেই শুধু তাদেরকে নিয়ে লাইন করা হয়। কোন বাচ্চাকে জোর করে লাইন থেকে বের করার পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি। উপরন্তু বাইরে থেকে বাচ্চাকে লাইন এ যোগ করানোর জন্য চাপ দিয়েছেন সেই অভিভাবক এবং দায়িত্বরত শিক্ষকের সাথেও তিনি স্কুল কম্পাউন্ডএ অন্যান্য বাচ্চাদের সামনে অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেছেন যা কিনা নিন্দার যোগ্য |

 

সংবাদপত্র সমাজের দর্পন এবং সংবাদ কর্মী সমাজের বিবেক। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে অসত্য, কল্পনাপ্রসুত, ভিত্তিহীন, অরুচিকর সংবাদ পরিবেশনের অধিকার কেউ রাখে না।

 

ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল অত্যন্ত দৃঢ় ভাষায় “বাংলা কথা”‘য় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করছে এবং নিন্দা জানাচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ উক্ত সংবাদপত্র এবং সাংবাদিককে এই মিথ্যা, অবমাননাকর এবং বাস্তবতা বিবর্জিত সংবাদ প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে, অন্যথায় ক্যাম্বেলটাউন বাংলা স্কুল পরবর্তী পন্থা গ্রহনে বাধ্য হবে।

 

পরিশেষে, বাচ্চাটির পিঠা মেলার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে না পারায় স্কুল কতৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখিত এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সে জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছে।


Place your ads here!

Related Articles

BEN community forum voices Climate Action for Bangladesh

Bangladesh Environment Network (BEN) Australia Chapter has observed the World Environment Day (5 June) on the 23rd of June 2012

সকল জাতি সকল দেশের সমন্বয়ে ভাষা দিবস উদযাপন

বাংলা একাডেমি অস্ট্রেলিয়া মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এ বছর ২০, ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারী আয়োজন করেছিল তিন দিন

Writing for 12th edition Matrivasha

Dear respected writers, artists and columnists, Happy new year. It is the time of Boi Mela again. This year it

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment