ক্যানবেরা-তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন

ক্যানবেরা-তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদ্যাপন

বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা-তে যথাযথ মর্যাদায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্ম বার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০১৮ উদ্যাপন।

ক্যানবেরা, ১৭ মার্চ ২০১৮- বাংলাদেশ হাইকমিশন, ক্যানবেরা কর্তৃক যথাযথ মর্যাদা ও উদ্দীপনায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৮তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশুদিবস-২০১৮ উদ্যাপিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবদনের উদ্দেশ্যে ১ মিনিট নীরবতা পালন ও নিজ ধর্মমত ও প্রথা মোতাবেক মৌন প্রার্থনা করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয় এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ও তাঁর কর্মময় জীবনের উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। আলোচনাপর্বে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা অংশগ্রহন করেন। তাঁরা জাতির জনকের জীবনের নানা দিকের উপর আলোকপাত করেন এবং সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

হাইকমিশনার সুফিউর রহমান তাঁর বক্তব্যে সকল ভাষা শহীদ, ভাষা সংগ্রামী ও স্বাধীনতা যোদ্ধাদের প্রতি বিন¤্র শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতি ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদ্যয়ে যুগপৎ নেতৃত্বের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন । তিনি বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় দেশপ্রেম ও আদর্শ পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ জানান এবং তারঁ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার জন্য সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি উন্নতির অগ্রধারায় বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার অবদান এবং অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম, সামাজিকভাবে সুঠাম ও রাজনৈতিকভাবে প্রগতিশীল এক বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার নিরলস সংগ্রামে সবাইকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে “বাংলাদেশ” বিষয়ের উপর কুইজ ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা। শিশু-কিশোরগণ বিপুল উৎসাহের সাথে প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহন করে এবং তাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দূতাবাস প্রাঙ্গনে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

সবশেষে মান্যবর হাইকমিশনার অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল শিশু-কিশোরদের শুভেচ্ছা উপহার প্রদান করেন। প্রায় শতাধিক প্রবাসী ও অভিবাসী বাংলাদেশী উক্ত অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এবং নৈশ ভোজে অংশ নেন।

তারিখ : ১৭ মার্চ ২০১৮

অনুষ্ঠানের ছবি।


Place your ads here!

Related Articles

বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্যানবেরা, ১৫ আগস্ট, ২০২২: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তা-চেতনা অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করার পাশাপাশি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমস্যার সমাধান দূর করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণা ও ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান তিনি। হাইকমিশনার বলেন, এধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন। হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর মানবতা, রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয়তাবাদের ধারণার থেকে অনুপ্রাণিত হয় দেশ গঠনে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতিয়তাবাদ গঠনে সহস্র বছরে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  ত্যাগ, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, অভিজাত শ্রেণির উর্ধ্বে উঠে দেশের সকল মানুষকে একত্রিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ৪৭ বছর পর এ কলঙ্ক থেকে দায় মুক্তি পেতে হলে বাঙলি জাতিকে চিন্তার অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িতা, ধর্মান্ধতা এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে মুক্ত হতে হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ প্রগতিশীল সমাজ গঠন করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ অথনীতিও তৈরি হবে। আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি পথরেখা অনুসরণ করে একটি আদর্শভিত্তিক ও উন্নতসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার  আহবান জানান তাঁরা।  আলোচকগণ উল্লেখ করেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী সামসিয়া রহমানসহ উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ ।  এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্যে দিয়ে শোকদিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এদিকে, গত ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং  ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ  হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাইকমিশনার সুফিউর রহমান পুষ্পস্তবক করেন। অনুষ্ঠানে  ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং  হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Large Crowd attend Eid Prayers at Canberra AIS Arena

Despite the last minute change in Eid Day, a large crowd attended the Eid Prayer at the Australian Institute of

We are back on-line!

Happy to be back after more than one week down time for maintenance… thanks everyone for your kind support, email

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment