৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কতৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আনন্দ উৎসব উদযাপন

৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কতৃক স্বীকৃতি পাওয়ায় মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আনন্দ উৎসব উদযাপন

বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কতৃক বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের আনন্দ উৎসব উদযাপন

গত ৩০ অক্টোবর ২০১৭ প্যারিসে ইউনেস্কোর (ইউনাইটেড নেশন এডুকেশন, সায়েন্টিফিক এন্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন) প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটিকে ইউনেস্কোর ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে’ অন্তর্ভূক্ত করে বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের ঘোষণা দেন।

এই খুশী উদযাপন করার লক্ষ্যে মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে গত ২৫ শে নভেম্বর ২০১৭ মেলবোর্নের পয়েন্ট কুক কোস্টাল পার্কে এক আনন্দ উৎসব ও বারবিকিউ এর আয়োজন করা হয়। এরপর বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মেলবোর্ন, অষ্ট্রেলিয়া শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মফিযুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক মোল্লা মোঃ রশীদুল হক কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন যে এটা আমাদের জন্যে অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর মেমোরি অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার এ স্থান পাওার মাধ্যেমে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য ঐতিহ্যের মর্যাদা পেয়েছে। এই স্বীকৃতির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শুধু বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবে নয়, একজন কালজয়ী বিশ্বনেতা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলেন। দেরিতে ইউনেস্কোর স্বীকৃতি পেলেও, এই ভাষনের প্রকৃত স্বীকৃতি ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এই ভাষণই ছিল মুক্তিযুদ্ধের আহবান ও স্বাধীনতার ঘোষণা। এই ভাষণ শুনে আজ যেমন আমরা শিহরিত হই, তেমনি ৪৬ বছর আগে এই ভাষণ শুনে বীর বাঙ্গালী অস্ত্র তুলে নেয় হাতে, নেমে পড়ে দেশ কে স্বাধীন করার প্রত্যয়ে। ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ায় তিনি ইউনেস্কোর মহাপরিচালক ইরিনা বোকোভাকে ধন্যবাদ জানান।

মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি ড. সানিয়াত ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বুঝতে হলে উনার আত্মজীবনী পড়তে হবে। কোন কোন পুরস্কার গ্রহণকারীর চেয়ে দাতাকেই বেশী সন্মানিত করে। এক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে স্বীকৃতি দিয়ে ইউনেস্কো নিজেই সন্মানিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জনাব খন্দকার সুফি সালেক তার বক্তব্যে বলেন বঙ্গবন্ধুর একটা ভাষণ সাড়ে সাত কোটি বাংলাদেশিদের এক করে ফেলেছিলো। বঙ্গবন্ধুর মত নেতা শুধু বাংলাদেশ নয়, ওই অঞ্চলের অন্য কোন দেশেও পাওয়া যাবে না। তাই বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে গবেষণা হওয়া উচিত।

সভাপতির বক্তব্যে জনাব মফিযুল ইসলাম বলেন ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণটিকে বিশ্বের প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় আমরা গর্বিত। বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না। তাই এই স্বীকৃতি হৃদয়ে ধারন করে আমরা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তিনি সকলের প্রতি দলমত নির্বিশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করার আহবান জানান।

অনুষ্ঠানে আগত অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি ফেরদৌস মোল্লা, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোলাম রহমান চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো মাহফুযুর রহমান, তথ্য সম্পাদক এলতেজাউর রহমান, ড. মাহবুব মোল্লা, শাহনূর মোল্লা, ড. মামুন, আব্দুল কুদ্দুস, শামীমা রেখা, ফারাহ সারওয়ার্দি লিন্ডা এবং আরও অনেকে।

আনন্দ উৎসব উদযাপন ও সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্ঠানের পর মেলবোর্ন বঙ্গবন্ধু পরিষদের বার্ষিক সাধারন সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শেষে সঞ্চালক মোল্লা মোঃ রাশিদুল হক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্যে সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানের ইতি টানেন।


Place your ads here!

Related Articles

বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্যানবেরা, ১৫ আগস্ট, ২০২২: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তা-চেতনা অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করার পাশাপাশি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমস্যার সমাধান দূর করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণা ও ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান তিনি। হাইকমিশনার বলেন, এধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন। হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর মানবতা, রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয়তাবাদের ধারণার থেকে অনুপ্রাণিত হয় দেশ গঠনে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতিয়তাবাদ গঠনে সহস্র বছরে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  ত্যাগ, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, অভিজাত শ্রেণির উর্ধ্বে উঠে দেশের সকল মানুষকে একত্রিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ৪৭ বছর পর এ কলঙ্ক থেকে দায় মুক্তি পেতে হলে বাঙলি জাতিকে চিন্তার অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িতা, ধর্মান্ধতা এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে মুক্ত হতে হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ প্রগতিশীল সমাজ গঠন করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ অথনীতিও তৈরি হবে। আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি পথরেখা অনুসরণ করে একটি আদর্শভিত্তিক ও উন্নতসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার  আহবান জানান তাঁরা।  আলোচকগণ উল্লেখ করেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী সামসিয়া রহমানসহ উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ ।  এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্যে দিয়ে শোকদিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এদিকে, গত ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং  ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ  হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাইকমিশনার সুফিউর রহমান পুষ্পস্তবক করেন। অনুষ্ঠানে  ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং  হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

Tazuddin Ahmed not properly evaluated: Shimin Hussain Rimi

In an informal discussion session at Canberra, Mrs. Shimin Hussain Rimi, a researcher and the daughter of the first Prime

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment