একটি মাইলফলক: ইউনেস্কোর সাথে এমএলসি মুভমেন্ট এর ভিডিও কনফারেন্স

একটি মাইলফলক: ইউনেস্কোর সাথে এমএলসি মুভমেন্ট এর ভিডিও কনফারেন্স

বিশেষ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

আমরা অত্যন্ত আনন্দের সাথে সকল মাতৃভাষা তথা একুশপ্রেমী বন্ধুদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, পৃথিবীর সকল ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা রক্ষার জন্য মহান একুশের চেতনাকে বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জনের লক্ষ্যে এমএলসি মুভমেন্টের উদ্ভাবিত এবং সংকলিত ১৩টি কৌশলের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭টি কৌশল বাস্তবায়নের অনুরোধের প্রেক্ষিতে ইউনেস্কোর ব্যবস্থাপনায় বিগত ৭ই জুলাই ২০১৭ সন্ধ্যা ৬.১০ টায় ইউনেস্কোর ভাষা/শিক্ষা বিষয়ক বিভাগের প্রধান(প্যারিস, ফ্রান্স) মিসেস ক্যাসিন্সকেইট ইরমগাডা’র নেতৃত্বে মিসেস নরও এনড্রিয়ামাইসেজা এবং মিসেস লিডিয়া রুপ্রেছট এমএলসি মুভমেন্টের সাথে দীর্ঘ ৭০মিনিট ভিডিও কনফারেন্সে মিলিত হয় তাঁদের উৎসাহের ভিত্তিতে আমরা আমাদের প্রস্তাবিত কৌশলের ভিত্তি হিসেবে এমএলসি মুভমেন্টের সাংগঠনিক কার্যক্রমের বৈশ্বিক চিন্তাচেতনার ভিত্তি, প্রেক্ষাপট, অর্জন এবং প্রস্তাবিত বৈশ্বিক কৌশলসমূহ প্রণয়নের প্রক্রিয়া এবং তৃণমূল পর্যায়ের গবেষণা ও কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করি। তাঁরা আমাদের কর্মকাণ্ড এবং প্রস্তাবিত বৈশ্বিক কৌশলসমূহ বাস্তবভিত্তিক এবং বাস্তবায়নযোগ্য হিসেবে অবিহিত করে এমএলসি মুভমেন্টের কার্যক্রমকে ইউনেস্কোর জন্য অত্যন্ত সহায়ক নির্দেশনা বলে এমএলসি মুভমেন্টের সকল স্বেচ্ছাসেবীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সবশেষে তাঁরা এমএলসি মুভমেন্টের প্রস্তাবগুলির বিষয়ে আরও বিস্তারিত পেশাদারী আলোচনার গুরুত্বসহ ইউনেস্কোর যাবতীয় বিধি অনুযায়ী বাস্তবায়নের বিভিন্ন বিষয় আমাদেরকে সামনে তুলে ধরেন।

ইউনেস্কোর ভাষা বিষয়ক সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যাক্তিদের সাথে এমএলসি মুভমেন্টের এই ভিডিও কনফারেন্সটি “কন্সারভ ইউর মাদার ল্যাঙ্গুয়েজ” বৈশ্বিক বার্তা নিয়ে ২০০৬ সনে পৃথিবীর প্রথম “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ” প্রতিষ্ঠা এবং ২০১৬ সনে পৃথিবীর প্রথম লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার দর্শনের প্রাতিষ্ঠানিক সূচনার পর এযাবৎ কালের প্রাতিষ্ঠানিক সফলতম উত্তরণ। যে গর্বে গর্বীয়ান আমরা সবাই।

মুখোমুখী এই আলোচনার আলোকে আমরা নিশ্চিতভাবে বলতে পারি, পৃথিবীর সকল ঝুঁকিপূর্ণ মাতৃভাষা রক্ষায় এমএলসি মুভমেন্টের প্রণীত কৌশল সমূহের সফল বাস্তবায়ন সময়ের অপেক্ষা মাত্র, তথা মহান একুশের চেতনার বৈশ্বিক প্রাতিষ্ঠানিকতা অর্জন ইউনেস্কোর বিধি মোতাবেক প্রাতিষ্ঠানিক উপস্থাপনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের উপর নির্ভরশীল; যা একমাত্র বাংলাদেশ অথবা অস্ট্রেলিয়া সরকারের আগ্রহ, কূটনীতিক সদিচ্ছা ও প্রয়োজনীয় পরিচর্যার উপর নির্ভরশীল।

নির্মল পাল এনাম হক

চ্যায়ারপারসন সিডনী, জুলাই ২০১৭ নির্বাহী পরিচালক

Nirmal Paul

Nirmal Paul

নির্মল পাল; ইমেইলঃ nirmalpaul@optusnet.com.au; প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপারশনঃ এমএলসি মুভমেন্ট ইনটারন্যাশন্যাল ইনক; প্রাথমিক নকশা প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নকারী দলনেতাঃ পৃথিবীর প্রথম “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ”; প্রকাশিত গ্রন্থঃ “বিশ্বায়নে শহীদ মিনার”; বৈশ্বিক দর্শনঃ “লাইব্রেরীতে একুশে কর্নার”, (স্থানীয় বর্ণমালা সংরক্ষণ কেন্দ্র)


Place your ads here!

Related Articles

বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করতে বঙ্গবন্ধুর দর্শন সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ক্যানবেরা, ১৫ আগস্ট, ২০২২: অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর দর্শন ও চিন্তা-চেতনা অস্ট্রেলিয়াসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বৈশ্বিক অস্থিরতা দূর করার পাশাপাশি, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের সমস্যার সমাধান দূর করা সম্ভব। এ বিষয়ে গবেষণা ও ভূমিকা রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহবান জানান তিনি। হাইকমিশনার বলেন, এধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ এবং বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে সঠিকভাবে উপস্থাপন করা সম্ভব হবে। অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় আজ স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় মোহাম্মদ সুফিউর রহমান এসব কথা বলেন। হাইকমিশন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রবাসী বাংলাদেশিসহ হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সুফিউর রহমান বঙ্গবন্ধুর মানবতা, রাজনৈতিক দর্শন এবং জাতীয়তাবাদের ধারণার থেকে অনুপ্রাণিত হয় দেশ গঠনে কাজ করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ও জাতিয়তাবাদ গঠনে সহস্র বছরে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।  ত্যাগ, অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গী, অভিজাত শ্রেণির উর্ধ্বে উঠে দেশের সকল মানুষকে একত্রিত করে তাদের প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুকে অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। বঙ্গবন্ধুর অনন্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি চিরদিন তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। বঙ্গবন্ধুর হত্যা বাঙালি জাতির জন্য কলঙ্কজনক অধ্যায় উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন, ৪৭ বছর পর এ কলঙ্ক থেকে দায় মুক্তি পেতে হলে বাঙলি জাতিকে চিন্তার অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িতা, ধর্মান্ধতা এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসা থেকে মুক্ত হতে হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে কাজ করতে হবে । প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে স্বাধীনতার চেতনা সমৃদ্ধ প্রগতিশীল সমাজ গঠন করতে পারলে একটি সমৃদ্ধ অথনীতিও তৈরি হবে। আলোচকগণ জাতির পিতার কিংবদন্তী নেতৃত্ব ও অবদানের ওপর আলোচনা করেন। বঙ্গবন্ধুর তৈরি পথরেখা অনুসরণ করে একটি আদর্শভিত্তিক ও উন্নতসমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার  আহবান জানান তাঁরা।  আলোচকগণ উল্লেখ করেন, জাতির পিতা চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। তারা বঙ্গবন্ধুর প্রজ্ঞা এবং আপোষহীন নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।  তারা বলেন, ঘাতক চক্র বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর স্বপ্ন ও আদর্শের মৃত্যু ঘটাতে পারেনি। বক্তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। এসময় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করেন হাইকমিশনার মোহাম্মদ সুফিউর রহমান ও তাঁর সহধর্মিনী সামসিয়া রহমানসহ উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশি ও হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ ।  এসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। সকালে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মধ্যে দিয়ে শোকদিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। এছাড়া জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়। এদিকে, গত ৫ আগস্ট শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩ তম জন্মবার্ষিকী এবং  ৮ আগস্ট বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ  হাইকমিশন প্রাঙ্গনে ভিডিওচিত্র প্রদর্শনী, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় হাইকমিশনার সুফিউর রহমান পুষ্পস্তবক করেন। অনুষ্ঠানে  ক্যানবেরাস্থ প্রবাসী বাংলাদেশিগণ এবং  হাইকমিশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদলের সাক্ষাত

মূল উপলক্ষ্য ছিল বন্যার্তদের সাহায্যার্থে অনুদানের চেক হস্তান্তর। গত ১১ই সেপ্টেম্বর ২০১৭-এ দুপুর ২টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্য্যালয়ে এক অনারম্বর কিন্তু অত্যন্ত

Ouderland Memorial Committee Press Release on Film Festival Closing Ceremony

Ouderland Memorial Committee organized the concluding ceremony of a month-long film festival on Liberation War titled "Itihash Kotha Koi" on

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment