বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনলাইন তথ্যকোষ এনআরবি পিডিয়ার যাত্রা শুরু

বাংলাদেশ ও প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনলাইন তথ্যকোষ  এনআরবি পিডিয়ার যাত্রা শুরু

লন্ডন, ১৪ মে : প্রবাসী বাংলাদেশী ও বাংলাদেশের বহুমাত্রিক তথ্য নিয়ে অনলাইন তথ্যকোষ এনআরবি পিডিয়া আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরম্ন? করেছে লত্তন ভিত্তিক এনআরবি পিডিয়ার যাত্রা উপলড়্গে ১৩ মে মঙ্গলবার ২০১৪ বিকেলে পূর্ব লত্তনের হোয়াইটচ্যাপেল আইডিয়া ষ্টোরের কনফারেন্স হলে এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সুধী সমাবেশের শুরম্নতে এনআরবি পিডিয়া’র স্বপ্নদ্রষ্টা সাংবাদিক সেলিম রহমান পিডিয়া সম্পর্কে সচিত্র তথ্য উপস’াপন করেন। তিনি এনআরবি পিডিয়া নিয়ে তার ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি একটি আত্মিক দায়বদ্ধতা থেকেই এমন একটি তথ্যকোষের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি। মূলত সেই অনুভূতি থেকেই জন্ম নিয়েছে এনআরবি পিডিয়া। তিনি এই পিডিয়াকে সমৃদ্ধ করতে লেখক-সাংবাদিক-গবেষক-শিড়্গক-চিকিৎসক-সংস্কৃতিকর্মীসহ সচেতন মানুষের প্রতি আহবান জানান। সেলিম রহমান এনআরবি পিডিয়া তৈরি করতে বিভিন্ন ড়্গেত্রে যাদের সহযোগিতা পেয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি আগ্রহীদের এনআরবি পিডিয়া (িি.িহৎনঢ়বফরধ.ড়ৎম) ওয়েবসাইট ভিজিট করতে অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানের মূল আলোচনায় লেখক-সাংবাদিক মাসুদ রানা বর্তমান বিশ্ব প্রেড়্গাপটে তথ্যের বহুমুখী প্রচারের গুরম্নত্ব অপরিসীম উলেস্নখ করে বলেন, সঠিক, নির্ভুল ও নির্মোহ তথ্য একটি দেশ ও জাতির অগ্রযাত্রায় নিয়ামক শক্তি যোগান দেয়। সে অর্থে তথ্যই চালায় বিশ্ব। তিনি বলেন, নিজের দেশ ও জাতির ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে সবিসত্মার জানা প্রত্যেক আলোকিত নাগরিকের অন্যতম কাজ। মাসুদ রানা বলেন, তথ্যের উৎস ও শিড়্গার উৎস হিশেবে মিডিয়া অতুলনীয় ভূমিকা রাখছে। প্রাত্যহিক এ তথ্য ছাড়া আমরা যেন বাঁচতে পারি না। তিনি বর্তমান অসি’তিশীল বাংলাদেশের প্রেড়্গাপটে বলেন, মিডিয়ার কল্যাণে আমরা এখন প্রতি মুহূর্তে সজাগ ও সচেতন হচ্ছি। এনআরবি পিডিয়া এ ড়্গেত্রে বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লত্তন বাংলা প্রেসক্লাবের সভাপতি নবাব উদ্দিন বলেন, এনআরবি পিডিয়া একটি সাহসী পদড়্গেপের নাম। এই তথ্যকোষের প্রাথমিক কাজ সেলিম রহমান করে দিয়েছেন, বাকিটা আমাদের ওপর ন্যসত্ম। তিনি এনআরবি পিডিয়ায় সঠিক তথ্য সন্নিবেশনের জন্যে সবার প্রতি আহবান জানান। নবাব উদ্দিন জনমানুষের কাছে এনআরবি পিডিয়ার পরিচিতি ও গুরম্নত্ব তুলে ধরতে লত্তনের প্রিন্ট মিডিয়াও বিশেষ অবদান রাখতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন।

লত্তন বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক চৌধুরী এনআরবি পিডিয়ার অগ্রযাত্রাকে আনত্মরিক সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এই তথ্যকোষের বহুমাত্রিক ঔজ্জ্বল্য বর্ধনে সঠিক তথ্যের উপস’াপন ও এর গুণগত মান বজায় অত্যনত্ম গুরম্নত্বপূর্ণ বিষয়। এনআরবি পিডিয়াকে স্বতন্ত্র্য বৈশিষ্টের অধিকারী তথ্য ভা-ার হিশেবে গড়ে তুলতে এর নেপথ্য কারিগরদের প্রতিটি তথ্যের ব্যাপারে গভীর অনুসন্ধিৎসা ও সার্বড়্গণিক পর্যবেড়্গণ প্রয়োজন। এটি সসত্মব হলে অদূর ভবিষ্যতে এনআরবি পিডিয়ায় এক সময় নির্ভর করবে বিশ্ব বাঙালি।

সাংবাদিক নজরম্নল ইসলাম বাসন বলেন, এনআরপি পিডিয়াকে একটি প্রতিষ্টিত তথ্যকোষে পরিণত করতে এখন লেখক-সাংবাদিক-গবেষকদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। এ দায়িত্ব পালন শুধু নিজেদের জন্যে নয়, দেশ, জাতি এবং আমাদের নতুন ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। তিনি বলেন, এই বৃটেনে জন্ম হয়ে বেড়ে ওঠা আমাদের নতুন প্রজন্মকে সঠিক দিক নির্দেশনার মাধ্যমে এগিয়ে নেওয়া গেলে একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি। যে ভবিষ্যত আমাদের গর্বিত করবে নিঃসন্দেহে।

সাপ্তাহিক দেশ-এর সম্পাদক তাইছির মাহমুদ বলেন, এনআরপি পিডিয়া ইতোমধ্যে একটি বিশাল কাজ সম্পন্ন করেছে। অদূর ভবিষ্যতে এই পিডিয়া বাংলা মিডিয়ার চলার পথে গতি সঞ্চারে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, হতে পারে তথ্য ও তত্ত্ব্যের বিরাট উৎস। তিনি এনআরবিকে এগিয়ে নিতে নিজের পড়্গ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

লেখক শাহাব উদ্দিন আহমদ বেলাল বলেন, এ দেশে বাঙালির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে গুরম্নত্বপূর্ণ নানা তথ্য উপস’াপন করতে পারে এনআরবি পিডিয়া। প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া সম্পর্কেও বহু তথ্য পরিবেশনের সুযোগ রয়েছে বলেও তিনি উলেস্নখ করেন।

সাংবাদিক আবদুল হাই সনজু উইকিপিডিয়া ও এনআরবি পিডিয়ার মধ্যেকার সূড়্গ্ন পার্থক্য তুলে ধরেন।

সুধী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপসি’ত ছিলেন সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল আহমদ, বিবিসি বাংলা’র সাংবাদিক মোয়াজ্জেম হোসেন, বাংলা মিরর সম্পাদক আব্দুল করিম গণি, সাংবাদিক ইসহাক কাজল, এনএইচএস কর্মকর্তা খসরম্নজ্জামান খসরম্ন, বিলেতের সাহিত্য সম্পাদক হামিদ মোহাম্মদ, সাংবাদিক শাহ ইউসুফ, সাংবাদিক মোহাম্মদ সুবহান, সাপ্তাহিক সুরমার বার্তা সম্পাদক আবদুল কাইয়ূম, সাংবাদিক জাকির হোসেন কয়েছ, সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রতিবেদক তাবারাকুল ইসলাম পারভেজ, কবি ও গীতিকার শাহ সোহেল আমিন, সাপ্তাহিক পত্রিকার ডিজাইনার মাসুম মিয়া, সৈয়দ জহুরম্নল হক, আমীনুর রশীদ, তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, এনআরবি পিডিয়া ওয়েব সাইটের প্রধান ডেভেলাপার মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment