হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে এখন সব সুখী মানুষ
![হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে এখন সব সুখী মানুষ](https://priyoaustralia.com.au/wp-content/uploads/files/featured_486649030-890x395_c.jpg)
হ্যামিল্টনের সেডন পার্কে এখন সব সুখী মানুষ। এরা সবাই প্রবাসী বাংলাদেশি। অকল্যান্ড সহ এরা নিউজিল্যান্ডের নানা শহর থেকে এসেছেন। অস্ট্রেলিয়া-ব্রাজিল এমনকি বাংলাদেশ থেকেও এসেছেন অনেকে। এরা সবাই সুখী কারন প্রাণের বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সপ্রতিভ পারফরমেন্স। শত শত লাল সবুজ পতাকা উড়ছে সেডন পার্কে। বলে বলে চিৎকার করে সবাই শুধু বলছেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ। হ্যামিলটনবাসী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা রজার বিস্ফোরিত উচ্চারনে যা বললেন তার বাংলা ভাবার্থ দাঁড়ায়, চমৎকার প্রানোচ্ছল দর্শক তোমাদের। খুবই ক্রিকেট ভক্ত জাতি তোমরা। সেডন পার্কে এমন আমি আগে এতটা দেখেছি মনে পড়েনা।
নোয়াখালির কোম্পানিগঞ্জের যুবক মাসুম থাকেন ব্রাজিলে। শুক্রবার ভোরে হ্যামিল্টন এসে পৌঁছেছেন। দীর্ঘ ভ্রমনজনিত ক্লান্তি তার চোখে মুখে। কিন্তু সেডন পার্কে ঢুকেই তিনি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্রিকেট উৎসবে। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ তার টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পূরনের পর আনন্দে লাফাতে লাফাতে যেন শূন্যে ভাসেন মাসুম। চিৎকার করে বলতে থাকেন আমি এখন সুখী মানুষ একজন। এমন সুখ আমি জীবনে খুব কম অনুভব করেছি। অকল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি ছাত্র পাপ্পু। নিউজিল্যান্ডবাসের বয়স তার মাত্র পাঁচ মাস। শুক্রবার ক্লাস-কাজ ছিলোনা পাপ্পুর। সে কারনে খেলা দেখতে আসতে তার বিশেষ সুবিধা হয়েছে। পাপ্পু বললেন এখন টগবগ ফুটতে থাকা নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ এতটা ভালো খেলবে আশা করিনি। আসলেই খুব ভালো একটা সময় পার করছে প্রিয় বাংলাদেশ দল। আই এম রিয়েলি এ হ্যাপি এন্ড লাকি সামওয়ান।
সেডন পার্কের মাঠটির বড় অংশ জুড়ে অবস্থান নিয়েছিলেন নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা। মাঠের শুধু বাংলাদেশ ফ্যান জোনেই অবস্থান নেন কয়েক হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি। মাঠের এই অংশটাতেই লাল সবুজ পতাকা বেশি। আর সারা মাঠ জুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে লাল সবুজ পতাকার সমর্থকরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও দলের রান আর উইকেট উৎসবে সবাই সামিল হচ্ছেন সবাই। মাঠে বাংলাদেশের জার্সি ছাড়া বাংলাদেশ সমর্থক দর্শক খুঁজে বের করা কঠিন।মেয়েদের অনেকে পরেছেন লাল সবুজ শাড়ি। কপালে লাল টিপ। জার্সির সঙ্গে অনেকে লাল সেলোয়ারও পরে এসেছেন। বাচ্চাদের সাজানোও হয়েছে জার্সি অথবা লাল সবুজ পোশাকে। সে কারনে উজ্জ্বল বর্নিল বাংলাদেশ গ্যালারি। দল আগেই কোয়ার্টার ফাইন্যালে চলে যাওয়াতে প্রবাসীরা বিশেষ নির্ভার। সিডনি থেকে আসা আব্দুর রব বলেন, দল ভালো খেলবে এটাই শুধু দেখতে এসেছিলাম। নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে জিতলে বাংলাদেশ কোয়ার্টার ফাইন্যালে দক্ষিন আফ্রিকার সামনে পড়ে কিনা, এতে বাংলাদেশের ভালো না মন্দ হবে তা নিয়েই গবেষনা করছিলেন সুখী মানুষ আব্দুর রব সহ আরও অনেকে।