রিভিউ:- মিউজিক ভিডিও “স্বপ্ন মনে জাগে”
এক অসাধারণ সম্মোহনী কন্ঠ যার , যে কিনা কথা বলতে শুরু করলে তার প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পারা যায় না এবং তার অনুপস্থিতিতেও ঐ কণ্ঠ আমাদের কানে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। এমন অপূর্ব কন্ঠ যখন সুরে সুরে কথা বলতে শুরু করে তখন তা মনের ভেতরে এমন ভাবে আন্দোলিত হয় যা কিনা আমাদের হৃদয় মনকে আনন্দে উজ্জীবিত করে তোলে এবং এর প্রভাব বিস্তৃত হয় অনেক অনেক দূর পর্যন্ত যেটি আমাদের অন্তরের অন্তস্থলে স্থান করে নেয়।
এই অসাধারণ কন্ঠের অধিকারী হচ্ছেন ডাক্তার নীলা, আমাদের ব্রিজবেনের “গানের পাখি”। নীলাকে চেনেন না এমন ব্যক্তি খুব কমই আছে। ওর মিষ্টি স্বভাব, ব্যবহার ও আচার-আচরণ এর মাঝে যে চঞ্চলতা, হাসিখুশি ও সরলতা ফুটে ওঠে সেটি মনে দাগ করবার জন্যে যথেষ্ট।
অসম্ভব সুন্দর মনের ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী ডা: নীলা অবসর সময় অতিবাহিত করেন তার পরিবার ও সংসারের কাজকর্ম, জনসেবা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড দিয়ে।
নাচে – গানে পারদর্শী নীলার গানের প্রতি দারুণ রকম মোহ ও আগ্রহ ছোটবেলা থেকেই। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলের মাঝ দিয়ে তার বেড়ে ওঠা। পুরো নাম নাজনীন নিজাম নীলা। তার মা একজন রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী। মা এর কাছে ৪ বছর বয়সে গান শেখার হাতেখড়ি। বাবার সরকারি চাকুরির সুবাদে বিভিন্ন জেলাতে তার শৈশব কাটে।
প্রথম সংগীত শিক্ষক ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওস্তাদ গজেন্দ্র লাল রায়। এরপর ওস্তাদ শামসুল হুদা, ওস্তাদ বশির আহমেদ এবং কোলকাতার পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মত গুনী ওস্তাদদের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত, নজরুল সংগীত এবং আধুনিক গানের তালিম নেয়ার তার সৌভাগ্য হয়েছে।
এছাড়া নজরুল একাডেমী থেকে ৫ বছরের প্রশিক্ষণ লাভ করেন তিনি – যেখানে ওস্তাদ সুধীন দাশ, ওস্তাদ আখতার সাদমানী, ওস্তাদ জাকির হোসেন, ওস্তাদ আবদুল লতিফ, ওস্তাদ ফুল মোহাম্মদের মত গুনী ওস্তাদদের সংস্পর্শে আসার সৌভাগ্য তার হয়েছে।
ছোটবেলা থেকেই অসংখ্য গানের প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কার লাভ করেন নীলা। তিনি ১৯৯৩ সাল থেকে বাংলাদেশ বেতারের নজরুল সংগীতের তালিকাভুক্ত শিল্পী।
নীলা পেশায় একজন ডাক্তার। বর্তমানে General Practitioner হিসেবে Brisbane, Australiaতে কর্মরত রয়েছেন। তিনি Society of Bangladeshi Doctors in Queensland ২০২২-২০২৩ এর ভারপ্রাপ্ত President. Australiaতে উনি Radio 4EB এবং multicultural associations এর সাথে বিভিন্ন ভাবে যুক্ত ।
ডাঃ নীলার প্রথম মৌলিক গানের এ্যালবাম “স্বপ্নহারা” ২০১১ সালে প্রকাশিত হয় যেই এ্যালবামের “মনে মনে” গানটি দেশে ও বিদেশে বিপুলভাবে জনপ্রিয় এবং প্রশংসিত।
পেশাগত ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এই সব কিছুর পাশাপাশি পারিবারিক জীবনে তিনি একজন ব্যস্ততম মা ও স্ত্রী। একমাত্র সন্তান, ছেলে নেহান ও স্বামী ডাক্তার খালেদকে নিয়ে তার সুন্দর ও সুখী পরিবার। নীলার সমস্ত রকম কাজে স্বামীর সহযোগিতা ও সাহায্য অপরিসীম ও অতুলনীয়। নীলার স্বামী ডাক্তার খালেদ। তিনি Cardiologist হিসেবে ব্রিসবেন, অস্ট্রেলিয়াতে কাজ করছেন।
এবারের পূজোয় ডাক্তার নীলা ভারতের প্রখ্যাত গায়ক শান (শান্তনু মুখোপাধ্যায়) এর সাথে একটি music video প্রকাশিত করেছেন, যা ইতিমধ্যে অনেক সাড়া জাগিয়েছে। শান এর সাথে এই গানটি প্রথম রেকর্ড করা হয়েছিল ২০১২ সালে। বিভিন্ন কর্মব্যস্ততার কারণে রেকর্ডিং এর কাজ সম্পন্ন করতে দেরি হয়েছে।
চমৎকার এই music videoতে কন্ঠ দিয়েছেন ডাক্তার নীলা (Neela) ও শান (Shaan) এবং এই ভিডিওটির :-
সুরকার -রাজা বশির
গীতিকার-কবির বকুল
অভিনেতা-রিশাভ বাসু
অভিনেএী-উশাসি রে
রেকরডিং হয়েছে —সারগাম studio-Dhakaতে
Mixing হয়েছে – গনেশ সুরভে-মুম্বাই
Shooting হয়েছে – Kolkata
ডাক্তার নীলার hobby গুলো হচ্ছে :- সংগীত, ভ্রমণ এবং সমাজসেবা। সাংসারিক, পারিবারিক ও পেশাগত কর্মব্যস্ততাকে পাশে রেখে ভবিষ্যতে দেশী এবং বিদেশী শিল্পীদের সাথে আরও অনেক গান করার পরিকল্পনা ও ইচ্ছাও ব্যক্ত করেছেন তিনি।
বহু প্রতীক্ষিত এই মিউজিক ভিডিওটি পেয়ে আমরা সবাই খুবই আনন্দিত এবং গর্বিত। ডাক্তার নীলা যেন ভবিষ্যতে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর গান উপস্থাপন করে আমাদের সবাইকে এভাবে মনোরঞ্জন করে যেতে পারেন সেটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা। তার সুন্দর ও সার্থক ভবিষ্যৎ কামনা করি এবং তার সমস্ত স্বপ্ন পূরণ হোক এটাই আমাদের প্রার্থনা।
রিভিউ:- ডাক্তার নায়লা আজিজ মিতা
Dr Naila Aziz Meeta
Home town is Bangladesh, live in Australia. Love to write, read, travel, and listening to music.
Related Articles
Our Community Our Organization – Introducing Victorian Bangladeshi Community Foundation VBCF
Dear Respected Bangladeshi Community Members in Victoria, Western Region Bengali School (WRBS) is an ethnic language school targeting the second
মেলবোর্নে বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন
অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন শহরে বসবাসরত বাংলাদেশীদের উদ্যোগে গতকাল (২৬শে মার্চ, ২০১৮) বাংলাদেশের ৪৮তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়। অন্যান্য বছরের মত
এই মেধাবীরা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার হয়ে কী করবে?
বাংলাদেশের মেধাবী নতুন প্রজন্ম বহুদিন পর আন্দোলনে এসেছিল। আমি সব সময় তরুনদের সুযোগ দেবার পক্ষে। এবারের তরুনদের আন্দোলনটি অবশ্য ছিল