ডাক্তারদের মৌচাকে ঢিল শেখ হাসিনার

ফজলুল বারী: দেশের সড়কের মতো নৈরাজ্য শিক্ষা-স্বাস্থ্যখাতে। নৈরাজ্য কোথায় নেই। মানুষ জিম্মি। এবারে টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবার পর শেখ হাসিনা সবার আগে হাত দিয়েছেন স্বাস্থ্যখাতে। সাফ সাফ বলেছেন ডাক্তার-নার্সদের দায়িত্বে অবহেলা তিনি বরদাশত করবেননা। কর্মক্ষেত্রে পাওয়া না গেলে তাদের ওএসডির হুশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দেখা গেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী কখনো এমন উদ্যোগ নিলে ডাক্তার-নার্স ধর্মঘট শুরু হয়ে যেতো। ধর্মঘটি ডাক্তার-নার্সদের সঙ্গে আপোস করতে হতো স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে। এবার খোদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের কারনে তেমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। অথবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা ব্যক্তিত্বের বিরুদ্ধে দাঁড়াবার নৈতিক সাহস কারো নেই। দুর্নীতিবাজরা সব সময় মানসিকভাবে দূর্বল হয়। এখন কোন একটি নিরপেক্ষ জরিপ প্রতিষ্ঠান জরিপ চালালে দেখা যেত এ ইস্যুতে দেশের ৯৯ শতাংশ অথবা এরচেয়েও বেশি মানুষ তাঁর পক্ষে। কারন দেশের মানুষ ভূক্তভোগী। জিম্মি। সব সময় সাহস করে কথা বলতে পারেননা।
দেশের সব ডাক্তার-নার্স খারাপ না। কিন্তু আগে দেখা যেত খারাপদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে ভালোরাও তাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যেতেন। যেমন এবারে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের পর তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি আওয়ামী চিকিৎকদের সংগঠন স্বাচীপ, ডাক্তারদের আওয়ামী প্রভাবিত সংগঠন বিএমএ! এর নেতারা মুখে কলুপ এঁটে বসে আছেন! অতএব পরিস্থিতি কী বুঝতে পারেন প্রিয় প্রধানমন্ত্রী? এরাই না সারাক্ষন আপনার প্রশংসার তুবড়ি ফাটায়! সারাক্ষন বলে শেখ হাসিনা কখনো ভুল করতে পারেননা! তাহলে আপনার উদ্যোগের পর সেই চামচা নেতারা আন্ডারগ্রাউন্ডে কেনো? বাংলাদেশের অনেক সিনিয়র সৎ ডাক্তার আওয়ামী লীগ করেন। এদের একজনও কী এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? একটা বিবৃতি দিয়েছেন? মৌচাকে ঢিল ছোঁড়ার পর আপনি বুঝতে পারছেন দেশের দুর্নীতিবাজ ডাক্তারদের ঘর আওয়ামী লীগের ভিতরেই প্রিয় প্রধানমন্ত্রী? এরা আপনার নয়। দুর্নীতির পুজারী।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের পর টেলিভিশন চ্যানেলগুলোয় দেশের নানা এলাকার চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে লাইভ রিপোর্ট হচ্ছে। দেশের কোথায় কী পরিস্থিতি তা রোগীরা জানেন। এখন এসব লাইভ রিপোর্টের কারনে বেহাল পরিস্থিতি ধারনার চাইতেও যে নাজুক তা জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে কোচিং আর শিক্ষা বানিজ্যের কারনে। আমরা শৈশবে যে সব প্রাইমারী স্কুল-হাইস্কুলে পড়েছি সেগুলোর বেশিরভাগের নীতি-নৈতিকতা এখন প্রায় পরিত্যক্ত। স্কুলের শিক্ষক-পিয়ন সবার চাকরিই ঘুষের বিনিময়ে হয়। অনেক এলাকার এমপি, জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সরকারি দলের নেতারাও এসব ঘুষ-নিয়োগ বানিজ্যের সঙ্গে জড়িত। এখানে চাকরি বাগিয়ে তারা বেতন-ভাতা নেন। আর মন দেন কোচিং বানিজ্যে! ঠিক একই পরিস্থিতি চিকিৎসা ক্ষেত্রে। কিছু রিপোর্টে দেখানো হয়েছে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার আশেপাশের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিং’এর ক্ষেপ রোজগার নিয়ে ব্যস্ত। আর টিভি ক্যামেরার সামনে তাদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন কোন একজন অজুহাত মাষ্টার! তাদের এই নেই নেই সেই এমন একশ অজুহাত! যেখানে যা আছে এর শতভাগ কাজে লাগালে কি সমস্যার এতোটা থাকে? অথবা যেখানে শুধু এই নেই সেই নেই সেখানে এত কষ্ট করে চাকরি করতে কী কেউ তাদের হাতে পায়ে ধরেছে? কেউ কী তাদের বলেছে যে তারা ওই কাজ ছেড়ে দিলে দেশটা অন্ধকার হয়ে যাবে?
আমাদের দেশটায় একমাত্র কৃষি ছাড়া কোনকিছুই ভালোভাবে চলছেনা। একমাত্র কৃষকই তার কাজে ফাঁকি দেয়না। কোন অজুহাতে হাত গুটিয়ে বসে থাকেনা বা তার সে উপায় নেই। আর সবাই আমরা নানা অজুহাতে যার যার কাজে ফাঁকি দেই। সবাই একেকজন অজুহাত মাষ্টার! বাংলাদেশে নানা কিছুর প্রতিযোগিতা হয়। অজুহাত বলার কোন অফিসিয়েল প্রতিযোগিতা হয়না। অথবা সে প্রতিযোগিতা অফিসিয়েল হওয়া লাগেনা। সারাক্ষনইতো চলছে। ডাক্তারদের নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের পরিবার-সমাজ থেকে স্বপ্ন-কষ্ট দুটোই বড়।
ছেলেবেলায় ডাক্তার হতে চাই বা ইঞ্জিনীয়ার হতে চাই এমন রচনা আমরা কারা লিখিনি? যার ডাক্তার হবার স্বপ্ন ছিল শৈশবে তাকে প্রশ্ন করলেও বলতো বা এখনো বলে যে ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করবে, গরিব মানুষকে ফ্রি চিকিৎসা দেবে ইত্যাদি। আর এখন বলে গরিব লোকজনের এলাকাগুলোয় ভালো বাসা নেই, স্কুল নেই! অথচ ডাক্তার থেকে শুরু করে আমাদের সবারতো উৎসভূমি সেখানেই। ছেলেবেলায় দেখতাম পরিবারগুলোয়ও বাবা-মা’র বড় একটি স্বপ্নের নাম সন্তান ডাক্তার হবে। ডাক্তারি পড়ছে এমন ছেলের জন্যে মা রুইমাছের মাথাটা আলাদা তুলে-লুকিয়ে রাখতেন। এখনো হয়তো তাই হয়। কিন্তু ডাক্তার-ইঞ্জিনীয়ারতো বাংলাদেশের মতো সারা পৃথিবীর কোথাও চাইলেই সবাই হতে পারেননা। ভালো ছাত্র হতে হয়। অনেক পড়াশুনা-অধ্যাবসায় লাগে। বাংলাদেশের এখনও সিংহভাগ ডাক্তার তৈরির কারখানা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। এগুলোর পিছনে রাষ্ট্রের যে ব্যয় তা ওয়াকিফহালরা জানেন। ডাক্তার হয়ে যাবার পর অনেকে তা ভুলে যান। অনেকের আচরনে মনে হবে তিনি সেই মানুষজনকে দয়া করার চেষ্টা করছেন, যাদের টাকায় তিনি ডাক্তার হয়েছেন! ব্যতিক্রমও আছে। সিনেমার ডাক্তার নায়করা যেমন মহানুভব হয়, বাস্তবের এমন মহানুভব ডাক্তারও আছেন অনেকে। আবার তেমন অনেকে বিদেশে চলে গেছেন।
বাংলাদেশ থেকে আসা এক ডাক্তার নিয়ে একবার অস্ট্রেলিয়ায় তদন্ত হলো। মনিটরিং অথরিটি তার রেকর্ড ঘাটতে গিয়ে অবাক হয়ে দেখলো তিনি প্রতি ঘন্টায় অবিশ্বাস্য সংখ্যক রোগী দেখেছেন! একজন ডাক্তার যদি ওই সময়ের মধ্যে এতো সংখ্যক রোগী দেখে থাকেন তাহলে তিনি রোগীর সমস্যা সময় নিয়ে শুনেছেন কী করে সমাধান দিলেন কী করে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। দোষ স্বীকার করে নেবার পর তাকে সতর্ক করা হয়। একবার এক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি আগে রোগীকে একটি আদালতের চিঠি হাতে দেন পড়তে। তার বিষয়ে একটি অভিযোগ আদালতে প্রমানীত হয়েছে। তিনি আদালতের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপীল করেছেন। আদালত এই আপীল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাকে শর্ত সাপেক্ষ রোগী দেখার অনুমতি দিয়েছেন। শর্তটা হচ্ছে রোগীকে আগে তার অপরাধ সম্পর্কে আদালতের সিদ্ধান্তের লিখিত চিঠিটি পড়তে দিতে হবে। সেটি পড়ে যদি রোগী তার চিকিৎসা নিতে রাজি হন তবেই তিনি শুধু সেই রোগীকে দেখতে চিকিৎসা দিতে পারবেন। পৃথিবী জুড়ে এমন কেউ কোথাও জবাবদিহির উর্ধে নন।
যে কোন দেশের যে কোন চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ন একটি চরিত্রের নাম নার্স। অস্ট্রেলিয়ার হাসপাতালগুলোতে গেলে নার্সদের আন্তরিক ভূমিকা সব অবাক হয়ে দেখি। নিজের থেকে পরিচয় দেবার আগ পর্যন্ত ভাবার উপায় নেই সে ডাক্তার না নার্স। এসব দেশে ডাক্তারদের পরামর্শমতো চিকিৎসার বড় কাজটি আসলে নার্সরই করেন। ডাক্তার এসে আগে দেখেন তার কম্পিউটার। যেখানে সব ব্যবস্থার আদ্যপান্ত দেয়া আছে। এসব দেশে ডাক্তার-নার্স, চিকিৎসা সংশ্লিষ্ট প্রতিটি চরিত্রটি পদে পদে আইন শেখানো হয় আগে। এরজন্যে এদের সবাই সারাক্ষন রোগীকে ভয় পান।
বাংলাদেশ থেকে যত ছাত্রছাত্রী অস্ট্রেলিয়ায় পড়তে আসেন তাদের সিংহভাগের এখানে নার্সিং পড়ার যোগ্যতাই নেই। নার্সিং বা ফার্মাসিতে পড়তে আইএলটিএস’এর যে স্কোর লাগে তা নেই তেমন অনেকেরই। নার্সিং’এ পড়লে এদেশে অভিবাসন-চাকরি এসবে যে নিশ্চয়তা তা অন্য অনেক ক্ষেত্রেই নেই। সামাজিক কারনে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা এখানে নার্সিং পড়তে আসেনা। যে সব বিষয়ে পড়তে আসে এসবের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এখন আর নেই চাকরির গ্যারান্টি। ফিলিপেনো, ভারত-নেপালের নার্সে ভর্তি অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসা ব্যবস্থায়। বাংলাদেশ থেকে যে সব এজেন্সী অস্ট্রেলিয়ায় ছাত্রছাত্রী পাঠায় তাদের এক কর্মকর্তাকে একবার জিজ্ঞেস করেছিলাম নার্সিং’এ ছেলেমেয়েদের পাঠাননা কেনো। উত্তর এসেছে নার্সিং’এর কথা বললে অভিভাবকরা মারতে আসে! এই একটি উত্তর থেকেই ফুটে ওঠে আমাদের সমাজে এখনও নার্সদের কোন দৃষ্টিতে দেখা হয়। চিকিৎসা ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ন এই চরিত্রটি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গী না পাল্টানো পর্যন্ত বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবায় গুনগত অগ্রগতি কঠিন।
অস্ট্রেলিয়ায় একজনকে ডাক্তার হতে কোন কোন ঘাট পেরিয়ে আসতে হয় তা সংশ্লিষ্টদের মুখস্ত। এএমসি তথা অস্ট্রেলিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিলের দুটি পর্বের পরীক্ষা পাশের পর ডাক্তারি করার লাইসেন্স পেতে যে কাউকে দু’বছর গ্রামাঞ্চলে বা কান্ট্রি সাইডে থাকতেই হবে। এএমসি পাশের আগ পর্যন্ততো কেউ অন্য কিছুর চিন্তাই করতে পারবেননা। এই ঘাট পেরুবার আগে অন্য সবার মতো বাংলাদেশ বা যে কোন দেশ থেকে আসা ডাক্তারদেরও এখানে দোকানে-রেষ্টুরেন্টে, সুপার মার্কেট-ক্লিনিং জব যা পাওয়া যায় তাই করতে হয়। কোথাও তদবির করে কারো এগিয়ে যাবার বা কিছু এড়িয়ে যাবার সুযোগ নেই। সুযোগ নেই অজুহাত মাষ্টারদের মাষ্টারির। বাংলাদেশের চিকিৎসা দুর্নীতির অন্যতম সূতিকগার যেন সরকার দলীয় ডাক্তাদের সংগঠন। এটির নাম কখনো ড্যাব কখনো স্বাচিপ হয়। সদস্যদের অসৎ স্বার্থ দেখাই যেন শুধু এসব সংগঠনের কাজ! সে কারনে চিকিৎসা দুর্নীতির বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রীরও পাশে নেই এখন স্বাচিপ অথবা বিএমএ! স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্মচারীর দুর্নীতি নিয়ে কয়েকদিন হৈচৈ হলো। কত আদর, তাকে এখনো ধরার নাম নেই! এরপিছনে কী কোন দায়দায়িত্ব নেই স্বাস্থ্যমন্ত্রীর? তার পরিবারের দুর্নীতির তদন্ত করবে কে? না শুধু মন্ত্রিপরিষদ থেকে বাদ দিলেই সব অপরাধ মাফ?
ছোটবড় সব সরকারি হাসপাতাল-চিকিৎসাকেন্দ্র দেশের স্বাস্থ্য সেবা অথবা দুর্নীতির একেকটি ইউনিট। ডাক্তাররাই এসবের নেতৃত্বে। সিভিল সার্জনও একজন ডাক্তার। কাজেই যেখানে যিনি নেতৃত্বে আছেন তিনি যদি সৎ, দুর্নীতিমুক্ত না হন অধীনস্তরাও খুব স্বাভাবিক তার অনুসারী হবেন। কাজেই প্রধানমন্ত্রী যেখানে হাত দিয়েছেন তাতে লেগে থাকলে একটা সুফল আসবেই। এরমাঝে এক টিভির সাংবাদিক টিম এক হাসপাতালের ওয়ার্ডবয়ের হামলার শিকার হয়েছেন। সরকারি হাসপাতাল দুর্নীতির অন্যতম চরিত্র এই ওয়ার্ডবয়। ঢাকা মেডিকেলের বাইরের এম্বুলেন্স বানিজ্যটি কিভাবে চলে তা দুদক-পুলিশ জানেনা এটা ভাবার কোন কারন নেই। সারা বাংলাদেশের চিত্র এক। চিকিৎসা দুর্নীতির মৌচাকে ঢিল ছুঁড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এখানে শুধু দুর্নীতির চরিত্র ডাক্তার-নার্স না। সেনাবাহিনীর পোশাকপরা যে কর্তা ব্যক্তিটি, তিনি ওখানে শুধু টেলিভিশনে ইন্টারভ্যু দেবার জন্যে বসা নেই। তাকেও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। বন্ধ করতে হবে অজুহাতপর্ব। হাতের কাছে যা সামর্থ্য আছে তা কাজে লাগিয়ে সবকিছু সামাল দিতে হবে। লোকবল বাড়ানোর চাইতে গুরুত্ব দিতে হবে চলতি লোকবলকে অধিকতর দক্ষ, তার পুরোটা আদায় করার বিষয়ে। তিনি বিশেষ দক্ষ বলেইতো একসঙ্গে অনেক জায়গায় কাজ করেন। সরকারি চাকরির বেতনে তার না পোষালে তাকে তা ছাড়তে হবে বা বাদ দিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনার পর কোথায় কাকে ওএসডি বা কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা এখন পর্যন্ত কেউ জানেনা। এটা স্বাস্থ্য বিভাগের ফাজলামো। নিয়মিত ব্রিফিং তথা জনগনকে জানানোর ব্যবস্থা থাকতে হবে। সৎ, ত্যাগী ডাক্তার-নার্স-চিকিৎসাকর্মীদের পুরষ্কৃত করতে হবে, সামনে নিয়ে আসতে হবে। চিকিৎসা কেন্দ্রগুলোর সীমাবদ্ধতা নিরসনে নিতে হবে দ্রুত উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে দেয়া যাবেনা। তাহলে কিন্তু রোগীরা আরও জিম্মি-অসহায় হয়ে যাবে। সড়ক-শিক্ষা-চিকিৎসা আপাতত এই তিন সেক্টরের নৈরাজ্য যদি বাগে আনা যায় তাহলে দেশের মানুষের জীবন কিছুটা স্বস্তিকর হবে। দেশ অগ্রসর হবে আরও দ্রুত। দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রিয় প্রধানমন্ত্রী। মানুষের বিরুদ্ধে যারা যেখানে দাঁড়াতে চাইবে তাদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও প্রিয় বাংলাদেশ।
Related Articles
Bangladesh Prime Minister attends BIMSTEC Summit in Myanmar: Economic Partnership between two region
Prime Minister Sheikh Hasina is scheduled to leave for Myanmar on 3rd March for a two-day visit to attend the
বিদেশে বৈশাখ
গত চার দিন হলো আমি সিজনাল ফ্লুতে আক্রান্ত, শরীরের ঠান্ডা গরম কে তোয়াক্কা না করেই গিয়েছিলাম গত কাল বৈশাখের অনুষ্ঠানে,
NINFA’s celebration and some thoughts on Bangladesh
2017 International Day of World’s Indigenous Peoples by Nepal in Australia and some thoughts on Bangladesh On 12 August 2017,