নরসুন্দর পুলিশ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যানদের গ্রেফতার করুন
ফজলুল বারী: হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দৃশ্যমান নরসুন্দর পুলিশ অফিসার, ইউপি চেয়ারম্যান! সাদা বাংলায় নাপিত। বখাটে কাটিং নামে তারা চুল কাটা নিয়েও ফতোয়া- ফরমান দিচ্ছেন! একজন এমপির কাজ সংসদে। কিন্তু হঠাৎ তেমন একজনকে একদিন দেখা গেলো পার্কে কোন কোন ছেলেমেয়ে প্রেম করে তাদের শায়েস্তায় মাঠে নেমেছেন! এসব আবার ভিডিও করে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়! যার যা কাজ সেই আসল কাজের খবর নেই, উল্টো ‘নাই কাজতো খই ভাজ’ জাতীয় বাড়াবাড়ি আর কি! এরমাঝে ভাইরাল হয়েছে জামালপুরের নারী লুলুপ জেলা প্রশাসকের ভিডিও। বদমায়েশি করার জন্য অফিসকক্ষের লাগোয়া মিটিং রূমের চেয়ারটেবিল সরিয়ে সেখানে তিনি খাট পেতেছিলেন! ধরা পড়ার দিন এক নারী অফিসকর্মীকে জড়িয়ে ধরে সেখানে নিতে নিতে বাতি নিভিয়ে দেন জেলার দাপুটে কুলাঙ্গার শাসক! এসব ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবার প্রতিপক্ষ যে তার অফিসের ভিতরেও থাকতে পারে এর হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলাতে অতঃপর তিনি ধরা পড়েছেন। চালাক চতুররা ধরা পড়েনা।
হঠাৎ করে চুল কাটার প্রবনতার ছবি দেখে বাংলাদেশের জিয়া-এরশাদের রসামরিক শাসনের সময়গুলোর কথা মনে পড়ে গেলো। যখনই বাংলাদেশে সামরিক শাসন এসেছে তখনই দেখা যেতো সেনা সদস্যরা লোকজনকে ধরে রাস্তারপাশে বসিয়ে চুল কেটে দিচ্ছেন! অথবা নারীর শরীরের যে অংশ দেখা যাচ্ছে জঘন্য চিন্তায় সেখানে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে আলকাতরা! আরেকটা কাজ করতো তখন সামরিক শাসনের সেনা জওয়ানরা। গাছের গোড়ায় শুধু সাদা চুন লাগিয়ে দেখাতো জংলী আইন বলবৎ করায় দেশের সবকিছু ফকফকা! এর সবই জাস্ট হাঁটুর বুদ্ধির অপতৎপরতা আর কি। সেই সামরিক শাসন নামের জংলী আইনের ভূতযুক্ত পুলিশের ওসি-ইউপি চেয়ারম্যানকে এখনও আইন নিজের হাতে তুলে নেবার দায়ে গ্রেফতার করা হয়নি। গ্রেফতার করা হয়নি আইন হাতে তুলে নেয়া সেই এমপিকেও। সামাজিক নৈরাজ্য দূরীকরনের নামে এরা আসলে নয়া নৈরাজ্য সৃষ্টির হোতা। ছেলেমেয়েরা প্রেম করবে নাতো রাস্তাঘাটে ধর্ষন করবে? কে চুল কিভাবে কাটলো না কাটলো এটা কি দেশের পয়লা নাম্বার সমস্যা? ছেলেপুলের আপনারা নির্বিঘ্ন শিক্ষা, কাজের ব্যবস্থা করেছেন? যত্ত সব বদমায়েশি বুদ্ধি।
প্রিয় প্রজন্ম ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমি কাজ করি। কাকে কিভাবে ভালোবাসা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয় অভিজ্ঞতা দিয়ে এর কিছু পথ জানি। এ নিয়ে যারা পড়াশুনা করেছেন তারা নিশ্চয় এ বিষয়গুলো নিয়ে অনেক ভালো জানেন। এমনিতে আমাদের দেশের শিশু-কিশোর-তরুনদের বিকাশের নানা সুযোগ-সুবিধা সীমিত। সুযোগ-সুবিধা আমাদের শৈশব-কৈশোরে যা যা ছিল তাও এখন নেই। শিশু বিকাশের সুযোগ-সুবিধা মানে চলতি সময়ের কিন্ডারগার্টেন, ইংলিশ স্কুল নয়। আমাদের সামাজিক পরিবেশটি ছিল গুরুত্বপূর্ন। শিক্ষকরা ছিলেন সেরা। এখন সবকিছুতে গোজামিল-মেকিপনা। সামাজিক নিরাপত্তার নানাকিছু ভেঙ্গে পড়েছে। আমাদের সময়ে যে সব খেলার মাঠ বা ফসল তোলার পর উদোম ক্ষেতের মাঠ ছিলো। বৃষ্টির দিনেও কাদাজল মেখে হাডুডু, ফুটবল খেলা চলতো। সেগুলোর বেশিরভাগ জুড়ে আজ বাড়িঘর-শপিং মল। আমাদের সময় পাড়ায় পাড়ায় নাটক-যাত্রা হতো। সিনেমা দেখা ছিল আমাদের কৈশোর-যৌবনের অন্যতম বিনোদন মাধ্যম। এখন সিনেমা হল বন্ধ। খেলার মাঠ নেই। নানান ভয়ের সংস্কৃতির কারনে শিশু-কিশোর জীবন গৃহবন্দী। মোবাইল-ইন্টারনেট নির্ভর বন্দী জীবন।
আমাদের শিক্ষকরা ছিলেন পিতৃতূল্য। আমরা তাদের শ্রদ্ধা করতাম-ভয় পেতাম। তারাও আমাদের সন্তানের মতো স্নেহ করতেন। এখনকার শিক্ষকদের সিংহভাগ চান্স মোহাম্মদ। অন্য চাকরিতে সুযোগ না পেয়ে ঘুষের বিনিময়ে শিক্ষকতার চাকরি নিয়েছেন। শিক্ষকতায় মনোযোগ নেই অথবা তাদের সে যোগ্যতাও নেই। এদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আবার ধর্ষকামী। স্কুল-মাদ্রাসা সবজায়গায় সমান বেহাল চিত্র। এমন একটি সময়ের প্রোডাক্ট ছেলেদের চুল কেটে কী সভ্য করবেন থানার ঘুষখোর ওসি বা জবরদস্তিতে নির্বাচিত এমপি-ইউপি চেয়ারম্যান? কথায় কথায় সারাদিন ডিজিটাল বাংলাদেশ বলে গলা ফাটান! আচরন-ব্যবহারেতো এনালগ যুগের গ্রাম্য মোড়ল! এদের রুখতে হবে বাংলাদেশ।
উন্নত বিশ্ব শিক্ষাকে যেমন পন্য করেছে তেমনি নিশ্চিত করেছে শিশুকাল-কৈশোরের বিকাশের নানান মানসম্মত অবকাঠামো। এখানে কারো শিক্ষক হওয়া অনেক কাঠখড় পোড়ানো সংগ্রাম কষ্টের। স্কুল মানে বিশাল স্থাপনা। এখানে খেলার মাঠ-জিমনেশিয়াম-লাইব্রেরি-মিলনায়তন সবকিছু বাধ্যতামূলক থাকবেই। স্কুলে বাচ্চাদের পড়ানো হয় খেলার ফাঁকে। তাই পড়াটা এরা এনজয় করে। স্কুল এদের কাছে গাদা গাদা বই-খাতার ভীতিকর গন্তব্য নয়। তাই সব বাচ্চা এখানে স্কুলে যেতে চায়। কেউ স্কুল মিস করতে চায় না। এখানকার স্কুলগুলোর নানা অবকাঠামো দেখি, বাচ্চাদের স্কুল জীবন এনজয় করা দেখি আর হাহাকার করে মন। আমার দেশের মেয়েগুলো মেয়ে হিসাবে বড় হয়। এখানে বড় হয় মানুষ হিসাবে। আমাদের দেশের দূর্ভাগা বাচ্চারা এসব জানলোনা দেখলোনা। মূলত এখানে স্কুল জীবনেই বাচ্চাদের মেধা-আগ্রহ যাচাই করে তার ভবিষ্যত গড়ার কাঠামো ঠিক করা হয়। বাচ্চাটি ক্রিকেট, ফুটবল না সঙ্গীতে আগ্রহী? এক স্কুলে দেখা গেল বাচ্চাটি আগ্রহী ভিজ্যুয়াল আর্টে। এই বিষয়ের শিক্ষক ছিলোনা সেই স্কুলে। শুধুমাত্র ওই বাচ্চাটির জন্যে হায়ার করা হলো ভিজ্যুয়াল আর্টের শিক্ষক। বাংলাদেশে এটা ভাবা যায়? সবই সম্ভব ছিল। যদি চুরি দুর্নীতিটা শুধু বন্ধ করা যেতো।
এই যে এসব দেশ খেলাধুলার নানা আসর, এশিয়ান গেমস, অলিম্পিকে এতো এতো পদক পায়, এসবতো আর একদিনে হঠাৎ করে সৃষ্টি হয়ে যায়নি। সব অবকাঠামোর মূলে স্কুল। স্কুলেই তাকে সামাজিক শিক্ষাও দেয়া হয়। গড়ে তোলা হয় নানান প্রফেশনাল স্কিল। বাচ্চার বিকাশে কোন মনোবিদ বা বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন দেখা দিলে স্কুল কাউন্সিলর অভিভাবকদের বৈঠকে ডাকেন। চীন সহ মঙ্গোলিয়ান দেশগুলোর লোকজনের বেশিরভাগ উচ্চতায় খাটো। কিন্তু তাদের বাচ্চারা এসব দেশে অনেক লম্বা হয়ে বেড়ে উঠছে। এরকারন এসব দেশের স্কুলিং। খেলার মাঝে মাঝে পড়া। আর খাঁটি দুধ।
আমাদের সিংহভাগ বাচ্চাদের এসব নসিবেই নাই। ভাত দেবার মুরোদ নেই কিল মারার গোঁসাইরা আছেন! দুষ্টু প্রকৃতির বখাটে ছেলেপুলে সব দেশে আছে। কিন্তু তাদের নার্সিং’এরও আধুনিক সভ্য ব্যবস্থা আছে। মনোবিদদের নিয়োগ দিয়ে গড়া হয় এসব বাচ্চাদের নার্সিং এর নানা মাধ্যম। আমার অভিজ্ঞতা সাধারন চিন্তার একটু বেয়াদব-বেয়াড়া টাইপের ছেলেপুলে তুলনামূলক মেধাবী হয়। যথাযথ নার্সিং এর মাধ্যমে পাল্টে দেয়া যায় তাদের জীবন। চুল কাটার স্টাইল বা ছেলেমেয়েদের পার্কে যাওয়াকে যারা দেশের মূল সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছে এরা আসলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী। এদেরর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা দরকার। আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ায় এদের গ্রেফতার করে বিচারের সম্মুখিন করতে হবে।
গত নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগ-বিএনপি দু’দলই তাদের ইস্তেহারে বেকার ভাতা চালুর প্রস্তাব করেছিল। আমাদের দেশের বাস্তবতা ভোটের পর রাজনৈতিক দলগুলো ইস্তেহার-অঙ্গীকার সচেতনভাবেই ভুলে যায়। একাধিক টিভি চ্যানেলের টকশো’র বিজ্ঞ আলোচকরা বেকার ভাতার অঙ্গীকারকে অবাস্তব বলছিলেন। কিন্তু বেকার ভাতা মোটেই অবাস্তব কিছু নয়।
বেকার ভাতা মানে অনির্দিষ্টকাল ভাতা দিয়ে যাওয়া নয়। বেকার ভাতা তালিকাভূক্ত বেকারদের চাকরির ক্ষেত্র তৈরির সাময়িক প্রক্রিয়া মাত্র। অস্ট্রেলিয়ায় বেকার ভাতা দেবার প্রক্রিয়াটি এখানে সবার সঙ্গে শেয়ার করছি। অস্ট্রেলিয়ার কিছু শেয়ার করলে বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া নয় বলে ধেই ধেই করে ওঠেন। অথচ সারাক্ষন বলেন বাংলাদেশ উন্নত দেশ হয়ে যাচ্ছে-উন্নত দেশ করতে হবে। কারো চুল কাটা নিয়ন্ত্রন বা পার্কে যাওয়া বন্ধ করলেই কোন দেশ উন্নত হয়ে যায় না। উন্নত দেশ করতে দেশের মানুষের জীবনমান উন্নত করতে হবে। অধিকার দিতে মানুষকে মানুষ হিসাবে। অধিকার দেয়া আর দয়া দেখানো এক নয়।
অস্ট্রেলিয়া নামের এই কল্যান রাষ্ট্র এর নাগরিকদের সেন্টার লিংক নামের সংস্থার মাধ্যমে বেকার সহ নিম্ন আয়ের পরিবারের সদস্যদের ভাতার ব্যবস্থা করে। এদেশের স্কুল টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত। বেকার ভাতা ছাড়াও স্বল্প অথবা নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানদের টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত ভাতা দেয়া হয় অভিভাবক বা কেয়ারারের মাধ্যমে। প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর ভাতার টাকা অভিভাবক অথবা কেয়ারারের ব্যাংক একাউন্টে চলে যায়। এমন পরিবারের মা যদি সন্তানের ছয় বছর পর্যন্ত বাচ্চা লালনপালন উপলক্ষে কাজ করতে না চান সেই মাকেও দেয়া হয় পেরেন্টিয়াল ভাতা। কাজেই বাড়িতে যিনি গৃহস্থালীর কাজ করেন তাদেরও একটি নিয়মিত আয় আছে। এসব ভাতার সঙ্গে খাবার খরচ, বাড়িভাড়া, বিদ্যুৎ ব্যয় বিবেচনায় রাখা হয়।
অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের প্রাথমিক চিকিৎসা ফ্রি। সরকারি স্কুলে টুয়েলভ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশুনা ও যাতায়াত ব্যয় ফ্রি। সব নাগরিক সরকারি হাসপাতালেও ফ্রি চিকিৎসা পান। তবে স্পেশালিস্ট চিকিৎসক সব ক্ষেত্রে পুরোটা ফ্রি নয়। উচ্চ শিক্ষার জন্য শিক্ষা ঋনের ব্যবস্থা করা হয়। উচ্চ শিক্ষার সময়ও নিম্ন আয়ভূক্তরা সাপ্তাহিক ভাতা পান এবং হ্রাসকৃত মূল্যে ভ্রমন এবং ওষুধ কিনতে পারেন। বয়স্কভাতা এবং আবাসন-চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকায় বয়স্ক ব্যক্তিরা এদেশে কারও গলগ্রহ থাকেননা। সামাজিক নিরাপত্তার এসব ব্যবস্থার কারনে এদেশে মানুষের গড় আয়ুও বেশি।
এবারে বেকার ভাতার প্রসঙ্গে আসি। বেকাররা এদেশের সেন্টার লিংকের সঙ্গে যোগাযোগের দিনই তাদেরকে নথিভূক্ত করে তাদেরকে একটি কাস্টমার রেফোরেন্স নাম্বার দেয়া হয়। তার সঙ্গে প্রত্যক্ষ সাক্ষাৎকারের দিন তারিখ ঠিক হয় সেদিনই। সাক্ষাৎকারে নাগরিকত্বের প্রমানপত্র, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ যদি থাকে তা সঙ্গে নিতে হয়। একজন বেকার যে দিন সেন্টার লিংকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সেদিন থেকে হিসাব করেই এরিয়ার সহ দেয়া ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে দেয়া হয় পাক্ষিক বেকার ভাতা। যোগাযোগের দিন থেকে নানা প্রক্রিয়া শেষে এই ভাতা পেতে কখনো কখনো মাসাধিককালও লেগে যায়। তালিকাভূক্ত বেকার ব্যক্তিকে কোন একটি জব সেন্টারের সঙ্গে যোগাযোগ করিয়ে দেয় সেন্টার লিংক। এসব জব সেন্টার এনজিও প্রকৃতির বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। বেকারদের চাকরি খুঁজে দিতে সহায়তার বিনিময়ে এরা সরকার থেকে সার্ভিস চার্জ পান। তালিকাভূক্ত বেকার ব্যক্তিটিকে সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনগুলোয় জব সেন্টারে গিয়ে ফোনে বা অনলাইনে জব খুঁজতে হয়। জব সেন্টারের কাছেও কোন কাজের প্রস্তাব এলে তালিকাভূক্ত বেকারদের সেখানে নিয়োগের চেষ্টা করা হয়। এসবের বেশিরভাগ কাজ শ্রমিকের। শারীরিক কারনে কেউ এসব কাজে যেতে না চাইলে তাদেরকে জোর করা হয়না।
জব সেন্টারে যৌক্তিক কারন ছাড়া কেউ অনুপস্থিত থাকলে তার ভাতা স্থগিত হয়ে যায়। তখন সেন্টার লিংক, জব সেন্টার উভয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাতা পুনর্বহাল করাতে হয়। এমন তালিকাভূক্তদের নিয়ে নানান ওয়ার্কশপেরও আয়োজন করা হয় জব সেন্টারে। কোন প্রতিষ্ঠান এসব তালিকাভূক্ত বেকারকে চাকরি দিলে সরকার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটিকে আর্থিক প্রনোদনা দেয়। ছয়মাসে এই প্রনোদনার পরিমান আট হাজার ডলারের বেশি। প্রনোদনার জন্যেও অনেক প্রতিষ্ঠান এসব ভাতাভূক্ত বেকারদের কাজ দিতে উৎসাহী হয়। প্রথম দিন কাজে যেতে নতুন চাকুরিপ্রাপ্তদের দেখতে যাতে ভালো দেখায় সে জন্যে তাদের পোশাক-জুতো কিনতেও টাকা দেয়া হয়। দেয়া হয় প্রথম কয়েকদিনের যাতায়াতভাতা। নতুন চাকরির বেতন না পাওয়া পর্যন্ত ভাতা অব্যাহত রাখা হয়। অস্ট্রেলিয়ার এই পাক্ষিক বেকার ভাতার পরিমান বাংলাদেশের টাকায় কুড়ি হাজার টাকার বেশি। রাষ্ট্র নাগরিকদের এই সার্ভিস প্রদানকে তার কৃতি্ত্ব নয় দায়িত্ব হিসাবে দেখে। বাংলাদেশে বেকার ভাতা চালু করলে সপ্তাহে নিশ্চয় তা দশ হাজার টাকা আশা করেননা। ঘুষ-দুর্নীতি বন্ধ করা গেলে বাংলাদেশেও এটি চালু করা সম্ভব। বেকারভাতার ব্যবস্থা থাকায় অস্ট্রেলিয়ার আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রনে। বেকারভাতা চালু করলে বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতিতেও নাটকীয় অগ্রগতি ঘটবে। চুল কেটে বা পার্কে যাওয়া বন্ধ করে কোন দেশের আইনশৃংখলার নিয়ন্ত্রন হবে যারা মনে করেন তাদেরকে গাধা নাম দিলে আসল গাধাও মাইন্ড করবে। কারন আসল গাধাও এদের মতো গর্দভ নয়।
Related Articles
Bangladesh Politics : When Time entered in the tunnel
It was clearly visible to the people of Bangladesh the failure of the above two top leaders prior to 1
স্বপ্ন-বিধায়ক (অন্তরা ১)
মা ছোটোবেলায় সবসময় একটা কথা বলতেন,” বাবা মেয়েদের সবসময় সন্মান করে চলবা, নিজের বোনের মত দেখবা, তুমি একা তোমার তো
Article on Caretaker Government
তত্ত্বাবধায়ক সরকার , আসলে কি অবৈধ দম্পত্তির বৈধ সন্তান – ১. লেখালেখি আমার তেমন কোন নেশা ও নয়, আবার পেশাও