এই মেধাবীরা ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার হয়ে কী করবে?

বাংলাদেশের মেধাবী নতুন প্রজন্ম বহুদিন পর আন্দোলনে এসেছিল। আমি সব সময় তরুনদের সুযোগ দেবার পক্ষে। এবারের তরুনদের আন্দোলনটি অবশ্য ছিল একান্তই তাদের নিজস্ব স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। পড়াশুনা শেষে তারা সরকারি চাকরি চায়। তাদের মনে হচ্ছিল কোটা ব্যবস্থার কারনে তারা চাকরি পাচ্ছেনা। ৫৬ শতাংশ কোটা বহাল ছিল দেশে। এরমাঝে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ছিল ৩০ শতাংশ। নারী, জেলা, আদিবাসী, প্রতিবন্দ্বী কোটাও ছিল। বিদ্যমান কোটার সংখ্যাটি অবশ্যই অস্বাভাবিক। কিন্তু প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে দূর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে যেন শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটাটিই টার্গেট হয়ে গিয়েছিল অথবা করা হয়েছিল! তাও আবার বঙ্গবন্ধুর ছবি মাথার ওপর ঝুলিয়ে! অথচ বঙ্গবন্ধুই মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যে ২০ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন। আর এই মুক্তিযোদ্ধা কোটা সৃষ্টির সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কোন সম্পর্ক নেই। কোটা বা কোনকিছুর আশায় তারা যুদ্ধে যাননি। দেশ স্বাধীন করা ছাড়া তাদের সেদিন কোন আশা ছিলোনা। কেনো মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সে প্রসঙ্গে পরে আসছি।
কোটা বাতিলের কথা না বলে সংস্কারের কথা বলা হচ্ছিল এই আন্দোলনে। আবার বলা হচ্ছিল ১০ শতাংশের বেশি কোটা থাকতে পারবেনা। ১০ শতাংশ কোটায় এতসব সুবিধা বঞ্চিতদের রাখা সম্ভব ছিলোনা। প্রধানমন্ত্রীও শুরুতে বলছিলেন মুক্তিযোদ্ধা কোটায় হাত দেয়া হবেনা। আন্দোলনে খুশি বিএনপিও ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার পক্ষে ছিল। কিন্তু তরুনদের আন্দোলন যে আবেগী পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ নিয়ে আর দরকষাকষিতে যেতে চাননি। জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে নিজের মতের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বলেছেন তাহলে আর সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থাই থাকবেনা। তাঁর এই ঘোষনায় আন্দোলনকারীদের অনেকে তাৎক্ষনিক বিব্রত অথবা হতবিহবল অবস্থায় পড়েন! তাদের কেউ কেউ বলার চেষ্টা করেন, তারাতো কোটা ব্যবস্থার বাতিল নয় সংস্কার চেয়েছিলেন। সংস্কারের ব্যাখ্যা তাদের কাছে ছিলোনা। কিন্তু বলে দেয়া ছিলো, ১০ শতাংশের বেশি কোটা রাখা যাবেনা। ১০ শতাংশের মধ্যে যেহেতু সবাইকে একোমডেট করা সম্ভব ছিলোনা, এক্ষেত্রে সরকারি বিকল্প যে কোন প্রস্তাবনায় ‘মানিনা মানবোনা’ মিছিল শুরু হয়ে যেতে পারতো বলে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে আর কোন ঝামেলায় যেতে চাননি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষনাটি আদালতে আটকে যেতে পারে। কারন কোটা বাতিলের তাঁর ঘোষনাটি বাংলাদেশের সংবিধান পরিপন্থী।
যেভাবেই ঘটুক না তরুনদের আন্দোলনে সরকার কাবু নতজানু হয়েছে। দূর্ভাগ্যজনকভাবে যুদ্ধাপরাধী সাঈদির চন্দ্রাভিযানের মতো মিথ্যার আশ্রয়ও নেয়া হয়েছে আন্দোলনে! এসব সহ তারুন্যের উন্মাদনা বিজয়ী এই আন্দোলনের ফলাফল হতে পারে সুদূরপ্রসারী। যত ছেলেমেয়ে সরকারি চাকরির আশায় আন্দোলনে এসেছে এর কিয়দংশ শুধু চাকরি পাবে। কারন অত সরকারি চাকরি নেই। আর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ বাংলাদেশে নতুন মেধাবী ছেলেমেয়েদের চাকরি পাবার মূল সমস্যা শুধু কোটা ব্যবস্থা না। কোটার আন্দোলনে চাকরি পাবার অন্য বাস্তব সমস্যাগুলো আড়াল হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আন্দোলন সংশ্লিষ্ট কারো কারো লেখালেখিতে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের পরিবারবর্গের প্রতি যে ঘৃনার প্রকাশ পেয়েছে তা খুবই দূর্ভাগ্যজনক এবং অকল্পনীয়। ‘আমরা রাজাকার হবো’ বা ‘আমরা রাজাকার হতে চাই’ এমন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা মিছিলে এসেছে বা আসতে পারে এটি ভাবা যায়? এদের কি বাংলাদেশের সরকারি চাকরি পাওয়া উচিত? যে যত মেধাবীই হোক না কেনো বা নিজেদের নিজেরাই মেধাবী মনে করুক না কেনো পৃথিবীর সব দেশেরই নিজস্ব জাতীয় সম্মান-মর্যাদা-নিরাপত্তার বিশেষ কিছু স্বতঃসিদ্ধ রীতিনীতি থাকে। রাস্তায় অশ্লীল শ্লোগান লেখা আন্দোলন কী প্রতিনিধিত্ব করে বাংলাদেশের সমগ্র তরুন সম্প্রদায়ের?
বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনৈতিক আন্দোলনের মতো এই ছেলেমেয়েরাও দেশের মানুষের রাস্তা বন্ধ করে অন্যদের কষ্ট-ভোগান্তি দিয়ে আন্দোলন করেছে। বাংলাদেশের কোন আন্দোলন যেমন গ্রামার মেনে হয়নি এ আন্দোলনও সহিংস হয়েছে। বলা হয়েছে পুলিশ তাদের সমাবেশে বিনা উস্কানিতে হামলা চালিয়েছে। এই ছেলেরা একদিন বাংলাদেশের ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ অফিসার হবে। তাদের দায়িত্বের এলাকায় যদি কোন একটি গোষ্ঠী মানুষের পথ আটকে বসে থাকে, মানুষকে কাজে, রোগীদের হাসপাতালে যেতে না দেয়, তখন একজন ম্যাজিস্ট্রেট বা পুলিশ অফিসার হিসাবে তাদের ভূমিকা কী হবে? বা তাদের দায়িত্বের এলাকায় যদি কেউ মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে মানুষকে উত্তেজিত-বিপদগামী করে তখন কী হবে তাদের ভূমিকা? আন্দোলন স্থগিতের সময় দেয়া একটি দাবিতে ছিল, ‘ভাংচুরের মামলা প্রত্যাহার করতে হবে’! তারা যখন ম্যাজিস্ট্রেট-পুলিশ অফিসার হবেন ভাংচুরের ঘটনার পর কী হবে তাদের ভূমিকা ? গোলাপ ফুল বিতরন?
মেধাবী ছেলেমেয়েদের বলছি, তোমরাই ভবিষ্যত বাংলাদেশ। তোমরা যে দেশটায় দাঁড়িয়ে, তাদের জন্মের বহু আগে যে অকুতোভয় তরুনরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছিল তাদের সিংহভাগ কিন্তু ছিল ঘরপালানো ছেলে, স্কুল-কলেজের ব্যাক বেঞ্চার অথবা অল্প শিক্ষিত, অথবা নিরক্ষর। ক্লাসের ফার্স্ট বয় বা যাদের বিশেষ মেধাবী বলা হয় মনে করা হয় তেমন খুব কম সংখ্যক তরুন কিন্তু সেই সময়ে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিল। তখন মেধাবীরা আব্বু-আম্মু’র বাধ্য-অনুগতও থাকতো বেশি। আব্বু-আম্মু রাগ করবে বা কান্না করবে মনে করে তারা যুদ্ধে যায়নি বা তারা অতি সতর্ক বলে ঝুঁকিতে যেতে চায়নি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আরেকটি অসত্য গল্পও চালু আছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে জনসংখ্যা তখন ছিল সাড়ে সাত কোটি। এদের এক কোটি শরণার্থী হিসাবে ভারতে যায়। এখানে ছিল সাড়ে ছয় কোটি। গালভরা গল্পে বলা হয় কিছু রাজাকার মুসলিম লীগার ছাড়া ওই সাড়ে ছয় কোটির বেশিরভাগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে ছিল! অসত্যটা এখানেই। প্রকৃত সত্য হচ্ছে সেই সাড়ে ছয় কোটির উল্লেখযোগ্য অংশ প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের পক্ষে ছিল।
অথবা তখনকার বাস্তবতায় এছাড়া তাদের উপায় ছিলোনা। মুক্তিযুদ্ধকে এরা বলতো গন্ডগোল! দেশ স্বাধীন হয়ে গেছে দেখে চালাক চতুররা জয়বাংলা বলে রাস্তায় নেমে পড়ে। আবার বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাদের সরে পড়তেও সময় লাগেনি। নতুবা সত্তুরের নির্বাচনে যে আওয়ামী লীগ নিরক্ষুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে, যে দলটির নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে সে দলটির অফিসিয়েল ভোট পয়ত্রিশ শতাংশ, আওয়ামী বিরোধীদের পয়ষট্টি শতাংশ হয় কী করে? মুক্তিযোদ্ধাদের গালি দেয়া, কটাক্ষ করা কাদের পক্ষে সম্ভব? মতিয়া চৌধুরী যাদের রাজাকারের বাচ্চা-বংশধর বলেছেন, সে হিসাব তাঁর কাছে আছে। কারন মতিয়া চৌধুরী একজন খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা এবং বর্তমান মন্ত্রিসভার দূর্নীতিমুক্ত মন্ত্রীদের একজন। যে রাজাকারের বংশধর নয় মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যে তার আতে ঘা লাগবে কেনো? যারা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেছে তারা কী বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠা-বিকাশে অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরীর ভূমিকা জানে? যে তরুনরা আগামীতে দেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হবে সে তরুনরা মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া চৌধুরীকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করে অজ্ঞতায়? না কারো ইন্দনে?
ভারতে মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা কর্মীরা ভারতের সকল প্রজন্মের মানুষের কাছে স্বাধীনতা সংগ্রামী হিসাবে পূজনীয়। অস্ট্রেলিয়ায় মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা, তাদের পরিবারের সদস্যরা দেশটায় ওয়ার ভ্যাটার্ন হিসাবে বিশেষ সম্মানীত। আদিবাসী বললেই অস্ট্রেলিয়ার যে কোন চাকরিতে অগ্রাধিকার। এদেশে নারী কোটা তিরিশ শতাংশের বেশি। কিন্তু কোটা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার তরুনদের মধ্যে মাতামাতি নেই। কারন এদেশের তরুনদের টার্গেট কোন কাজে আয় বেশি। সরকারি চাকরিতে বেতন কম। যেহেতু এখানে দূর্নীতি নেই বা এ জাতি দূর্নীতিতে অভ্যস্ত নয়, কাজে ফাঁকি দেবার সংস্কৃতি বা সুযোগ এখানে নেই, তাই সরকারি চাকরি তরুনদের কাছেও মহার্ঘ নয়। অথবা সরকারি চাকরিকে তারা চ্যালেঞ্জিং মনে করেনা।
ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনীয়ারের চাইতে এখানে ইলেক্ট্রিশিয়ানের আয় বেশি। তার বাড়ি-গাড়ি তুলনামূলক বেশি সুন্দর। মোটকথা যে কাজে আয় বেশি সে কাজেই বেশি আগ্রহী এদেশের তরুনরা। বাংলাদেশেও অবস্থা পাল্টাচ্ছে। সরকারি চাকরি মানে সব তরুন দূর্নীতিতে লাফিয়ে পড়ছেনা। মুক্তিযুদ্ধের পর মেধাবী চালাকচতুরা সবকিছু বাগিয়ে নেয়ায় পিছিয়ে পড়া সিংহভাগ মুক্তিযোদ্ধার নাম হয় দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধু তাদের টেনে তুলতে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তি নেতৃত্ব মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাড়িয়েছে। রাষ্ট্র যদি তাদের নাতিপুতিদের কোটা সুবিধা দিয়ে যায় তবু তাদের ঋন শোধ হবেনা। কোটা আন্দোলনের তরুনদের হাতে ‘আমরা রাজাকার হবো’ বা ‘আমরা রাজাকার হতে চাই’ এমন প্ল্যাকার্ড দেখে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধারা। একাত্তরের ত্রিপুরার গঞ্জের হাটে হাটে জ্বালাময়ী বক্তৃতায় যে মতিয়া চৌধুরী মুক্তিযোদ্ধাদের উজ্জিবিত করেছেন, নতুন প্রজন্ম তাকে অবাঞ্চিত ঘোষনা করবে? এই মুক্তিযোদ্ধা মতিয়া যেদিন মারা যাবেন এই তরুন অফিসারদের নেতৃত্বে তাঁর কফিনকে জাতীয় পতাকা মুড়িয়ে গার্ড অব অনার দেয়া হবে? প্রিয় প্রজন্ম আত্ম জিজ্ঞাসা করো। তোমার গন্তব্য কোথায়? একটা চাকরিই নিশ্চয় তোমার শেষ গন্তব্য নয়।
একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের লেখা দিয়ে শেষ করছি এ লেখাঃ “আমি একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি্তে শিক্ষকতা করি । আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। মুক্তিযোদ্ধা কোটা পাবলিক ইউনিভার্সিটির সার্কুলার এ উল্লেখ থাকলেও তারা অনুসরন করেনা। কিন্তু আমি জানি আমার মেধা আছে কি, নাই। কিন্তু আমাদের দেশের কিছু মানুষ (৭০-৮০%) মনে করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের কোন মেধা নাই। আমার প্রশ্ন টা এই জায়গাতে… । আবার আমি দেখেছি বাংলাদেশের প্রায় ৮০% মানুষ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের সন্তানদের খুব খারাপ ভাবে দেখে, মুক্তিযোদ্ধা দের অসম্মান করে, এমন কি গালিগালাজ করে। তবে ওপরতলার মুক্তিযোদ্ধারা এটা অনুভব করতে পারেনা। তাঁরা তো আর মানুষের সাথে মেলামেশা করে না। যারা দেশের জন্য প্রাণ দিল, যুদ্ধ করল… তাঁদেরকে আপমান করলে আমার খুব কষ্ট হয়। আজ বাংলাদেশের অবস্থা যদি ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, বেলুচিস্তান, ইরাক, লিবিয়া এমন কি রোহিঙ্গাদের মত হত তাহলে কি তাদের জন্ম হত কিংবা তারা কি বেঁচে থাকতো! আজ আমরা যাঁদের জন্য শান্তিতে দু মুঠো ভাত খেতে পাই তাঁদের কে আজ অসম্মানিত হতে হয়, লাঞ্ছিত হতে হয়। আজ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের বংশধরদের কোটা নিয়ে কথা উঠে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা সংশোধনের জন্য কিছু সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের বংশধরদের প্রতি এতোটাই বিদ্বেষ…… যে সময় দেওয়া হলোনা! এই হলো তাদের কৃতজ্ঞতা! এ অবস্থার জন্য ৭৫ পরবর্তী অবস্থাই দায়ী… এ সময় টা ছিল রাজাকারদের পুনর্বাসনের সময়। আজ এই দেশে মুক্তিযোদ্ধারা সম্ভবত সংখ্যালঘু………… যে জাতি এঁদের মত সন্তানদের সম্মান করতে পারেনা সে দেশের সমৃদ্ধি কি ভাবে সম্ভব?”
Related Articles
আমার অনুভূতিতে পূর্ণিমা
আজ পূর্ণিমা !! অনেক ছোট থেকেই এই দিনটার প্রতি আমার এক বিশেষ দুর্বলতা! অসাধারন সুন্দর এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টাকে মনের গভীরে
Canberra Eid-ul Fitr Friday 15th June 2018 / 1439
Asalamu-Alaikum WRT WBT (Greetings of Peace to all mankind) Eid-ul Fitr 1439H / 2018AD in Canberra has been confirmed by
21st February: A Day of Mourning, Pride Action
21st February is a day of national mourning, pride, reflection and action. It is the Language Martyr’s Day. It is