আপনার প্রিয় সমাবেশ “বিগেস্ট মর্নিং টি গুড মর্নিং বাংলাদেশ”

আপনার প্রিয় সমাবেশ “বিগেস্ট মর্নিং টি গুড মর্নিং বাংলাদেশ”

আবার আসছে…… ব্লাকটাউন, লাকেম্বা এবং ম্যাসকটে

বছর ঘুরে আবার আসলো নিউ সাউথ ওয়েলস ক্যান্সার কাউন্সিলের ফান্ড রেইজিং প্রোগ্রাম বিগেস্ট মর্নিং টি। ক্যান্সার কাউন্সিল ফান্ড রেইজিং আয়োজকদের জন্য একটি বিশেষ স্মরণীয় সময়। “বিগেস্ট মর্নিং টি” মরণ ব্যাধি ক্যান্সার নিরাময়ের ব্যয়বহুল রিসার্চের জন্য অর্থ সংগ্রহের একটি সেবামূলক ক্যাম্পেইন। সারা অস্ট্রেলিয়া ব্যাপী স্কুলের ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যেমন বিভিন্ন প্রোগ্রাম করে, চকলেট বিক্রি করে পয়সা তুলে, তেমনি বড় বড় কোম্পানির মালিকেরাও চা চক্ক্রের আয়োজন করে এই মহৎ কাজের জন্য পয়সা তোলার ব্যবস্থা করেন

ব্যাক্তিগত ভাবে অনেকেই এর নামে বুশ ওয়াকিং বা সাইকেলে চড়ে অনেক পথ পাড়ি দিয়ে ফান্ড সংগ্রহ করেন। এমনকি বাসায় বাসায় এর নামে টিনের বাক্সে খুচরো পয়সা জমা করে ক্যান্সার কাউন্সিলের ফান্ডে জমা দেন অনেক পরিবার।

সিডনিতে প্রবাসী বাংলাদেশীরাও সাড়া দিয়ে আসছেন সহজাত মানসিকতার কারণেই। এই মানবিক কাজে যোগ দিয়েছেন এই ক্যাম্পেইনের প্রায় গোরা থেকেই। গত ১৭ বছরের মত এবারেও এপ্রিল মাসের ২৯ এবং মে মাসের ৬ এবং ১৩ তারিখের তিন রোববারে সিডনিতে আয়োজিত হবে “বিগেস্ট মর্নিং টি” বাংলাদেশি স্টাইলে। আয়োজনে থাকবেন গুড মর্নিং বাংলাদেশ । আনন্দ হাসি মনে স্বেচ্ছাসেবীরা এগিয়ে আসবেন এই সেবা মুলক কাজের জন্যে।

নিউ সাউথ ওয়েলস ক্যান্সার কাউন্সিলের জন্য অর্থ সংগ্রহে প্রবাসী বাংলাদেশি পরিবারের এই মহৎ উদ্যোগের কথা শুধু বাংলাদেশীদের মুখে মুখে নয় এর গুণগান লোকাল এরিয়ার লোকজন তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও গুরুত্বের সাথে আলোচনা করেন, প্রশংসা করেন, উদাহরণ টানেন। এমনকি নিউ সাউথ ওয়েলস র স্টেট পার্লামেন্ট এবং অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল পার্লামেন্টেও বাংলাদেশী কমুনিটির এই সফল উদ্যোগ প্রশংসিত হয় যথেষ্ট উল্লাস আর করতালির মাধ্যমে। ২০০১ সালে যে প্রোগ্রামটি সিডনীর পশ্চিমাঞ্চল ব্ল্যাক-টাউনে মাত্র ৮০০ ডলারের নিচে সংগ্রহ করে, সেই একই প্রোগ্রাম এ যাবত তাঁদের সংগ্রহের খাতায় লিপিবদ্ধ করেছেন সর্বমোট প্রায় এক লক্ষ নব্বই হাজার ডলার ।

প্রতিবছরই বাড়ছে যেমন অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা, বাড়ছে নতুন প্রজন্মের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহন। সেই সাথে বাড়ছে সংগ্রহের পরিমান। নতুন প্রজন্ম দের স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ আয়োজকদের মনে অনেক আশার সঞ্চার করেছে। এভাবেই তো নতুনেরা এসে এমন একটি মহৎ কাজের হাল ধরবে। উত্তরসুরীদের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় গড়ে উঠা, গুডমর্নিং বাংলাদেশের ব্যানারে বেড়ে উঠা, বিগেস্ট মর্নিং টী তে পদচারণা করবে হাসিমুখে।

নতুন প্রজন্মের উচ্ছসিত অংশগ্রহন (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

নতুন প্রজন্মের উচ্ছসিত অংশগ্রহন (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

নতুন প্রজন্মের উচ্ছসিত অংশগ্রহন (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

নতুন প্রজন্মের উচ্ছসিত অংশগ্রহন (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

সিডনীর তিন ভেনুতে তিন রোববারে আয়োজিত হয় এই সকালের নাস্তার আয়োজন ‘গুড মর্নিং বাংলাদেশ” এই ব্যানারে। শহরের পশ্চিমাঞ্চল ব্ল্যাক টাউন, মধ্যাঞ্চল লাকেম্বায় একটি এবং পূর্বাঞ্চল ম্যাস্কট সাবার্বে আর একটি। প্রতিটি ভেনুতেই সকাল নয়টা থেকেই আসতে শুরু করেন আশে পাশের লোকজনেরা। হরেক রকমের চা, পেঁয়াজু এবং পুরি ততক্ষণে রেডি প্রায়। হাতে বানানো পরোটা আর ভাজির জন্য লাইনে থাকেন অনেকেই। ভুনা মাংস তো থাকেই। সকাল ৯ টা থেকেই অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে অংশগ্রহণকারী আর ক্রেতা দর্শকদের কোলাহলে মুখরিত হয়ে ওঠে। সদ্য ভাজা পরোটা,সদ্য হাড়ি থেকে নামানো ভাজি, মাংস আর গরম গরম ভাপা পিঠা, চিতই পিঠা,সিঙ্গারা, বিফ পেস্ট্রির গন্ধে ভরপুর থাকে প্রতিটি সেন্টার। থাকে মিষ্টি প্রিয় বাঙ্গালিদের হরেক রকমের মিষ্টি। চমচম, জিলাপি, রসগোল্লা, রস মালাই, মুখ পাখন, পাটি সাপ্টা, তেলের পিঠা, নারিকেলের পিঠা ইত্যাদির সমাহার । এই সমস্ত খাবারের আয়োজনে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তারা হলেন স্থানীয় মহিলা মহল। তারা সবাই শত ভাগ উৎসাহ আনন্দ নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন এই ফান্ড রেইজিং অনুষ্ঠানে, মহৎ উদ্দেশ্যে। অনেক রাত জেগে পিঠা পুলি মিষ্টি তৈরি করেন। সকালে উঠে আবার সেগুলো নিয়ে ভেনুতে আসেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে বিক্রি করেন এবং সমুদয় অর্থ খুশি মনে দিয়ে দেন ক্যান্সার কাউন্সিলের তহবিলে।

মিসেস লায়লা হক হাতে বানানো পরোটা ভাঁজতে ব্যস্ত।(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

মিসেস লায়লা হক হাতে বানানো পরোটা ভাঁজতে ব্যস্ত।(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

বেচা কেনায় ব্যস্ত (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

বেচা কেনায় ব্যস্ত (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

পিঠা পরোটা নিয়ে হাসিমুখে প্রস্তুত (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

পিঠা পরোটা নিয়ে হাসিমুখে প্রস্তুত (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

হাড়িভর্তি হালিমের সাথে পরিচিত হলেন লোকাল রাজনিতিবিদরা (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

হাড়িভর্তি হালিমের সাথে পরিচিত হলেন লোকাল রাজনিতিবিদরা (আর্কাইভ থেকে নেয়া)

খাবার প্রায় শেষ শেষ, সবার মুখে হাসির রেশ।(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

খাবার প্রায় শেষ শেষ, সবার মুখে হাসির রেশ।(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

প্রতিটি আয়োজনে স্থানীয় রাজনীতিবিদরা ছাড়াও ক্যান্সার কাউন্সিলের পরিচালক মণ্ডলীর অনেকেই আসেন বাংলাদেশীদের উৎসাহ যোগাতে, ধন্যবাদ জানাতে। বাংলাদেশি কমুনিটি ছোট হলেও এই কমুনিটিতে বড় হৃদয়ের মানুষের সংখ্যা যে অনেক তা এই অকৃপণ বিশাল আয়োজন এর উৎকৃষ্ট প্রমাণ বলে তারা উল্লেখ করেন। ব্লাকটাউন, লাকেম্বা এবং ম্যাস্কটের অনুষ্ঠানে লোকাল এম পি রা বাংলাদেশীদের এই সম্মিলিত প্রচেষ্টার ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং কেউ কেউ মনে করেন এ রকম সুন্দর সফল আয়োজন অনুকরণ যোগ্য।

“গুড মর্নিং বাংলাদেশ” ক্যাম্পেইনের সূচনাকারী ডঃ আব্দুল হক আজ আমাদের মাঝে নেই। রেখে গেছেন তাঁর প্রাণপ্রিয় প্রতিষ্ঠান এবং পরিবারের প্রিয়জনদের। তাঁদের সাথে হাত মিলিয়ে এই মহৎ প্রচেষ্টাকে সফল ভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরই বন্ধু বান্ধব এবং শুভাকাংখিরা। সিডনির বাংলাদেশীরা এগিয়ে আসছে হাসিমুখে অংশগ্রহনের অভিপ্রায় নিয়ে, সফল করতে এই অনুশঠান। এগিয়ে এসেছেন বাংলাদেশী নেতৃত্ব স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং খুশির খবর এগিয়ে আসছেন আমাদের নতুন প্রজন্মের অনেক নতুন মুখ।

বিদেশের মাটিতে আস্তানা গেঁড়ে, চাকরি বা ব্যবসা করে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে প্রবাসীরা যেমন দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্তিশালী করছেন ঠিক তেমনি এমন দৃষ্টান্তের সেবা মূলক কাজে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকেও উজ্জ্বল করছেন দেশ ছেড়ে আসা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

“গুড মর্নিং বাংলাদেশ” বিগেস্ট মর্নিং টি এর আয়োজকবৃন্দ(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

“গুড মর্নিং বাংলাদেশ” বিগেস্ট মর্নিং টি এর আয়োজকবৃন্দ(আর্কাইভ থেকে নেয়া)

আসুন, আর বছরের মত এবারও আমরা এই আয়োজনকে সফল করি। এই তিন রোববারের অন্তত পক্ষে একটা রবিবারের সকালটা এই মরন ব্যাধি ক্যান্সারকে সমূলে উৎপাটনের আন্দোলনে যোগদান করি। উৎসাহ দেই আমাদের ছেলেমেয়েদের। তারা যেন এই জনকল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠানটির সাথে যুক্ত থেকে এর ভবিষ্যতের কাণ্ডারী হতে পারে।

এবারের আয়োজনে অংশ নিতে যোগাযোগ করুন
রুবাইয়াত হক মোবাইল নম্বর ০৪১১৮৬০৬১৬
তানভীর শহিদ ০৪১৯২০১৯৬২
স্থান ব্লাকটাউন গ্রিন ভিলেজ
তারিখ ২৯ এপ্রিল রোববার সকাল ৯ টা থেকে
………………………………………………।।
ফারুক হান্নান মোবাইল নম্বর ০৪১২৩৫৫৪৪৮
স্থান প্যারী পার্ক, ল্যাকেম্বা
তারিখ ০৬ মে রোববার সকাল ৯ টা থেকে
আজাদ আলম মোবাইল নম্বর ০৪১৩৭৮৫০৯৮
স্থান ম্যাস্কট পাব্লিক স্কুল, কিং স্ট্রিট, ম্যাস্কট
তারিখ ১৩ মে, রোববার সকাল ৯-৩০ থেকে
………………………………………………………………।।

Azad Alam

Azad Alam

Poet and writer. Born in 1959 a remote village named Shimul Bari of North Bengal district Nilphamari. Graduated from Deakin University Geelong Victoria. Presently working in Qantas engineering department. Edited first Bangla three monthly patrika in Australia " Shapla" in 1980. It was handwritten and photocopied for distribution in Sydney.


Place your ads here!

Related Articles

Probashe Oboshar

প্রবাসে অবসর…… আমার অনেক প্রিয় ব্রিজবেন বীচ, পানির মাঝে মনে হয় হীরার টুকরো ছড়ানো……… সময় যেন কাটেনা, বড় একা একা

SAU Alumni স্কলারশিপ…

অস্ট্রেলিয়াতে বসবাসকারী  ঢাকার শেরে-বাংলা-নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন  ছাত্র-ছাত্রী’রা(SAU Alumni) এবছর থেকে শেরে-বাংলা-নগর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গরীব ও মেধাবী কৃষি শিক্ষারতিদের স্কলারশিপ

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment