মাশরাফি বিন মুর্তজা যা বলেছেন

ফজলুল বারী, নেপিয়ার থেকে: খেলা শেষের ব্রিফিং’এ বাংলাদেশের কাপ্তান মাশরাফি বিন মুর্তজা যা বলেছেন এর সার কথাটি দাঁড়ায় ইশ! আরেকটা যদি উইকেট পেতাম! যদি আরেকটা ব্রেক থ্রু পেতাম! মাশরাফি বলেন একটা ব্রেক থ্রু’র আশায় তেরতম ওভারে তিন প্রধান তিন বোলার মুস্তাফিজ, রুবেল ও সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এসেছিলাম। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে তারা উইকেট পাননি তাই ব্রেই থ্রু’ও জোটেনি। সাকিবের বেলায় হয়তো একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। সাকিবের বলে ইম্রুলের ক্যাচ ধরতে না পারার বিষয়টি, সৌম্য’র ক্যাচ ধরতে না পারাটা, বাউন্ডারি থেকে তারা একটু বেশি এগিয়ে থাকায় ক্যাচ দুটি মিস হওয়ায় ম্যাচ মিস হয়ে গিয়েছিল কিনা এ বিষয়গুলোও এসেছিল মিডিয়া ব্রিফিং’এ। মাশরাফি দলের অভিভাবক। ক্যাচ দুটি ধরা যেত, ধরা যায়নি এটা বলে দিতে পারতেন তিনি। কিন্তু তাদের দায় দিতে চাননি। বিশেষ করে ইম্রুলের বিষয়ে বলেন আমার খেয়াল নেই সে বেশি এগিয়ে ছিলো কিনা। কিন্তু মাঠে যারা ছিলেন তারা দেখেছেন সৌম্য কেন উইলিয়াম আর ইমরুল গ্র্যান্ডহোমকে যেভাবে জীবন দিয়েছেন তাতে ম্যাচ সেখানেই শেষ।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ভূয়সী প্রশংসা করে মাশরাফি বলেন তার সাহসী ইনিংসটা না হলে আমরা হয় ১০০ বা ১১০-১২০ রানে আটকে যেতাম। রিয়াদ ওয়ানডে সিরিজে রান পাননি। কিন্তু মঙ্গলবার দলের পক্ষে দারুন ভূমিকা পালন করেছেন। সৌম্যকে দলে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে মাশরাফি বলেন সৌম্য আমাদের ম্যাচ উইনিং প্লেয়ার। ও যতো ম্যাচ জিতিয়েছে আমি বা আমরা অনেকেই তা পারিনি। সৌম্য’র যে খারাপ ফর্ম যাচ্ছে তা আমি দেশেও বলেছি। মঙ্গলবার সে একটি ভালো প্ল্যাটফর্ম পেয়েছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যক্রমে প্রথম বলেই সে আউট হয়ে যায়। মাশরাফি বলেন আমাদেরতো অনেক বেশি খেলোয়াড় নেই। এই মূহুর্তে যারা আছে তাদের নিয়ে ঠান্ডা মাথায় এই খারাপ সময়টা পার করতে হবে।
আরেক প্রশ্নে মিস ফিল্ডিং’এ দুটি ক্যাচ মিস দলের হেরে যাবার টার্নিং পয়েন্ট কিনা জিজ্ঞেস করলে মাশরাফি এরসঙ্গে একমত হননি। অধিনায়ক বলেছেন ৩০ রানে আমাদের চার উইকেট চলে গেছে। তখনইতো আমরা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছি। তাদের উইকেট টেকার বোলাররা প্রথমেই চার উইকেট নিয়ে নেয়। ব্যাটসম্যানরা টিকে থাকলে এরপর যে সব বোলার ছিলো তাদের মেরে খেলা যেতো। মাশরাফি বলেন আজ আমাদের একজন ব্যাটসম্যানদের কেউ বাউন্সারে আউট হননি। সামনে মেরে, সাধারন বলে আউট হয়েছি। ব্যাটসম্যানদের মনোসংযোগে সমস্যা কিনা সে প্রশ্ন আজ আবার রাখেন বাংলাদেশ দলের ক্যাপ্টেন।
বাংলাদেশ দলের মধ্যে চলা অসন্তোষ দলকে যারা অনুসরন করেন তারা টের পান। দল নির্বাচনে কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহের এক চেটিয়া কর্তৃ্ত্ব ওয়াকিফহালরা জানেন। প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু এক রকম যেন কলের পুতুল! দল নির্বাচনে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গেও পরামর্শ করেননা কোচ। আবার নেপিয়ারের ব্রিফিং’এ সিনিয়রদের দায়িত্ব অনেক বলে এরমধ্যে ঘৃতাহুতির ঘটনা ঘটিয়েছেন কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহে। সোমবার সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এর জবাব দিয়ে বলেছেন, শুধু সিনিয়রদের ভূমিকা কেনো, দলে ১১ জন খেলোয়াড় খেলেন, শুধু পাঁচজন না। দায়দায়িত্ব সবার। জুনিয়ররাও দায়িত্ব পালনে সক্ষম। কারন তারা যোগ্যতার বলেই জাতীয় দলে এসেছে।
এরমাঝে আবার নিউজিল্যান্ড যাত্রার আগে ঢাকায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলে এসেছেন দল নির্বাচন করেন অধিনায়ক-সহ অধিনায়ক। এ আগুন নেপিয়ার পর্যন্ত চলে এসেছে। মঙ্গলবারের মিডিয়া ব্রিফিং’এ প্রশ্নটিও এসেছিল। অধিনায়ক হিসাবে দল নির্বাচনে আমার নিশ্চয় ভূমিকা আছে এ নিয়ে এখানে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করিনা বলে প্রসঙ্গটি এড়িয়ে যান বুদ্ধিমান মাশরাফি।
Related Articles
Time to rethink the direction of Bangladesh foreign policy
Foreign policy is not formulated in a vacuum. It is based on certain ingredients that cannot be changed, such as,
চোখের আয়না মনের জানালা
দাদি মেজোকে কোলে নিয়ে আমাকে বলল চল নদী দেখে আসি। আমি দাদির শাড়ির আচল ধরে পিছনে পিছনে চললাম। নদীর পাড়ে
Gough Whitlam Bangladesh
Former Australian Prime Minister Gough Whitlam, a towering figure who led the nation through a period of massive change died