এই জনগোষ্টিকে নাই করে দিতে চাইছে
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ কেনো আশ্রয় দেবেনা, কেনো তাদের আশ্রয় দেয়া উচিত না, এমন অনেক যুক্তি অনেকে ফেসবুকে দিচ্ছেন। সংশ্লিষ্টদের নিবেদন করি প্লিজ এই সাবজেক্ট নিয়ে অত যুক্তি তর্ক দেখানোর দরকার নেই। খুব অমানবিক লাগে। আশ্রয় দেবেননা, নাফ নদী দিয়ে ঢুকছে দেখলে গুলি করে মেরে ফেলে দেবেন। বার্মাও তাই চাইছে। এই জনগোষ্টিকে নাই করে দিতে চাইছে বার্মা। তাদের সংগে যোগ দিন। দুই দেশ মিলে যৌথ অভিযানে রোহিঙ্গাদের নাম নিশানা উপড়ে ফেলে দিন। এতে বার্মার সংগে সম্পর্ক ভালো হবে। অনেক ব্যবসা আসবে। যদি গুলি করে মারতে শরমে লাগে তাহলে এ ইস্যুতে চুপ করে থাকুন। চুপচাপ তাদের নাই করে দিতে বার্মার সাথে কাজ করুন। তবু প্লিজ যুক্তি দেখাবেন না।
বাংলাদেশের মানুষ ফিলিসতিনিদের ভালোবাসে। ঢাকার ফিলিসতিন দূতাবাসের খরচ, ছাত্র বৃত্তি সহ নানা কিছু সরকার থেকে দেয়া হয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে দেখেছি ফিলিসতিনিদের কুকুর বিড়ালের মতো তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা হয়। আসলে দেশহীন মানুষজনকে কেউ পছন্দ করেনা। সবাই তেলা মাথায় তেল দেয়। যাদের দেশ নেই তারা হতাশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠী। যে কোন হতাশাগ্রস্ত জনগোষ্ঠী যেখানে যে দেশে ঢুকতে পারে সেখানে নানা অপরাধের সংগে জড়ায়। যেমন বাংলাদেশে রোহিঙ্গারা। মধ্যপ্রাচ্যে ফিলিসতিনিরা। বাংলাদেশের সংগে ফিলিসতিনের সীমান্ত থাকলে এখানে ফিলিসতিনিরাও তাই করতো। ফিলিসতিনিদের একটা টেরিটোরি হলেও আছে। রোহিঙ্গাদের তাও নেই। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে শতশত বাংলাদেশি বিভিন্ন অমুসলিম দেশে গিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয় চায়। তারা দেশ সম্পর্কে যত খারাপ কথা বলা সম্ভব সব বলে তাদের কাছে আশ্রয় নেবার চেষটা করে। রোহিঙ্গারা জেনুইন রিফিউজি। কারন তাদের দেশ নেই। তাদের দেশ তাদের স্বীকার করেনা। বিভিন্ন দেশে আশ্রয় পেতে অনেক বাংলাদেশিও এখন রোহিঙ্গা সাজছে। কারন রোহিঙ্গা সাজতে পারলে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া যায়।
সারা পৃথিবীর বাস্তবতা হচ্ছে যখন যে এলাকার লোক বিপদে পড়ে তারা কাছাকাছি কোন দেশে গিয়ে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গাদেরও সহজ গন্তব্য বাংলাদেশ। যেমন বাংলাদেশের নির্যাতিত হিন্দুদের গন্তব্য ভারত। ফিলিসতনিদের মিসর জর্ডান বা আশেপাশের কোন আরব দেশ। জর্ডানের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে সেখানকার জনসংখ্যার ৭০ ভাগ এখন ফিলিসতিনি। এমনকি দেশটির প্রধানমন্ত্রীও এখন ফিলিসতিনি! বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিংগারা বাংলাদেশের পাসপোর্টে বিভিন্ন দেশে গেছে বা যাচ্ছে। ফিলিসতিনিদেরও একই ঘটনা। আসলে যে দেশের পাসপোর্ট ব্যবস্থা দুর্নীতিগ্রস্ত সে দেশেই এটি সম্ভব। টাকা দিয়ে কেউ অস্ট্রেলিয়ান পাসপোর্ট বানাতে পারবেনা। কাজেই নিজেদের দুর্নীতি এড়িয়ে পাসপোর্টের জন্যে শুধু রোহিংগাদের দোষ দিয়ে লাভ নেই। নতুন করে রোহিংগারা বাংলাদেশে ঢুকে যাতে বাংলাদেশের সৎ মানুষগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য সীমান্তে দেখামাত্র তাদের গুলি করে মারার প্রস্তাব করছি।
Related Articles
গ্রামের বাড়িতে একদিন
সিডনিতে আসা প্রায় তিন বছর পার হতে যাচ্ছে। এর মধ্যে একবারও দেশে যাওয়া হয় নাই বিভিন্ন কারণে। কিন্তু মনের মধ্যে
ঋনযুদ্ধে পর্যুদস্ত এক বঙ্গবীর
ফজলুল বারী: নির্বাচনের মনোনয়নের প্রাথমিক বাছাই পর্বে বিশেষ কিছু ত্রুটি চোখে পড়েছে। যারা দেশের সংসদ সদস্য হতে চান একটি মনোনয়নপত্র
ফেইসবুক প্রোফাইল সমাচার
আজ সারাদিন মনটা বড় খারাপ, বিষণ্ণ, মলিন। প্রোফাইল পিকচারটা এত সাধ করে পরিবর্তন করলাম কিন্তু সারাদিনে মাত্র তিনটি লাইক পেলাম।