বাপের মদদে পাপ

দিলরুবা শাহানা: ভাবনায় ছিল আসগার ফারহাদী ও আমেরিকা। আসলে ট্রাম্পের আমেরিকা বললে যুক্তিযুক্ত হয়। আর আসগার ফারহাদী হলেন বিরলপ্রজ এক চলচ্চিত্র নির্মাতা। ইনি ইরানীয় এবং মুসলমান। এরমাঝেই দু দু’বার অস্কার পুরস্কারে সন্মানিত। তবে এবছর তার ‘দ্যা সেলস্ম্যান’ ছবির জন্য ট্রাম্পের আমেরিকায় পুরস্কার আনতে যাওয়া হয়নি ফারহাদীর। কেন?
যখন এসব কিছু নিয়ে লিখার চেষ্টায় আছি তখনই পত্রপত্রিকার আলোড়ন তোলা ঘৃণ্য এক খবর প্রায় সবাইকেই ভীষণ ভীষণভাবে রাগানি¡ত করেছে। খবর অনেক। কোনটা বাদ দিয়ে কোনটা বলি বা কোনটা আগে বলি কোনটা পরে?
শুরু করি পরে প্রকাশিত খবরের লেজুড় দিয়ে। ভয়ংকর নোংরা, বিবমিশা উদ্রেককারী বনানীর রেইনট্রী হোটেলের ঘটনা অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ জানলো এবং দেশবাসী জানলেন, আমরা প্রবাসীরাও জানতে পারলাম অবাককরা এক তথ্য। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ধনাঢ্য আসামীদের একজন আলালের ঘরের দুলাল ধনী সন্তানের দৈনিক হাত খরচ ছিল দুই লক্ষ টাকা। দুই দুই লক্ষ টাকা বাবাই আদরের ধন বুকের মানিকের হাতে তুলে দিতেন প্রতিদিন। জি প্রতিদিনই!
তথাকথিত সোনার চাঁদ অতো টাকা দিয়ে কি করতো? আহা কি করতো তা সাধারন আমজনতার জানার কি উপায় আছে বা ছিল? জানা হতোনা যদি না সরকার দলীয় সাংসদের মালিকানাধীন রেইনট্রী হোটেলের এক জন্মদিন অনুষ্ঠানের নষ্টামী, ভ্রষ্টামীর ঘটনা
অপ্রকাশিত থাকতো। দু’টি মেয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের পরিচিত দিনে দুইলক্ষ টাকা খরচ করনেওয়ালা বন্ধুর আকুল আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে জন্মদিন উদযাপনে গিয়ে হলেন নির্যাতিত, লাঞ্ছিত ও …। শুন বালিকারা টাকা দেখলেই ছোঁক ছোঁক করাটা মোটেও সমীচীন হয়নি বলে মনে করেন বুদ্ধিমান, বিবেকবান মানুষেরা।
আদালতের বিচারের পর জানা যাবে অভিযুক্তদের মাঝে কে কে অপরাধী। অভিযুক্তের বাবা ধনীলোকটি নিজে ক্রাইম সিনে ওইদিন ছিলেন না। তবে পিতার দেদার অর্থ উদার হাতে পুত্রকে দেওয়া হতো।এই অর্থই পুত্রকে করে তুলেছে নিকৃষ্ট লুচ্চা, বদমাশ।
ঈশপের গল্পের সেই ছেলেটির কথা পড়ছে। চুরির অপরাধে সাজা দেওয়া হল ছেলেটিকে। আদালতেই সে মায়ের কানে কানে কিছু বলার ইচ্ছা প্রকাশ করলো। আদালত ইচ্ছা অনুমোদন করলো। মা সাগ্রহে পুত্রের কথা শুনার জন্য কান এগিয়ে দিল। পুত্র কি বলেছিল তখন? কিছুই সে বলেনি মাকে। শুধু কামড় দিয়ে মায়ের কান ছিড়ে নিয়ে আসলো। উপস্থিত সবাই বললো
‘নরাধম! নরাধম!’
তখন সে তার কাহিনী শুনালো
‘আমার চোর হয়ে উঠার পিছনে আমার মা দায়ী; যেদিন প্রথম আমি বন্ধুর কলম বা কোট চুরি করে এনেছিলাম আমার মা ওই কান দিয়ে শুনেছিল। কিচ্ছু বলেনি। যদি তখন আমাকে নিষেধ ও শাসন করতো; তবে আজ আমি এতো বড় চোর হয়ে উঠতাম না’।
Related Articles
সাকিবের শাস্তি পাপন জানতেন
ফজলুল বারী: আইসিসির নিষেধাজ্ঞাকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে এখন সাকিব সাকিব মাতম চলছে। এটি খুব স্বাভাবিক একটি প্রতিক্রিয়া। কারন সাকিবকে দেশের
সুখি বাংলাদেশের গল্প
আমাদের আমলে চতুর্থ অথবা পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ে একটা গল্প ছিলঃ “সুখি মানুষ”। তার সারমর্মটা এইরকম ছিল, এক রাজার
Indian Foreign Secretary’s visit to Dhaka: What does it mean?
India’s Foreign Secretary Sujatha Singh’s one-day visit to Dhaka on 4th December takes place amid escalating political violence in Bangladesh
It is a really good article ending with Eashop fable. But author failed to appreciate brave steps taken by the two girls despite their ordeal otherwise everything remained in the dark.
This write up by the author is very though provoking.
It deals with many issues involving human behaviour.
Mostly money has been blamed for the boy turning out to be rotten.
However money might not be the only issue there, if the same boy was given the money but he had good companion who could help or show him the better use of the money maybe he wouldn’t end up where he ended up today. In our journey of life being around or finding positive companion has massive influence of who we become.
ধন্যবাদ প্রিয় অষ্ট্রেলিয়াকে লেখাটি প্রকাশের জন্য। দু’জন মনোযোগী পাঠক দুটি মত ব্যক্ত করেছেন এক ‘ছেলেটির পঁচে যাওয়ার পিছনে টাকাই কি একমাত্র দোষী ?’
দুই ‘নির্যাতিত অসম্মানিত মেয়ে দু’টি হেনস্তা ও অপমান হওয়াকে মেনে নিয়েও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানোর যে সাহস দেখিয়েছেন তা অনুধাবন করতে প্রবন্ধ লেখক ব্যর্থ’
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় পাঠক। আমি দু’টি বিষয়েই কিছু বলবো একটু সময় বের করে নিয়ে।
সন্মানীয় পাঠিকা আপনার মতামত মূল্যবান। অর্থ সবসময় অনর্থ ঘটায় তা নয়। মানুষের দূর্গতি দূরিভূত করতে অর্থের প্রয়োজন অপরিসীম। ক্যান্সার গবেষণার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে সে^চ্ছাসেবীরা সাধারন মানুষের দান দু’ পাঁচ দশ ডলার তুলতে শপিং মলে সারাদিন দাড়িয়ে থাকেন। আপনার সাথে একমত যে অর্থের যথাযথ ব্যবহার নির্ভর করে কার হাতে অর্থ এবং কার সঙ্গে সে জন লিপ্ত।
কেউ কেউ বলেছেন ধনীব্যক্তির পক্ষে দৈনিক দুইলক্ষ টাকা খরচ একটি স্বাভাবিক ব্যাপার। অবশ্যই টাকা যার আছে খরচের অধিকারও তার। অষ্ট্রেলীয় ধনী ব্যক্তি জেমস প্যাকার ক্যাসিনোতে একরাত্রে মিলিয়ন ডলার জুয়াতে হারেন। আইনের চোখে এটা কোন অপরাধ ছিল না। ন্যায্যতায় প্রতি শ্রদ্ধাশীলরা সরব হয়েছিলেন মাত্র।
ধনাড্য বিল গেইট ও ওয়ারেন বাফেটেরাও অর্থ ব্যয় করেন তবে সে অর্থ ব্যয় ন্যায্যতা ও নৈতিকতার মানদন্ডে অনেক উপরে।
শ্রদ্ধেয় পাঠক আপনি ঠিক মেয়ে দু’টির উদ্যোগ বিষয়ে কোন মন্তব্য নেই। বিষয়টা সেই ছেলেটিকে নিয়ে তো? কারন ঈশপের গল্পতেও ছেলেই ছিল। তবে মেয়েদের নিয়ে অনেক লেখালেখি, অনেক মতামত ও অনেক বানিজ্য হচ্ছে। শুধু মেয়ে দু’জনকে টাকা দিয়ে বশ করা যায়নি এ বিষয়টি পরিষ্কার। ওদের সাহসকে সন্মান জানাতে হবে! যে সাহসের কারনে নিম্নরুচির ধনীদের দস্যুতা জানা হল।