Happy Birthday to Joan, the most loved mum

Happy Birthday to Joan, the most loved mum

জোন মর্গানের জন্মদিন ৬ই আগষ্ট। এইবার তার ৯৪তম জন্মদিন পালন করা হবে। ইনি শুধু তার সন্তানদের কাছে নন, পরিচিত জনদের কাছেও দারুণ আদৃতা এক নারী। তিন সন্তানের গর্বিত জননী।

এই বয়সেও জোন বৃদ্ধাশ্রমে নন নিজ বাড়িতে বাস করেন। এক কন্যা তার সাথে থাকে। যে কন্যাকে নিয়ে অনেক কথা বলার আছে। কন্যাটির নিজের জীবন শিক্ষা ও ক্রীড়ায়(এ্যাথলেটিকস্) পুরোপুরি নিবেদিত ও এসবকে ঘিরেই আবর্তিত। অলিম্পিক ভিলেজের পৃথিবীর প্রথম মহিলা মেয়র, প্যারা অলিম্পিকের বিশ্বনেতৃত্বের দায়িত্বপালনকারী ও অর্ডার অব অষ্ট্রেলিয়া মেডেল পদকে ভূষিত লরেইন মর্গানের মা জোন মর্গান। জোনের বাকী দু’টি সন্তান ও সফল মানুষ, তারা দু’জনও সমান আন্তরিকতায় মায়ের দেখভাল করে যায়।

লরেইন মর্গান ও তার মা জোন মর্গানের সাথে পরিচয় না ঘটলে এই সমাজের আন্তরিক ভালবাসা ও গভীর পারিবারিক সম্পর্কের অস্তিত্ব অজানা থেকে যেতো।

ঐ রকম পরিবার বলেই লরেইন পেশাগত কারনে ইউরোপ, আমেরিকা অনবরত চষে বেড়াতে পারে। যখন সে মেলবোর্নে থাকে তখন মাকে নিয়ে কখনো হুইলচেয়ারে কখনো বা ওয়াকারের সাহায্যে নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। বীচ, পার্ক, কফিশপতো আছেই পারিবারিক আমন্ত্রন সম্মিলনে বালারাত, বেন্ডিগোও বাদ যায়না। লরেইনকে দেখেছি কি অসীম ধৈর্য ও মমতায় গাড়ী থেকে কখনো হুইলচেয়ার বা কখনো ওয়াকার নামাচ্ছে তারপর মাকে ধরে নামিয়ে হুইলচেয়ারে বসিয়ে ঠেলছে কিংবা ওয়াকার ধরে হাঁটতে সাহায্য করছে। এমন দৃশ্যই বলে দেয় যে এই উন্নত সমাজে বুড়োমানুষ মাত্রই বৃদ্ধাশ্রমে জীবন কাটায় তা সবর্দা সত্য নয়।

বৃদ্ধাশ্রমে বেশীরভাগ বুড়োমানুষেরা বছরে তিনবার নিজের সন্তানদের সাক্ষাৎ পায়। যেমন ফাদার্স বা মাদার্স ডে, খ্রীষ্টমাস ও নিজের জন্মদিনে। এমন কি শুনেছি এজ্ড কেয়ার সেণ্টারে সন্তানদের নির্দেশ থাকে যে উইকএন্ডে মা বা বাবার মৃত্যু হলেও যেন খবর না দেয়। খবর দেবে কর্মদিবসে। হয়তো বা তারা উইকএন্ডের আয়েস ও আনন্দআমোদ ছাড়তে নারাজ।

জোন একজন ব্যতিক্রমী মা ও তার সন্তানরাও ব্যতিক্রমী মানুষ। লরেইন বলে

‘মা-বাবা ভাল মানুষ ছিলতো তাই আমরা ঐ রকম হয়েছি’।

এমন সাদামাটা ভাবে কথাটা ও বলে যেন ভাল মানুষ হওয়াটাতে ওদের কোন নিজস্ব কৃতিত্ব নেই বা কোন প্রয়াস প্রচেষ্টা করতে হয়নি। ভালমানুষ হওয়াটা এক অনবরত অনুশীলনের কাজ। লরেইনের বাবা-মা বোধহয় ভালমানুষ হওয়ার জন্য কি কি চর্চা করতে হবে তা ওদের শিখিয়েছিলেন। ওরাও তা গ্রহণ শুধু করেনি প্রয়োগও করছে নিজেদের আচার আচরণে।

জোনের মেয়ের বান্ধবীদের কাছেও উনি একজন প্রিয় মানুষ। তাই তাদের বাড়ীতেও তার আমন্ত্রণ হয় আন্তরিক ভালবাসায়। ডায়ানের(ছবিতে সাদা পোষাকে) বাড়ীতে এক দুপুরে লানচ এর দাওয়াতটা আন্তরিকায় ভরপুর ছিল। কোন মেকি যান্ত্রিকতা ছিলনা এতে।

জোনের(ছবিতে লাল মালা গলায়) জন্য ফুল, চকলেট সব গোপনে গুছিয়ে রেখেছিল ডায়ান।

লরেইন(স্কার্ফ পরা) যখন ডায়ানকে বললো ‘জানতো মম্ ও শাহানা দু’জনে নন ড্রিংকার’।

ডায়ান সাথে সাথে বললো ‘তাতে কি, আমার বড় মেয়েও কখনোই ওয়াইন ছোঁয় না’।

পরে লরেইনের কাছে শুনলাম ডায়ানের মেয়ে স্পোর্টস সাইকোলজীতে ডক্টরেট করা বিশেষজ্ঞ।

জোনের ৯৪বছর বয়সেও চোখে চশমা নেই, স্মৃতি তীক্ষ্ম, শ্রবণশক্তিও ভাল। জীবনযাপনে পরিমিতি ও ভালবাসা ও আদরে যাপিত বলেই তিনি ভালভাবে বেঁচে আছেন।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment