বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট

বাংলাদেশ-ভারত টেস্ট

একটি মাত্র টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ দল এখন ভারতের হায়দরাবাদে। কি ফলাফল হবে তা সবাই জানে। কারন বাংলাদেশ দলের আত্মবিশ্বাস এখন তলানিতে 🙁 আর বাংলাদেশ দল এখনোও ওয়ানডের দিনে টেস্ট স্টাইলে খেলে! আর টেস্টের দিন ওয়ানডে স্টাইলে খেলতে গিয়ে চটজলদি সব উইকেট খুইয়ে বসে! ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে কামরুল ইসলাম রাববি যে ৬৩ বল খেলে ২ রান করেছে এটাই টেস্ট ক্রিকেট। উইকেটে পড়ে থাকতে জানতে হয়। সুযোগ বুঝে খেলতে হয় বাজে বল। বাংলাদেশ দল হিসাবে এখনও এমন নানাকিছুতে টেস্ট মেজাজ রপ্ত করতে না পারাতে কোচিং স্টাফরাও মনে করেন যে যার স্টাইলে যতটা সম্ভব রান করে ফেলুক।

আরেক ব্যারাম, এখন পর্যন্ত ৪৩ টেস্টের অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাংলাদেশ এক ইনিংসে ভালো খেলেতো আরেক ইনিংসের অবস্থা লবডংগ! এক ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা ভালো করলেনতো সেদিন বোলিং-ফিল্ডিং হয় বাজে। আবার বোলিং-ফিল্ডিং ভালো হয়তো ব্যাটসম্যানরা করেন উল্টো! এসব নিয়ে অনেক কথা হয়। কিন্তু আসল সমস্যাটা বাংলাদেশ দল টেস্ট খেলার

সুযোগ পায় খুব কম। আইসিসির কারনে এটি হয়না। হয়না স্পন্সরদের অনাগ্রহের কারনে। বাংলাদেশ দলের মোড়লদের অযোগ্যতার দায়ও কম না। তারা আদায় করতে জানেন না। নিজের স্বার্থ বিলিয়ে দিয়ে অপরের স্বার্থের তাবেদারিটা ভালো জানেন।

বাংলাদেশের টেস্ট শক্তি বাড়াতে হলে বিদেশে বেশি বেশি খেলার ব্যবস্থার পাশাপাশি স্থায়ী একটি এ দলের কাঠামো গড়ে তুলতে হবে। টেস্টের আলাদা একটি এ দল গড়তে পারলে আরও ভালো হয়। যে দলটি দেশে বিদেশে বেশি বেশি টেস্ট খেলে জাতীয় দলের জন্য টেস্ট খেলোয়াড়ের যোগান দেবে। এতে করে শেষ হবে আমাদের অজুহাতের দিনকাল। আমরা ভালো খেলতে পারলে কে আটকে রাখতে পারবে আমাদেরকে? বিসিবির কর্তা ব্যক্তিদের আত্ম জিজ্ঞাসা জরুরি।

ভারতে টেস্ট খেলতে গিয়ে সে দলের কোচ রবি শাস্ত্রী আর ক্যাপটেন ভিরাট কোহলির কথাবার্তায় মেজাজ চড়ে! উনারা কেন জানবেন না বাংলাদেশ কেন ভারতে খেলতে যেতে পারেনা? বাংলাদেশে এসে খেলতে ফাইভ স্টার আতিথেয়তা পেতেতো উনাদের খারাপ লাগেনা! ভদ্রতাবশতওতো মানুষ ফিরতি সফরের ব্যবস্থা করে। বাংলাদেশের পাওনা সফর তারা দিচ্ছেনা। বাংলাদেশও আদায় করতে পারছেনা। এর সবকিছুর জবাব দিতে আমাদের খেলার শক্তি বাড়াতে হবে। আর এটা করতে হবে আমাদের ঘর থেকে। ভালো খেললে কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবেনা। ভালো খেললে আমাদের স্পনসর সমস্যাও থাকবেনা। স্পনসররাই তখন আমাদের জাতীয় দলের পিছু নেবে। ভারতে খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সাফল্য কামনা করছি।


Place your ads here!

Related Articles

G-20 Economic Summit in London Bangladesh

The G-20 leaders met in London on April 2nd to discuss plans to tackle the current global economic crisis. The

না ঘুমানোর দল

বুয়েট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাথে চানখার পুল আর স্টার হোটেলের নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িত। রাতজেগে পড়াশুনার পর সস্তায়

জীবন ভ্রমন

জীবন ভ্রমন ২৪ : খেজুরের রস । হাই স্কুল জীবনে প্রতি বছর শীতে গ্রামের বাড়িতে যেতাম । আব্বা চিটাগাং মেইল

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment