প্রবাস জীবনঃ ক্যানবেরায় বাঙালী সংস্কৃতিকে সচল রাখতে দরকার নতুন প্রজন্মের অংশগ্রন

গত ৩০ এপ্রিল ‘প্রিয় অষ্ট্রেলিয়া’ আমার একটি লেখা ছাপে। ‘প্রবাস জীবনঃ সংস্কৃতির চর্চা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক’ শিরোনামের সেই লেখাটিতে পাঠকদের কয়েকটি কমেন্ট আমাকে আমার আজকের লেখাটি লিখতে প্রেরনা জোগায়।
সেদিনের সেই লেখাটি ও পাঠকদের কমেন্টগুলি পড়তে চাইলে নিচের লিংকে ব্রাউস করুন-
>> প্রবাস জীবনঃ সংস্কৃতির চর্চা ও বন্ধুত্বের সম্পর্ক
আমার সেদিনের সেই লেখাটি পড়ে একজন পাঠক মন্তব্য করেন, ‘… আপনার সোজাসাপটা লেখা এবং প্রশ্ন তোলা ভাল লেগেছে , বেশিরভাগই করার সাহস রাখে না। এরকম অভিজ্ঞতা আমারো হয়েছে , গায়ক বা গায়িকা পছন্দ নয় কিন্তু যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছি , যেতেও হয়েছে বাধ্য হয়ে …’।
আরেকজন লিখেছেন, ‘…সাধুববাদ জানাই প্রবাসে সংস্কৃতি চর্চার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোর সহজ সরল প্রশ্ন গুলো তুলে ধরার জন্যে…’
যিনি নিজে গান করেন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে’র আয়োজনও করে থাকেন সেরকম একজন পাঠক মন্তব্য করেছেন, ‘…Canberrar eto bangali but onushthane lokh 150 hoi na. Amra jara event organise kori tader modde ekta MOU korte parle bhalo. Por por onushtaan na kore, shobai jate shobar onushthane jete pare, ta mathai rekeh jodi calendar kora jai ami mone kori Dorshokra upokrito hobey. ATN Canberrar chesta kore jaschee Canberrabashi ke sundor quality show upohar ditey, ATN er goto onushthane amar aar Newton er onek loss hoyeche shudu matro kom dorshok er karone!! ...’
লোকের মুখের তথ্য অনুযায়ী ক্যানবেরাতে ১০০০-১৫০০ জন বাংলাদেশী রয়েছেন। অষ্ট্রেলিয়া’র বড় বড় শহরের তুলনায় এই সংখ্যা নিতান্তই কম। এখানের বাংলাদেশীদের অধিকাংশই সরকারি চাকরিজীবী ও ছাত্র/ছাত্রী। চাকরিজীবীরা সপ্তাহের পাঁচ দিন নিয়মিত অফিস সেরে সপ্তাহের ছুটির দিনগুলিতে পরিবারের সকলকে নিয়ে ‘সুন্দর সময়’ কাটাতে চেষ্টা করেন।
ক’দিন আগে ক্যানবেরার ডিকশন কলেজ অডিটরিয়ামের ‘বৈশাখী মেলা’তে অনেক বাংলাদেশীকে একত্রে দেখেছি। লক্ষ্য করেছি একমনে ওরা মেলার স্টেজে’র নাচ, গান, কবিতা শুনছে। যদি জানতে চান যে এদানিং অনেক বাংলাদেশীকে সাথে নিয়ে ক্যানবেরাতে হয়ে যাওয়া অনুষ্ঠান কোনটি? আমি বলবো ২৯ এপ্রিল ডিকশন কলেজের ‘বৈশাখী মেলা’র অনুষ্ঠানটি ।
মেলা’টিতে আমার পরিচিত-অপরিচিত অনেকেই ছিল। অপরিচিত জনদের প্রায় সবাই বয়সে তরুন। এদের কেউকে আমি দেখিনি কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেখানে টিকিট কেটে যেতে হয়েছে আমাকে। তবে, মেলাতে ছেলেমেয়ে, স্ত্রী, আর বন্ধুবান্ধব নিয়ে ওদের সেদিনের হাসি গল্পের ধরনে এটা সহজেই বালা যায় ওরা সেখানে ‘সুন্দর সময়’ কাটাতে পেরেছিল।
ক্যানবেরায় এত বাংলাদেশী থাকা স্বত্বেও এখানে বাংলা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের (গানের অনুষ্ঠান ) প্রচারনা চালানোর পরও ATN তাঁদের গত অনুষ্ঠানে ১৫০ জন দর্শকও জোগার করতে পারে নি বলে জানা যায় (এ সম্পর্কিত উপরের মন্তব্যটি পড়ুন)। এটি নিঃসন্দেহে ভাবনার বিষয়।
যারা মনে প্রানে চান যে প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি’র চর্চা অব্যাহত থাকুক তাদের এ বিষয়টি নিয়ে ভাল ভাবে খুটিয়ে দেখার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি।
ক্যানবেরায় দু’একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন রয়েছে যারা তার নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রবাসে শিশু কিশোরদেরকে বাংলা সংস্কৃতির চর্চার সাথে সংশ্লিষ্টতা বাড়াতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের এই প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে আরো কি করনীয় রয়েছে সে ব্যাপারে আলোচনা হতে পারে।
ক্যানবেরার বাংলা ভাষাভাষি ক্যমুনিটির নতুন প্রজন্মকে সাথে নিয়ে বাংলা ভাষা আর তার সংস্কৃতি্কে এখানে টিকিয়ে রাখার আলাপ আলোচনায় এদেশের বাঙালী ব্যাবসায়ীদের ভুমিকা অনেক।
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ক্যানবেরাতে বাংলা সংস্কৃতি চর্চা’র সহজ ও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে নতুন প্রজন্মকে বাংলা সংস্কৃতির (নাচ,গান,কবিতা) প্রতি আগ্রহী করা না গেলে সেদিন হয়তো আর বেশি দূরে নয় যেদিন অষ্ট্রেলিয়ার বাইরে থেকে আশা গুনী শিল্পিদের অনুষ্ঠানে দর্শক সংখ্যা ১৫০ থেকে ১৫ তে নেমে আসবে।
Related Articles
Muhammad Ali’s visit to Bangladesh
Muhammad Ali was born as “Cassius Clay” in 1942. He changed his name and religion because he wanted to be
NO! NO! NO! We Cannot Love Zia: Struggle for Justice and The Politics of Bangladesh
1971. I was a student of class six. I just arrived in Khulna city from my rural village of Narail
যে সব কারনে এই ভোট বিপ্লব
ফজলুল বারী: নির্বাচনের পুরো সময়টাই ছিলাম অনলাইনে। দেশের প্রধান নিউজ পোর্টালগুলোর পাশাপাশি একাধিক নিউজ চ্যানেলের লাইভ সম্প্রচারে চোখ ছিল সারাক্ষন।