পহেলা বৈশাখ – পরবাসে
সাম্প্রতিক সময় অজয় দা র একটা লেখার পরিপ্রক্ষিতে আমার এই লেখার অবতারণা। বলতে কোন দ্বিধা নেই অজয় দা কিছু সহজ সত্যকে বেশ সাবলিল ভাবেই তুলে ধরেছেন। সত্যিকরে বলতে কি বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃত চর্চা আসলেই কি আমরা করছি কিংবা এব্যপারে কতটুকুইবা আন্তরিক ? এ বিষয়ে বাংলা স্কুল ক্যানবেরাকে অবশ্যই একটা ধন্যবাদ দিতে হয়। বলা যায় বাংলা স্কুলের অনুষ্ঠানটা ধিরে ধিরে সার্বজনীনতা পাচ্ছে। কিছুটা হলেও এইদিনটাতে আমরা বাংগালী হয়ে উঠি, আচার আচরনে পোশাকে, অন্তরে কতটুকু সে বিষয়টাতে নাইবা গেলাম। কারন আজকাল বেশ কিছু মুখের আনাগোনাও দেখা যায, যাদের কাছে রবীন্দ্রনাথ, বাংগালী, বাংলাদেশ এ বিষয়ে গুলো বেশ গাত্র দাহক। এ কারনেই বাংলা স্কুলের এই আয়োজনকে বিষেশ ধন্যবাদ দিতে হয়, ক্যানবেরার এই একটা অনুষ্ঠানেই সকল মত পথ এক সাথে মিশে যায়। তবে মিশে গিয়েও মিশেনা, যেমন মিশে না পদ্মা মেঘনার পানি। এর বাইরে বেশ কিছু বাংলা অনুষ্টান হচ্ছে, তবে এই বিষয়টাতে অজয় দা র সাথে আমিও একমত পোষন করি, চ্যারিটির বিষয়টা আরও বেশী সচ্ছ এবং পেশাদার হওয়া উচিত।
বাংলা স্কুলে এই অনুষ্টানতাতেও আর একটু গতিশীলতা আনা যেতে পারে। হাজার বছরের বাংগালীর, বাংগালী হয়ে উঠার ইতিহাসটাকে একটু আলোকিত করা যেতে পারে, প্রবাসে যারা প্রকৃত অর্থেই বাংলা ভাষা সাহিত্য ধরে রেখেছে তাদের সম্মানিত করা যেতে পারে, মুলধারার বাংলা চলচিত্র প্রদশর্ন করার ব্যবচ্ছা করা গেলেতো আরও ভালো। এ প্রসঙ্গে সাম্প্রতিক সময় প্রদর্শিত ‘ভুবন মাঝি’ ছবির কথা বলা যেতে পারে। এই সুযোগে ক্যনবেরার প্রিয় মুখ অভিজীত প্রীয়াংকা দম্পতিকে বিশেষ ধন্যবাদ, ছবিটা প্রদশর্নীর জন্য, যদিও সেদিন হল থেকে বেরিয়ে কিছু দশকের মন্তব্য শুনে সেই সংলাপটা মনে পরে গেলো – রেখেছো বাংগালী করে, মানুষ করনি। তারপরও বলবো এ ধরনের চলচ্চিত্রের প্রদশর্ন আরও হওয়া উচিত। সর্বপরি বাংলা স্কুলে সাথে আমাদের সম্পৃক্ত নিয়েও ভাবতে হবে, এর নেতৃত্বের গুনগত উন্নয়ন আশাকরি।
Related Articles
একজন দালালের আকুতি
ফজলুল বারী: আমাকে অনেকে ক্রোধে দালাল বলেন! আওয়ামী লীগের দালাল! আরেকটু কাঁচা কথায় শেখ হাসিনার দালাল! এরসঙ্গে আরেক কাঠি যোগ করে
India’s muscle power
South Asia’s security does not depend only on South Asian countries because China comes in the picture. The impact of
সিডনির অনিক এখন চিরঘুমে রকউড গোরস্তানে
ফজলুল বারী: শোকার্ত বাবা-মা-ভাই-স্বজন, সহপাঠী-বন্ধুরা চোখ ভেজানো কান্নায় শেষ বিদায় জানালেন অনিককে। মনোয়ার সরকার অনিক (২৪) । অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বুকে