নেপিয়ারে সাকিব

ফজলুল বারী, নেপিয়ার থেকে
নেলসনে বিধবস্ত বাংলাদেশ দলের অন্যতম মূখ্য ক্রিকেট যোদ্ধা সাকিব আল হাসান চলতি নিউজিল্যান্ড ট্যুরে নেপিয়ারে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন মিডিয়ার। মঙ্গলবারের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা মিডিয়া ব্রিফিং’এ মঙ্গলবারের ম্যাচের চাইতে নিউজিল্যান্ড ট্যুরের পারফরমেন্সের কাঁটাছেড়া হয়েছে বেশি। কারন সাকিবের কাছে বাংলাদেশ যা চায় তা তিনি এই ট্যুরে দিতে পারছেন কই? ব্রিফিং’এ সাকিব আশা করেছেন শক্তিশালী নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বাংলাদেশের টি-টোয়িন্টি জেতা সম্ভব। কিন্তু দলের ১১ জন খেলোয়াড়কে ঠিকমতো জ্বলে উঠতে হবে। নিউজিল্যান্ড ট্যুরে দলের সিনিয়ররা ঠিকমতো পারফর্ম থেকে পারছেননা, এ প্রশ্নে তাকে বেশ বিরক্ত মনে হয়। তার কথা এখানে সিনিয়র জুনিয়র কী? ১১ জন খেলোয়াড় নিয়ে দল গড়া হয়। ৫ জন খেলোয়াড় নিয়ে নয়। সবকিছু নিয়ে এগারজন খেলোয়াড়েরই দায়-দায়িত্ব আছে। জুনিয়ররাও যোগ্যতার ভিত্তিতে দলে আসে। সিনিয়ররা সবকিছু করে ফেলবে আর জুনিয়ররা কিছু করতে পারবেনা এভাবে ভাবা ঠিক নয়। আসলে দিন শেষে বাংলাদেশ জিতলে সবার ক্রেডিট হারলে সবারই দোষ। এ নিয়ে বেশ ক্ষেদ যেন ঝড়ে সাকিবের কন্ঠে।
কোচ চন্ডিকা হাথুরু সিংহে সোমবার মিডিয়াকে বলেছেন সিনিয়ররা যেহেতু অভিজ্ঞ তাদের দায়িত্বও বেশি। এ কথাটি মনে করিয়ে দিলে সাকিব কী করে কোচের বিরুদ্ধে কথা বলেন! কৌশলি জবাব দিয়ে বলেন সিনিয়রদের দায়িত্ব বেশি এ কথা ঠিক, কিন্তু খেলবেতো পুরো এগারজন। শুধু পাঁচজন খেলোয়াড়ই যদি খেলে তাহলে বাকি ৬ জনের কাজ কী? সবাই মিলে ভালো খেলেই জিততে হবে। সাকিব আশা করে বলেন নেপিয়ারের মাঠ ছোট, বাউন্ডারি সীমানা বেশি বড়না। তাই যেই যখন সুযোগ পাবে সেই যদি ঠিকমতো খেলে তার বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করা উচিত। মাঠ ছোট হওয়াতে আমাদের যা শক্তি-সামর্থ্য তাই নিয়ে খেললেই হবে।
এর আগে নেপিয়ারে দু’বার এসে খেলে গেছেন সাকিব। সেই স্মৃতিগুলো এখনও তার ভালো মনে পড়ে। এরপরেই বললেন অবশ্য খেলাগুলোর স্মৃতি ভালোনা। কারন সে খেলাগুলোতেও আমরা জিততে পারিনি। তা স্বত্ত্বেও এবার নেপিয়ারে জিততে চান বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি খেলোয়াড়। আবার বলেন আমাদের দলে মুস্তাফিজ ছাড়া এমন কেউ নেই যে একাই একটা ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারে। মুশফিকের অনুপস্থিতি সম্পর্কে বলেন মুশফিক ভাই ৮-১০ ধরে দলে আছেন। দলে তার নিজস্ব অবস্থান আছে। মুশফিক ভাই নেই একথা মাথায় রেখেই তাই জিততে হলে আমাদের সবাই মিলে ভালো খেলতে হবে। বাংলাদেশ যে খেলাগুলোতে জিতেছে সেগুলোয় ৫-৬ জন ভালো পারফর্ম করেছেন। ভালো বল করেছেন ২-৩ জন। আবার ২-৩ জন ব্যাটসম্যান লম্বা ইনিংস খেলেছেন। জিততে হলে এভাবে সবাই মিলে পারফর্ম করতে হবে। এরকোন বিকল্প নেই।
নিউজিল্যান্ডের উইকেট-আবহাওয়া নিয়ে ভাবছেননা সাকিব। বললেন এখন পর্যন্ত আমরা ভালো উইকেট পেয়েছি। হয়তো ভালো খেলতে পারিনি। সেভাবে উইকেট যদি পাই জিততে হলে ১৭০-১৮০ বা এর বেশি করতে পারি তাহলে জয় অসম্ভব না। এখানেও জিততে হলে হয়তো বড় রান ডিঙ্গাতে হবে। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে বিশেষ সময়-মূহুর্তকে কাজে লাগিয়ে জিততে হয়। জিততে হলে আমাদের এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। আর আমরা যতোবার নিউজিল্যান্ড এসেছি এবারেই সবচেয়ে ভালো আবহাওয়া পেয়েছি। এতোদিন ধরে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে সময় পার করে কন্ডিশন নিয়ে আমাদের কারো মনেই কোন অসন্তুষ্টি থাকার কথা নয়। সাকিব বলেন আমরা এখানে ম্যাচের পুরো ২০ ওভারই খেলতে চাই। বৃষ্টির কারনে যদি ওভার কমানো হয় তখন কোচ-ক্যাপ্টেন মিলে পরবর্তি কৌশল ঠিক করবেন।
কিউই এক সাংবাদিক জানতে চান কেরি এন্ডারসনের মতো টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্টকে মোকাবেলায় বাংলাদেশের কোন বিশেষ কোন প্ল্যান-প্রস্তুতি আছে কিনা। সাকিব জবাব দিয়ে বলেন শুধু কেরি না। নিউজিল্যান্ড দলে আরও অনেক ভালো ব্যাটসম্যান-বোলার আছেন। তাদের মোকাবেলার সামর্থ্য বাংলাদেশের আছে। তাদের মোকাবেলা করেই বাংলাদেশ জিততে চায়। এবং তা সম্ভব। কিউই সাংবাদিকটি চলে যাবার পর দেশি মিডিয়াকে আইপিএল-বিগব্যাশে খেলা সাকিব বলেন টি-টোয়েন্টিতে আজকার দু’শো রান ডিঙ্গিয়ে জেতার রেকর্ডও আছে। আমাদেরও এসব মাথায় রেখে খেলতে হবে।
Related Articles
S.M. Krishna’s visit to Dhaka: Injection of robust optimism on bilateral ties
The three-day visit of S. M. Krishna from 6th July is considered to be productive and has ushered in high
ইউরোপে সামার ভেকেশান ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে
দেখতে দেখতে আরেকটি সামার এসে হাজির । আমার এই আর্টিকেলটি গত বছর বহুল জনপ্রিয় ম্যাগাজিন সাপ্তাহিক ২০০০ সহ বর্তমান সময়ের
চোখের আয়না মনের জানালা
দাদি মেজোকে কোলে নিয়ে আমাকে বলল চল নদী দেখে আসি। আমি দাদির শাড়ির আচল ধরে পিছনে পিছনে চললাম। নদীর পাড়ে