টার্গেট প্রথম সেশনটা ভালো করা

ফজলুল বারী, ওয়েলিংটন থেকে
ওয়েলিংটন টেস্টে বাংলাদেশের টার্গেট প্রথম বল বা ব্যাট যাই পাওয়া যাক না শুরুতে প্রথম সেশনটা ভালো করা এবং মাঠে লম্বা সময় টিকে থাকা। এ কথাগুলো বাংলাদেশের টেস্ট ক্যাপ্টেন মুশফিকুর রহিমের। এর আগে ২০০১ এবং ২০০৮ সালে ওয়েলিংটনে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা থেকেই মনে হয় বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন খেলাটি নিয়ে আশার ফানুস ছড়ানোর বিষয়ে বিশেষ সতর্ক। কারন এ মাঠে রুবেলের পাঁচ উইকেট, সাকিব-তামিম-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সেঞ্চুরি থাকলেও দুই টেস্টের অভিজ্ঞতা করুন। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ড এ মাঠে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইনিংস এবং ৭৪ রানে জয়ী হয়। আর ২০০৮ সালের ফলাফল ছিল ইনিংস এবং ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হার। ২০০১ সালে নবীন টেস্ট খেলুড়ে দল বাংলাদেশের খেলাটা চতুর্থ দিন পর্যন্ত গড়ালেও ২০০৮ সালের খেলা শেষ হয়ে যায় তৃতীয় দিনেই। এখন অবশ্য বাংলাদেশ বদলে যাওয়া একটি দল। সে কারনে বাংলাদেশের কাছে দেশবাসীর আশা প্রত্যাশাও বেশি।
বৃহস্পতিবারের ম্যাচ পূর্ববর্তি সংবাদ সম্মেলনে ঘুরে ফিরে প্রশ্ন আকারে আসে ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের সর্বশেষ টেস্ট জয় প্রসঙ্গ। মুশফিক বলেন আমি একটা বিষয় পরিষ্কার করতে চাই তাহলো ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে একটি জয় মানে এমন না যে বাংলাদেশ অনেক বড় একটা টিম। আমরা সেই খেলাটা আমাদের কন্ডিশনে খেলেছি। বিদেশের কন্ডিশন ভিন্ন। এই ভিন্ন কন্ডিশনে আমরা ভালো খেলে সেই ধারাবাহিকতাটা দেখাতে চাই। আমাদের এখানে চ্যালেঞ্জ থাকবে আমাদের শুরুটা যেন ভালোভাবে করতে পারি। আমরা গত দু’বছর দেশেই ভালো ক্রিকেট খেলেছি। এখন বিদেশে ভালো খেলে সে ধারবাহিকতা দেখাতে চাই। এখানে আমাদের প্রধান টার্গেট থাকবে যে কোন শুরুটা যেন ভালো আর টেস্টে লম্বা সময় ধরে আমরা যাতে উইকেটে থাকতে পারি। এখানে আমাদের তামিমের ভালো রান রয়েছে। সাকিব এখানে একশ করেছে-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ভাই একশ করেছে। এখানে আমাদের অনেক ভালো কিছু ভালো স্মৃতি আছে। এবার আমরা আরও ভালো করতে চাই। দলগতভাবে ভালো করতে চাই।
মুশফিক বলেন, এর আগে ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি সিরিজে আমাদের কারো কারো ব্যক্তিগত প্রাপ্তি ভালো ছিল। কিন্তু যদি টিম হিসাবে কাজ করতে পারতাম তাহলে এক-দুটি ম্যাচ আমাদের পক্ষে আসতো। এই বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে। ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টিতে যা আমরা সুযোগ থাকা স্বত্ত্বেও জয় অর্জন করতে পারিনি টেস্টে তা করতে হবে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে সে যোগ্যতা আমাদের আছে। আমাদের কারেক্টারগুলো শো করতে হবে। দীর্ঘ সময় ধরে এখানে উইকেটে টিকে থেকে আমাদের সে কষ্টগুলো করতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় আমরা ৫-৬ ওভার ভালো করি বা করতে পারি। কিন্তু এখানে আমাদের কাজগুলো করতে হবে সেশন বাই সেশন। এটা হয়তো অনেক কঠিন হবে । কিন্তু অসম্ভব কখনোই না। অন্তত আমি তা মনে করি।
Related Articles
Message from Outgoing President, BAAC EC 2013/14
Dear Community Members, Bangladesh Australia Association Canberra Inc. (BAAC) 2014 Annual General Meeting (AGM) will be held on Sunday, 13
নাজিম উদ্দিনরাই এই সময়ের হিরো
ফজলুল বারী: গ্রামের রাস্তায় আগে একটা দৃশ্য প্রায় দেখা যেতো। এখন সেটি দেখা যায় কীনা জানিনা। তাহলো, এক ভিক্ষুক আরেক
India’s muscle power
South Asia’s security does not depend only on South Asian countries because China comes in the picture. The impact of