ইসলাম কি সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে?

ইসলাম কি সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে?

এবারের পর্বটা লেখার কথা ছিল Spiritual Islam ও সুফিবাদ নিয়ে। বস্তুত সম্প্রতি আমাকে সংশয়বাদী থেকে ধর্মের দিকে ফেরানোর প্রধান ভূমিকা এই অংশ দুটি নিয়ে পড়াশুনা। কিন্তু একাডেমিক বিশ্লেষনের চাইতে বর্তমানে দুটি বার্ণিং ইস্যু নিয়ে লিখছি “ ইসলাম কি সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে?” এককথায় না। শুধু ইসলাম না যে কোন ধর্মেই সন্ত্রাসবাদের কোন স্থান নেই।“তাহলে কেন আমাদের সন্তানেরা জংগীবাদের দিকে ঝুকছে?” কারন আমরা বিভ্রান্ত হই ধর্মের ইতিহাসের উপাদানে আর কোরান হাদিসের কিছু ভিন্ন প্রেক্ষাপটের ব্যাখা বর্তমান প্রেক্ষাপটে মিলিয়ে। আমি দ্বীতিয়টি দিয়ে প্রথম শুরু করতে চাই কারন বন্ধু’র একটি সংশয়বাদী উক্তি “তার মানেঅন্ধের মত বিশ্বাস। আমি জানি এটা আমগাছ। আমার ধরম বলছে এটা তাল গাছ। কাজেই তাল গাছই সত্য। সবচেয়ে ভাল চোখ কান বুজে থাকা, কোন কিছু না পড়া। সবার জন্য আমার সাজেশন হচ্ছে বাচ্চাদের হাতে কোরান এর বাংলা বা ইংলিশ অনুবাদ না দেওয়া। জংগী অথবা নাস্তিক হবার চান্স ফিফটি ফিফটি”।

প্রতিটা ধর্মই তার ইতিহাসের একটা পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের ভেতর দিয়ে গিয়েছে তাদের স্রস্টার জন্য লড়াইয়ে (Karen Amstrong এর একটা বই আছে Fighting for God যদি পার পড়ে দেখতে পার)। এবং এই লড়াই এর আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ছিল কৃষিভিত্তিক সমাজে প্রতিষ্ঠার লড়াই, ইউরোপে যা চলেছিল ১৪ শতক পর্যন্ত শতবর্ষীয় যুদ্ধ, ৩০ বর্ষীয় যুদ্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে। শিল্পবিপ্লবের পরে ধর্মটাকে তারা রাষ্ট্রিয় পর্যায় থেকে ব্যাক্তিগত চর্চায় নিয়ে যায় এবং ধর্মের আধ্যাত্তিক দর্শনে মনোযোগী হয়, তাদের সম্রাজ্যবাদী নীতিতে অন্য রাষ্ট্রে ধর্মটাকে ব্যবহার অক্ষুন্ন রাখে। পক্ষান্তরে তখন মুসলিম সমাজে চলছিল অটোমান খেলাফত যারা ইসলামী শরিয়তের নতুন ব্যাখা আইন করে বন্ধ করে দেয়, এবং এটাই আমাদের ধর্মীয় আইন কানুন ব্যাখাগুলোকে নতুন শিল্পভিত্তিক সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে চলার পথ বন্ধ করে দিল। এর পর ফতোয়া হয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে কখনও আল-আজহার কখনো সৌদি গ্রান্ড মুফতি বা শিয়া ইমাম বা দেওবন্দ মাদ্রাসার নামে। সম্প্রতি বাং ফতোয়া দিয়েছেন তা যথাস্থানে আলোচনা হবে।বর্তমানের সমস্যা গুলোর জন্য বহুলাংশে আমরা নিজেরা, আমাদের রাষ্ট্রব্যবস্থা, রাজনৈতিক ও সামজিক দর্শনের পরিবর্তন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন দায়ী এর সাথে নয়া আর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ আমেরিকা ইসরাইল জোট (আমি একে মোটেই খৃষ্টান ইহুদি জোট বলতে রাজি নই, কারন আগেই বলেছি ধর্মটাকে তারা বহু আগেই ব্যাক্তিগত পর্যায়ে নিয়ে গেছে, শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে আর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ব্যাবস্থা কায়েম রাখতে আমাদের ধর্মিয় দূর্বলতাকে ব্যাবহার করছে)। মুখবন্ধটি বড় হয়ে গেল, আসল প্রসংগটা কয়েকটি ভাগ করবো

কেন আমাদের সন্তানেরা জংগীবাদের দিকে ঝুকছে?
১) জংগীবাদের আক্রন্ত গ্রুপ কারা এবং কেন
২) তাদের দলে ভেড়ানোর টার্গেট গ্রুপ কারা
৩) কেন তারা সহজ টার্গেট
৪) টার্গেট গ্রুপের মনস্তাত্তিক সামাজিক ও পারিবারিক বিশ্লেষন
৫) কিভাবে দলে ভেড়ানো হয়
৬) আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতির ভুমিকা
৭) সবচাইতে বড় প্রশ্ন আমরা ব্যাক্তিগত, সামাজিক ও রাষ্ট্রয়ভাবে একে কিভাবে প্রতিরোধ করতে পারি।

যেহেতু এ প্রশ্নগুলোর একাডেমিক গবেষনার সাম্প্রতিক বিষয়বস্তু হিসাবে দেখা হচ্ছে এবং সম্পুর্ণ মতৈক্যে কেউ পৌছুতে পারে নাই তাই আমার লেখায় একামেডিসিয়ানদের কমন মতামত ও আমার নিজস্ব রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মিয় মতামতের প্রভাব পড়বে।

ইসলাম কি সন্ত্রাসবাদ সমর্থন করে?
১) রসুল(সাঃ) নবুয়ত পুর্ববর্তি এবং নবুয়তের মক্কা ও মদীনার জীবনের পর্যালোচনা- সেখানে আদৌ সন্ত্রাসের কোন ইতিহাস আছে কি না।
২) মদিনা সনদের বিশ্লেষন, বিদায় হজ্জ্বের ভাষন বিশ্লেষন
৩) কোরানের সন্ত্রাস বিরোধী এবং মানবতার পক্ষের আয়াতগুলো বিশ্লেষন
৪) হাদিস এবং সীরাত গ্রন্থগুলি কি বলে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে।

“নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অতিথি লেখক”


Tags assigned to this article:
ইসলামসন্ত্রাসবাদ

Place your ads here!

Related Articles

সাহিত্যে সম্পদ আহরণ ও সমাজ পরিবর্তনের ইঙ্গিত

সাহিত্যিক গবেষক নন তবে তার পর্যবেক্ষণ খুব গভীর ও নিবিড়। সাহিত্যিক নিরাসক্তভাবেই তার চেতনে, অবচেতনে  চারপাশে বহমান জীবনের ও চলমান

ডার্টি কমেডি ও নোংরা গল্প

ঘটনা দু’টো দুই মহাদেশের। বিস্ময়কর ভাবে কেন্দ্রীয় বিষয় এক ও মানুষের প্রতিক্রিয়াও এক। মানুষ আনন্দে হাসার জন্য কমেডী দেখে আর

প্রেক্ষাপটঃ “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্মৃতিসৌধ” এবং “একুশে’র বিশ্বায়ন” (চতুর্থ পর্ব)

‘টুয়েন্টি ফাস্ট (একুশে) ফেব্রুয়ারি’ ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস”। বিশ্বসমাজ কর্তৃক অন্যান্য আন্তর্জাতিক দিবসগুলির মতই একটি পালনীয় দিন। আন্তর্জাতিকভাবে

2 comments

Write a comment
  1. Yusuf Mamun
    Yusuf Mamun 5 June, 2017, 00:16

    প্রতিটা ধর্মই তার ইতিহাসের একটা পর্যায়ে রক্তক্ষয়ী সন্ত্রাসের ভেতর দিয়ে গিয়েছে তাদের স্রস্টার জন্য লড়াইয়ে (Karen Amstrong এর একটা বই আছে Fighting for God যদি পার পড়ে দেখতে পার)। এবং এই লড়াই এর আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট ছিল কৃষিভিত্তিক সমাজে প্রতিষ্ঠার লড়াই, ইউরোপে যা চলেছিল ১৪ শতক পর্যন্ত শতবর্ষীয় যুদ্ধ, ৩০ বর্ষীয় যুদ্ধ ইত্যাদি বিভিন্ন নামে।

    The moment one wishes to talk about Islam – he has to first and foremost needed to bring the reference of Quran to set his or her argument. If not he can try with the Hadith and then he can try even with Torah, Jobur or Injeel. Unfortunately the writer has had to bring in Karen Amstrong – to justify and or nullify compatibility of Terrorism in Islam and or lets say to draw down his introduction.

    This sorts of writing serves a thought process compatible to the deceptive terms like freedom of speech, democracy and so on so forth – it does not serve the life hereafter.

    Someone seating far away land where the killing, maiming, raping, destruction of property, lives and living taking place for over decades wish to talk based on the spoon feed media terms like ”terrorism” ”Islamic Terrorism” is quite funny.
    If one is honest he should simply search the word terrorism in Quran and Hadiths or any other religious book – and say that there is nothing called terrorism in the books of religion. Then he can go into the origin of terrorism when it came into being in the world and who termed it, promoted it, exported it and branded it.

    I feel ashamed to see that people claiming Muslim – buying out the knowledge and terms from the manifestos of Shaitan, deceiver, corrupter etc. If anyone takes the knowledge from books of God and his prophets will find that their is not a single Muslim got involved in so called terrorism.

    But there are thousands got involved in to the terrorism who hates Allah and His slaves wherever they are in Afghanistan to Iraq to Syria to Libya or to any western lands only to destroy and contaminate the religion of Islam and to install the great deceiver as the figure head of the world to rule the people from Jerusalem.

    I am sorry and feeling a kind of pain to see that the writer mixed up war/battle and terrorism in his statement. Doing something like this fundamentally flawed and pushing readers to digest something secular convenient arguments.
    Anyway, nothing of my words are to hart the writer or anyone. My intention is to suggest where I see the contradiction and flawed foundation of this article. But anyway – the writer should continue writing ———————-

    Reply this comment
    • Truth seeker
      Truth seeker 5 June, 2017, 14:03

      You need to read Bukhari, where u will see hundreds of reference of terror attack on groups or people with camels travelling has been targeted by Muslim or Mohammed follower just to rob or steal their woman resulting plenty of unnecessary bloodshed.

      I am leaving it on u to read “Bukhari Shariff ” to find referential evidence.

      Reply this comment

Write a Comment