নিউজিল্যান্ডের পথে পথে – বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড সফরের কাভারেজ
সিডনি থেকে কোয়ানটাসের বিমান উড়িয়ে নিয়ে এসেছে ক্রাইস্টচার্চে। বৃহস্পতিবার রাতের খবর। ফ্লাইট ল্যান্ডিংয়ের সময় দেয়া ছিল স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৫৫ মিনিট। কিন্তু ফ্লাইটটি নামল নির্ধারিত সময়ের ১৩ মিনিট পর! এসব দেশে এ ধরণের দেরি কোনও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। দেরির কারণটি ঝড়। আকাশে ঝড়ের কবলে পড়েছিল উড়োজাহাজটি। ক্রাইস্টচার্চে ল্যান্ডিংয়ের সময়ও মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। অতঃপর নিরাপদ ল্যান্ডিং। এখান থেকে আমরা শুরু করব বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের বহুল আলোচিত নিউজিল্যান্ড সফরের কভারেজ। ব্ল্যাক ক্যাপস বনাম টাইগার্স।
বাংলাদেশি যুবক শাহীন তার বন্ধুদের নিয়ে ক্রাইস্টচার্চ বিমানবন্দরে আমাদের অপেক্ষায় ছিলেন। তার থেকে গাড়ির কর্তৃত্ব চেয়ে নিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে প্রথম দেখা রাতের ক্রাইস্টচার্চ। এটি নিউজিল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলের ছোট একটি দ্বীপ শহর। জনসংখ্যা চার লাখেরও কম। মধ্যরাতের পর রাস্তা প্রায় ফাঁকা। খুব প্রয়োজনীয় কাজে বের হওয়া কিছু গাড়ি ছাড়া কোথাও কেউ নেই। এসব দেশে অবশ্য রাতের এই ছবিটি সর্বত্র প্রায় একই রকমের। সকালে উঠে কাজে যেতে হয় বলে রাত ন’টার আগেই বেশিরভাগ মানুষ ঘুমাতে যান। ভোর পাঁচটার আগে জেগে ওঠে শুরু হয় নতুন এক দিন শুরুর দৌড়ঝাঁপ, সংগ্রাম।
চার বছর আগে বড় একটি ভূমিকম্পে এই দুই জনপদটির উল্লেখযোগ্য অংশ ধ্বংস হয়। ক্রাইস্টচার্চ তখন আন্তর্জাতিক মিডিয়ার শিরোনাম হয়। প্রায় বিধবস্ত শহরটির পুনঃনির্মাণে একাধিক নির্মাণ প্রতিষ্ঠান সিঙ্গাপুর থেকে বেশ দক্ষ বাংলাদেশিকে এখানে নিয়ে আসে। আজকের ক্রাইস্টচার্চের বাংলাদেশি বাসিন্দাদের এরাই উল্লেখযোগ্য অংশ। আরও আছেন বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রী ও কিছু পেশাজীবি। তবে সব মিলিয়ে এই সংখ্যাটি তিন শ’র কোটা পেরোনোর কথা নয়। ২৬ ডিসেম্বর এরাই ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ উচ্ছাস-চিৎকারে জয়োধ্বনি তুলবেন মাতৃভূমির জন্য।
রাতে বিমানবন্দর থেকে ড্রাইভ করে এখানকার ডেরার পৌঁছবার পথে হেগলি ওভাল দেখারও সুযোগ হয়। ক্রাইস্টচার্চের মূল স্টেডিয়ামটি গত ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হবার পর এ মাঠেই এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচের খেলা হচ্ছে। কিছুদিন আগে পাকিস্তান ক্রিকেট দল এখানে খেলে গেছে। এখন খেলবে বাংলাদেশ দল। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এ নিয়ে বিশেষ উৎফুল্ল আছেন। কারণ বাংলাদেশ দলকে এদের বেশিরভাগ এর আগে টেলিভিশনে দেখেছেন। সামনা-সামনি দেখেননি। প্রিয় ক্রিকেটারদের সামনা-সামনি দেখার সুযোগ হবে, এমন মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা নিয়ে ভক্তদের নানা আবেগ-প্রস্তুতির উত্তাপ ক্রাইস্টচার্চের প্রথম রাতেই ঢের অনুভব করা গেছে। কারণ ক্রিকেট মানেই তো এখন বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকার পতপত উড়তে দেখা। ক্রাইস্টচার্চের প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন সে অপেক্ষায়।
Related Articles
প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার, জন্মদিনের শুভেচ্ছা
প্রিয় হুমায়ুন আহমেদ স্যার, জন্মদিনের শুভেচ্ছা । আপনি লজিক এন্টি-লজিক নিয়ে খেলেছেন সবসময়। আবেগ আর বাস্তব… কে জিতবে কে হারবে
ICC World Twenty20 Cricket 2009
After all the drama, excitement and glamous Bollywood dances of IPL, world stage is ready for the ICC World Twenty20
প্রধানমন্ত্রী কি আদুরির কপালেও স্নেহের চুম্বন আঁকবেন?
কঙ্কালের মত ভাগাড়ে পরে ছিল আদুরী নামের হাড় জিরজিরে একটি শিশু। মহানুভব পুলিশ কর্মকর্তাকর্তৃক উদ্ধার হয়ে ছোট্ট শিশুটির ঠাই হয়েছে