বিদ্যুৎ চাই, তবে প্রাণের সুন্দরবনের বিনিময়ে না

বিদ্যুৎ চাই, তবে প্রাণের সুন্দরবনের বিনিময়ে না

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে চলতি বিতর্কে অনেক উপকার দিয়েছে। অনেক কিছু জেনেছি শিখেছি এবং এখনও জানছি-শিখছি। যে কোনো গণতান্ত্রিক সমাজে মতামত গঠনে বিতর্ক একটি স্বাস্থ্যকর মাধ্যম। যদি সেখান থেকে ভালোটা গ্রহণের নিয়ত থাকে। কিন্তু এ ইস্যুতে সোশ্যাল মিডিয়ার চলতি বিতর্কে নানা তথ্য উপাত্তের পাশাপাশি ব্যক্তি আক্রমণও কমে হচ্ছে না।

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব আনু মুহাম্মদকে চিংকু বাম, বামাতি সহ নানা বিশেষণে একদল ধুয়ে দিচ্ছেন! এই মানুষটি দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা এবং লেখালেখি করেন। কবে চীনপন্থী রাজনীতি করেছেন তা আজ দুনিয়া জুড়ে এক নাম্বার ব্যবসায়ী রাষ্ট্র চীনের খাতাপত্রেও হয়তো এদের নাম আর নেই।

ব্যবসা পেতে চীনারা এখন দেশে দেশে ক্ষমতাসীন সরকারি লোকজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখে। যেমন এখন বাংলাদেশে নানা চীনা ব্যবসার লোকাল এজেন্ট আওয়ামী লীগের নেতা-এমপিদের সম্পৃক্ততায় থাকা নানা বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। আজকের বদলে যাওয়া চীন রাজনৈতিকভাবে কেউ তার পন্থী থাকুক এটাও আর চায় না। কারন খোদ চীনে মাও সেতুং এখন প্রায় নিষিদ্ধ এক নাম।

আনু মুহাম্মদের সমসায়িক অথবা জুনিয়র শিক্ষকদের বেশিরভাগ এরমাঝে সুবিধামতো আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে যোগ দিয়ে ভিসি সহ নানান সরকারি দায়িত্বে চলে গেছেন! কিন্তু আনু মুহাম্মদতো সেই প্রতিযোগিতায় কোনদিন আওয়ামী পন্থী কোনো শিক্ষকের সঙ্গে প্রতিদন্দ্বী হননি বা চেষ্টাও করেননি।

সবদেশেই এমন ঘরানার প্রতিযোগিতার বাইরেও থাকেন কিছু প্রথাবিরোধী লোকজন। তারা ব্যাংক ডাকাত না, ঋণখেলাপি বা কোনো ধরনের লুটপাটের সঙ্গেও জড়িত না। দেশে দেশে এমন প্রথাবিরোধীদের নেতৃত্বেই পরিবেশ আন্দোলন সহ নানান জনহিতকর ইস্যুতে আন্দোলন হয়। এ নিয়ে তারা ক্ষমতাসীনদের তোপের মুখে পড়েন। আনু মুহাম্মদরাও বাংলাদেশে আজ সে পরিস্থিতির শিকার!

এখন মূল প্রসঙ্গে আসি। বিদ্যুৎ আমাদের খুব প্রয়োজন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এরমাঝে উল্লেখযোগ্য পরিমানে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছে। আরও করতে হবে। কারন অভ্যন্তরীন অবানিজ্যক চাহিদার পাশাপাশি এর বানিজ্যক চাহিদা শুধুই বাড়ছে। বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে এ নিয়ে শুধু চুরিচামারি করেছে। বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জরুরি পরিস্থিতির সামাল দিতে কুইক রেন্টাল সহ নানা ব্যবস্থা নেয়। এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ ব্যবস্থার যথেষ্ট উন্নতি হয়।

K986ugQxliMs

জরুরি পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে এসব বিদ্যুৎ ব্যবসাপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কিছু নেতা অথবা তাদের ভালোবাসার মানুষেরা অর্থবিত্তে এরমাঝে এমন লালে লাল হয়ে গেছেন না! এসব নিয়েও মূল আলোচনা না। কারন আর সব ব্যবসার মতো সব বিদ্যুৎ কোম্পানিই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। আঞ্জুমানে মফিদুল ইসলাম বা রামকৃষ্ণ মিশন না। ব্যবসা আব্দুল করিম না হোক আব্দুল মতিন পাবে। তবে তাকে অবশ্যই আওয়ামী লীগার হতে হবে। একই অবস্থা ছিল বিএনপি আমলেও।

জনহিতকর চিন্তায় আওয়ামী লীগ সরকার যদি এদের মুনাফার দিকগুলো একটু চেপে রাখতো তাহলে দেশের মানুষ আরও কম টাকায় বিদ্যুৎ পেতো। কিন্তু বাস্তব অবস্থা হচ্ছে বিদ্যুৎ নিয়ে দেশের মানুষের এত হাহাকার যে করিম মিয়া না মতিন মিয়া দিলো, দাম বেশি না কম এসব জানার দেখারও কিছু তাদের মধ্যে নেই। তাদের একটাই দাবি বিদ্যুৎ চাই। এমন একটি পরিস্থিতিতে রামপালের ভারতীয় কোম্পানিটিও বাংলাদেশে ব্যবসার খোঁজে এসেছে।

এখন রামপাল নিয়ে বিতর্ক শুরুর কারনে দেশের মানুষ জানলো এদের এই কোম্পানিটির প্রজেক্টটিই ভারতে বাতিল হয়ে গিয়েছিল! ভারতীয় কোম্পানি তার প্রজেক্ট তার দেশে বাতিল হয় বাংলাদেশে তা আহলান সাহলান বলে গৃহীত হয়! বিদ্যুৎ নিয়ে বাংলাদেশের পেরেশানির সুযোগে কতদিকে কত রকম গোলমেলে অবস্থা, বুঝতে পারেন?

zMbrPaMwD6Zo

ভারতেও সুন্দরবনের নিরাপত্তা নিয়ে এই কোম্পানিটির প্রজেক্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। বিষয়টি পরে আদালত পর্যন্ত গড়ায়। আদালত তখন সুন্দরবন না, নদীর মোহনার নিরাপত্তার কথা বলে প্রজেক্টটি বাতিল করে দেয়। এর উদাহরণ টেনে একদল বলছেন ভারতেতো সুন্দরবনের জন্যে এটি বাতিল হয়নি। এদের কথা কবুল করেও কী বলা যায় বাংলাদেশের নদীগুলোর কী কোন মোহনা নেই? না সেগুলো লোহা দিয়ে মোড়ানো? মোহনায় সমস্যা হলে কী সুন্দরবন সহ নানাকিছুতে সমস্যা হবেনা?

খরচ তুলনামূলক কম বলে সারা দুনিয়ায় কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প জনপ্রিয়। বাংলাদেশেও আর কোথাও কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে এতোটা প্রতিবাদ-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়নি। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বর্তমান স্থানটি সুন্দরবনের জন্যে স্পর্শকাতর। বাংলাদেশের গৌরব-আরেক ভালো্বাসার নাম সুন্দরবন। আমাদের আরেকটি সুন্দরবন নেই। প্রতিবাদটি সে কারণে। বলা হচ্ছে এ কেন্দ্রের প্রস্তাবিত স্থানটি সুন্দরবন থেকে ১৪ কিঃমিঃ দূরে। তাই এতে এর কোন ক্ষতি হবে না।

বনের বহুদূর বলে এর শব্দে একটাও পাখি উড়বেনা, বাঘেরা থাকলে তাদের ঘুম ভাঙ্গবেনা ইত্যাদি। আরো যুক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে অমুক অমুক পদ্ধতিতে এর কয়লা পোড়ানো হবে বলে এর কয়লার ধোয়ায় সুন্দরবনের গাছগাছালিতে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়বেনা!

6DW0oB0TRGO7

আপনি বাংলাদেশ থেকে শত হাজার কিঃমিঃ দূরের উন্নত দেশগুলোর কার্বন নিঃস্বরনকে কেন্দ্র করে জলবায়ুর প্রভাব সামাল দিতে আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে গিয়ে ক্ষতিপূরন চাচ্ছেন, আর নিজের দেশের এমন একটি সম্পদ বনের চৌদ্দ কিলোমিটারের মধ্যে কার্বন নিঃস্বরনে কোন ক্ষতি দেখছেন না! এমন সুবিধাবাদী খেলো কথাবার্তায় আপনার আন্তর্জাতিক ফোরামের দাবির সঙ্গে স্ববিরোধী হয়ে গেলোনা?

কয়লা পুড়লেতো সুগন্ধি বেরোয়না। কালো ধোয়া বেরোয়। যা বাতাসে বিষক্রিয়া ছড়ায়। আপনি আপনার বাড়ির একটা আম অথবা লিচু গাছ বাদুরের লোভ থেকে রক্ষা করতে কত আদর করে জাল দিয়ে পেঁচিয়ে নিরাপদ রাখেন। কিন্তু একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র যেটিতে দিনেরাতের চব্বিশ ঘটনা বিরতিহীন কয়লা পুড়বে সেখান থেকে কালো ধোয়া বেরুবে, সে বিষে প্রতিক্রিয়া হবে বাতাসে, তা থেকে সুন্দরবন কী করে সংরক্ষিত নিরাপদ থাকবে?

আর কয়লা যেখানে উত্তোলন হয়, কয়লা যে সব পথ পরিবহন হয় সে স্থানগুলো সরেজমিন দেখলে জানলে কেউ এভাবে ঢালাও বলতেন না। অস্ট্রেলিয়ার মাইনিং এলাকাগুলোর আশেপাশে কোন বসতি নেই। কয়েক কিঃমিঃ এলাকায় কোন ফসল হয়না। পরিবেশ নিরাপদ আর পরিবেশবাদীদের শান্ত রাখতে সরকার সারাক্ষন ব্যয়বহুল যতো কর্মযজ্ঞ চালায় বাংলাদেশের অত জমিও নেই, সামর্থও নেই।

6Q4Ipd0rJr3p

কিন্তু বাংলাদেশেরওতো নিজের দেশের একটি অংশের মাটির নিচে বিশাল কয়লার মজুদ আছে। সে কয়লা উত্তোলন পদ্ধতি বিতর্কে সেই কয়লা তোলা যায়নি। বিএনপি আমলে সেখান থেকে কয়লা উত্তোলনের চেষ্টা বন্ধ হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরোধিতায়। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে সে কথা মনে করে সেদিকেই আর যায়নি। যেহেতু ভারত থেকে পরিবহন খরচ তুলনামূলক কম সেহেতু দেশের ইটভাটি সহ নানা প্রয়োজনে ভারত থেকেই কয়লা আমদানি হয়। ভারত থেকে আমদানির পর বাংলাদেশের যে সব এলাকায় এসব স্তুপাকার মজুত হয় সে এলাকাগুলোয় আর সেভাবে ফসল হয়না। বাতাসে বিষ ভাসে সব সময়।

রামপালের স্থানটি ভারত পছন্দ করার কারন নদীপথে এবং সড়ল-রেল সহ নানামাধ্যমে সেখানে সস্তায় কয়লা পরিবহন করা যাবে। সে ব্যবসায়ী। তার বানিজ্যিক স্বার্থ সে দেখবেই। আমরা কী আমাদের স্বার্থ দেখবোনা? কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অবকাঠামোগত এবং জ্বালানি পরিবহনের নানাকিছুতে নদীর মোহনায় সমস্যার সৃষ্টি হবে, নদীর নাব্য সমস্যার ধকল গিয়ে পড়বে কলকাতা বন্দর পর্যন্ত এসব বিবেচনায় ভারতে এই প্রকল্প সুন্দরবন এলাকায় করতে দেয়া হলোনা, আমাদের এখানে কিছুই হবেনা?

কয়লা পরিবহন, নদী নাব্য, সুন্দরবনের সুরক্ষা সব করে দিয়ে যাবে এলিয়েন! আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদার পেরেশানির সুযোগে সবাই তাদের সুবিধামতো পদ্ধতি এভাবে আমাদের গিলিয়ে নিচ্ছে! আর আমরা শুধু হ্যাঁ আর হ্যাঁ যুক্ত হবে-হয়েছে বলে যাবো?

EyuNIxVXQhGT

বলা হচ্ছে এই প্রকল্পের টেন্ডার যদি চীনা কোম্পানি পেতো তাহলে এভাবে প্রতিবাদ হতোনা। আমি এ কথায় একমত না। প্রতিবাদ হচ্ছে সুন্দরবনকে ভালো্বেসে। কোম্পানি চীনা হোক ভারতীয় হোক বা বেহেস্তের হোক না কেনো কয়লা পুড়লে ধোয়া কালোই বেরুবে। সেটিকে আপনি এই পদ্ধতি সেই পদ্ধতির তকমায় দূষন ২-৩% কমাতে পারবেন। কিন্তু দূষনমুক্ত কয়লা পোড়ানোর বিষয়টি আজো পৃথিবীতে আবিষ্কৃত হয়নি।

সবচেয়ে আশংকার রামপালের বর্তমান স্থানটি নিয়ে জেদাজেদির। আপনার নিয়ত বিদ্যুৎ উৎপাদন। বর্তমান স্থান থেকে আরও কুড়ি-চল্লিশ কিলোমিটার দূরে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি সরিয়ে নিলে আপনার যন্ত্রপাতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবেনা? এ কী ধরনের যন্ত্রপাতি আপনাদের? প্রস্তাবিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বর্তমান স্থান থেকে একশ কিঃমিঃ দূরে সরিয়ে নিলেও সুন্দরবনের ক্ষতি হবে। কিন্তু তুলনামূলক কম হবে।

মজার ব্যাপার এ কথাগুলো যে ভারতীয় ব্যবসায়ী কোম্পানি ব্যবসা করতে এসেছে সে এসব নিয়ে কিছু বলছেনা তার লোকজন আমাদের এসব দেখেশুনে নিশ্চয় খুব মজা পাচ্ছে! বাংলাদেশ সরকার এসব নিয়ে বিশদ বলছেনা, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে জড়িত যত পরিবেশবিদ বিজ্ঞানী আছেন তারাও বলছেননা! বলছেন যারা তারা আওয়ামী লীগকে ভালো্বাসেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সবকিছুতে হ্যাঁ বলেন। দেশের সবকিছুতে যেমন এখন একটি একতরফা অবস্থা, এই হ্যাঁ জয়যুক্ত হবে। আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে চলেছে তারা এটি করবেই। কিন্তু এতে কী বাংলাদেশ জয়যুক্ত হবে?

8ntms8d7mW9Q

সবাইকে এই বলে সতর্ক করি যে বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে বাংলাদেশের কিন্তু করুন এক অধ্যায় আছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনকে কেন্দ্র করে দেশের একটি অঞ্চলে যুদ্ধ হয়েছে দিনের পর দিন। কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্যে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিষয়গুলো বিবেচনায় না নিয়ে অপরিণামদর্শী বাঁধ দিতে গিয়ে ডুবে গেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিস্তীর্ন অঞ্চল।

ডুবে যায় আদিবাসী পাহাড়িদের ফসলী জমি বাড়িঘর। তাদের অনেকে শরণার্থী হিসাবে আশ্রয় নেয় ভারতে। বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এর সঙ্গে রাজনৈতিক-সামরিক নানাকিছু জড়িয়ে সৃষ্টি হয় শান্তিবাহিনীর। এ নিয়ে দীর্ঘদিন যুদ্ধ পরিস্থিতি চলেছে পার্বত্য অঞ্চলে। কিন্তু সমস্যার মূলেতো অন্তত প্রধান ছিল কাপ্তাই জল বিদ্যুৎ প্রকল্প। সেই শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে শান্তিবাহিনীকে অস্ত্র সমর্পনে রাজি করাতে কী কম কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে এই আওয়ামী লীগকে?

আজ ক্ষমতায় আছেন বলে রামপাল ইস্যুতে আনু মুহাম্মদরা প্রতিবাদ নিয়ে রাস্তায় নামলে পিটিয়ে তাদের হাড়গোড় ভেঙ্গে দিতে পারবেন। আনু মুহাম্মদরা এর জন্যে শান্তিবাহিনীর মতো যুদ্ধে যাবে না। কিন্তু এই প্রতিবাদের কারণ সমূহ যদি না শোনেন, বিপদ কিন্তু ঘটবেই।

LLv6ISg16UhH

সোশ্যাল মিডিয়াগুলো পড়ুন। কয়জন এর পক্ষে এর কতশতগুন বিপক্ষে সুন্দরবন নিয়ে নতুন প্রজন্মের হাহাকার কান্না যদি না শোনেন বিপদে পড়বেন। বিদ্যুত তো আপনারা করতে চাইছেন দেশের মানুষের জন্যে। কোনো বিদেশি কোম্পানির ব্যবসার ব্রোকার হবার-সাজার জন্যে না। সে প্রয়োজনও আপনাদের নেই। এরপরও এ নিয়ে জেদাজদির কারণ কী?

আবারও বলছি আমরা বিদ্যুৎ চাই। রামপাল প্রজেক্টও থাকুক। কিন্তু দেশের মানুষের প্রাণের সুন্দরবনের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বর্তমান স্থানে না। যদি গণতান্ত্রিক হন, এ নিয়ে দেশের মানুষের মতামত চান। সুন্দরবনের বিনিময়ে বা মানুষের মতামতের বাইরে গিয়ে জবরদস্তিমূলক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্যেতো কেউ আপনাদের হাতে পায়ে ধরেনি।


Place your ads here!

Related Articles

চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে দু’বার আসবেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর!

ব্যাঙ্গালুরু (কর্নাটক) ভারত থেকে: ব্যাঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মাঠে বুধবার পরপর দু’বার আসবেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর! আজকাল ক্রিকেটের মাঠেও এভাবে

Bikrampur International Airport

প্রসঙ্গ পদ্মাসেতুঃ জাতিয় উন্নায়নের বাধার রাজনীতি কখনো কল্লান কর নয় । বিক্রমপুরের বুঁক চিরে দক্ষিন পষিচমাঞ্চলের উন্নায়নের দ্বার খুলে দেবে

‘তোমাকে পাবার জন্য…’

শুরু হোক এভাবে । পেরিয়ে এসেছি বেশ কিছু  সময়। মেলবোর্নের সাহিত্যপ্রেমীদের অতিথি হয়ে  বাংলাদেশ থেকে  কবি আসাদ চৌধুরী এসেছিলেন। কবির 

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment