বিদেশের মাটিতে জয় খরা কাটলোনা বাংলাদেশের
![বিদেশের মাটিতে জয় খরা কাটলোনা বাংলাদেশের](https://priyoaustralia.com.au/wp-content/uploads/2016/12/2-2-890x395_c.jpg)
ফজলুল বারী, নেলসন থেকে
বিদেশের মাটিতে জয় খরা কাটলোনা বাংলাদেশের। সুযোগ পেয়ে তুঙ্গে যেতে পারলোনা বৃহস্পতি। নেলসনের মাটিতে বৃহস্পতিবারের হারের মাধ্যমে বাংলাদেশ সিরিজ হারলো নিউজিল্যান্ডের কাছে। এখন শনিবার একই মাঠে তাদেরকে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লড়াই করতে হবে। বড় আশার দলটি কতো সহজ ম্যাচ যে কতো সহজে হারলো তাও আবার দেখলো বাংলাদেশ। যদিও এসব ক্রিকেট খেলারই অংশ।
অথচ গত বিশ্বকাপে নেলসনের এই সেক্সটন ওভালেই স্কটল্যান্ডের ৩১৮ রান তাড়া করে জিতেছিল টিম বাংলাদেশ। কিন্তু বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডকে ২৫১ রানে বেঁধে ফেলেও ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় পারলোনা টিম টাইগার্স। দলের জয়ে আশাবাদী হয়ে অল্প সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি নেলসনের মাঠে উৎসবের নানা প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন। বাংলাদেশ সহ সারা দুনিয়ার কোটি কোটি ক্রিকেট পাগল ভক্তরাতো বটে, নেলসনের মাঠে সমবেত এই প্রবাসীরাও মন খারাপ করে আক্ষেপ করতে করতে মাঠ ছেড়েছেন। এদের কষ্টটা অনেক বেশি হবার কারন বড় আশা নিয়ে এরা অনেক দূর থেকে খেলা দেখতে নেলসন এসেছিলেন। কেউ অস্ট্রেলিয়া থেকে, কেউবা ক্রাইস্টচার্চ-অকল্যান্ড থেকে। উল্লেখ্য নেলসনে কোন বাংলাদেশি নেই।
কথা ছিল রান ২৮০-৩০০’র মধ্যে হলে জেতা সম্ভব নেলসনের মাঠে। সেখানে বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে বেঁধে ফেলে ২৫১ রানের মধ্যে। কিন্তু এরমধ্যেও শুরুর দিকে গতির রাজা কিউই বোলারদের দেখেশুনে খেলতে হয়েছে। সাউদিকে তুলে মারতে গিয়ে ল্যাথামের ক্যাচ হয়ে যখন ১৬ রানের মাথায় সাজঘরে ফিরে গেলেন তামিম ইকবাল তখন ইমরুল কায়েস এবং সাব্বির আরও দেখেশুনে খেলতে গিয়ে মন্থর হয় রানের চাকা। আস্কিং রানরেট সাড়ে ৫ পেরিয়ে যায়। কিন্তু এরপরও এই জুটিটিই আশা ছড়াচ্ছিল। কিন্তু সাব্বিরের রান আউটটায় বাংলাদেশ যে খেই হারালো, এরপর ৩১ রানের মধ্যে খুইয়ে বসে ৫ উইকেট। ব্যাটসম্যান সাকিব-মাহমুদুল্লাহ যাদের ওপর দায়িত্ব ছিল তারা কেউ দায়িত্ব পালন করতে পারলেন না। এরপর কী আর বাংলাদেশ জেতে?
খেলা শেষের মিডিয়া ব্রিফিং’এ মনভাঙ্গা ক্যাপ্টেন মাশরাফিও বলেছেন এমন সহজ একটি জয়ের সুযোগ কাজে লাগাতে পারলামনা। এখন পরের ম্যাচে জয়ের জন্যে ছেলেদের উদ্ধুদ্ধ করার কাজ শুরু করতে হবে। মাশরাফি যখন এই ব্রিফিং করছিলেন বাইরের অল্পস্বল্প প্রবাসী বাংলাদেশিদের কেউ আর মাঠে নেই। বিজয়ী কিউই দলের খেলোয়াররা মাঠের একপাশে হেঁটে অপেক্ষমান বাচ্চাদের অটোগ্রাফ দিচ্ছিলেন। এই কাজটি বৃহস্পতিবার নেলসনে মাশরাফিদেরই করার কথা ছিল।
Related Articles
Bangladesh-US Dialogue
Ms. Wendy R. Sherman, Under-Secretary for Political Affairs, accompanied by more than ten officials, held a comprehensive partnership dialogue with
আমি আলাদা নই – হতে চাই না – আমি জানি না!
হাইস্কুলে যখন নবম বা দশম শ্রেনীর ছাত্র, প্রায়ই জুনিয়রদের কাছ থেকে একটা প্রশ্ন শুনতাম, ভাইয়া ‘I don’t know’ শব্দগুলোর মানে