ইসলামী রাষ্ট্র: কেউ চায় ভোটে, কেউ চায় অস্ত্র হাতে

ইসলামী রাষ্ট্র: কেউ চায় ভোটে, কেউ চায় অস্ত্র হাতে

আপনি মানেন আর না মানেন প্রকৃত সত্য হচ্ছে; জঙ্গি ইস্যু কিন্তু একটি ইসলাম ধর্মীয় ইস্যু। এটা শুধু বাংলাদেশে না। সারা বিশ্বে। বাংলাদেশের জঙ্গিরা কারো কাছে কোন টাকা পয়সা চায় না। তারা চায় খেলাফত তথা ইসলাম ধর্মীয় একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশের সিংহভাগ রাজনৈতিক দলও তা চায়! প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে।

ইসলামী রাষ্ট্র বা জীবন ব্যবস্থা আওয়ামী লীগ-বিএনপিও চায়। তবে তা শর্ত সাপেক্ষে! শেখ হাসিনা-খালেদা জিয়ার নেতৃত্ব বহাল রেখে তারাও এখানে ইসলামী জীবন ব্যবস্থার অনুসারী অথবা শ্রদ্ধাশীল একটি সমাজ অথবা রাষ্ট্র চায়! এ দুটি দল সর্বক্ষণ কারো কোন কিছুতে ইসলামের ঘাটতি দেখা দিলে তা পরষ্পরের বিরুদ্ধে ইস্যু করে! খুব স্বাভাবিক এ দুটি দল জঙ্গিদের মতো করে পুরোপুরি ইসলামী রাষ্ট্র অথবা জীবন ব্যবস্থা চায় না! কারণ তাতে এ দুটি দলের মূল নেত্রীরা তাদের নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব হারাবেন! ইসলাম ধর্মীয় জঙ্গিদের সঙ্গে এখানেই তাদের স্বার্থটা সাংঘর্ষিক!

সাম্প্রতিক বাংলাদেশে ইসলাম ধর্মীয় জঙ্গি সমস্যাটি ভীতিকর অবস্থায় পৌঁছায় বিশেষ করে গুলশান-শোলাকিয়া হত্যাকাণ্ডের পর এ নিয়ে জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ উঠেছে! জাতীয় ঐক্যের আওয়াজ তুলেছেন খালেদা জিয়া-এরশাদ এবং সর্বশেষ ড. কামাল হোসেন।

আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে! খালেদা জিয়া, এরশাদ বা ড. কামাল যে জাতীয় ঐক্য চান সবাই জানেন এবং তারাও জানেন, এই মুহূর্তে তাদের কোন ফ্লোর নেই! এরমাধ্যমে তারা একটি ফ্লোর চান! আওয়ামী লীগ শুরু থেকে বলে আসছে জামায়াতকে না ছাড়লে বিএনপির সঙ্গে কোন জাতীয় ঐক্য হবে না। আওয়ামী লীগ বিএনপির এই ঐতিহাসিক দুর্বলতা জানে। তারা জামায়াতকে ছাড়বে না বা ছাড়তে পারবে না তাদের সঙ্গে বসাও লাগবে না।

এরমাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সর্বশেষ বিদেশ সফর পরবর্তি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, জাতীয় ঐক্য হয়ে গেছে। বিএনপি এর জবাবে বলেছে, চৌদ্দ দলের ঐক্য মানেই জাতীয় ঐক্য নয়। অর্থাৎ তাদের কাছে জাতীয় ঐক্য মানে জামায়াত-বিএনপিসহ সব দলের ঐক্য। বাংলাদেশের রাজনীতি যারা জানেন তারা জানেন এটি কখনো বাংলাদেশে হবে না। বা এ ধরনের ঐক্য চলমান ইসলামী জঙ্গি সমস্যার কোন সমাধানও নয়।

আমার কাছে বাংলাদেশের জঙ্গি সমস্যাটি বাংলাদেশের জন্মলক্ষ্য তথা মুক্তিযুদ্ধের পথ থেকে বিচ্যুতির কুফল। বাংলাদেশটা কিভাবে চলবে সেটি ঠিক হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধে। বাংলাদেশ ধর্মীয় রাষ্ট্র থাকবে কিনা না ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হবে তা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছিল। ধর্মীয় রাষ্ট্রওয়ালারা মুক্তিযুদ্ধ তথা বাংলাদেশের উত্থানের বিপক্ষে ছিল। আওয়ামী লীগসহ বামপন্থী দলগুলো তখন একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র তথা বাংলাদেশের পক্ষ নেয়। বিপক্ষওয়ালারা পরাজিত হয়। কিন্তু কালের প্রক্রিয়ায় সেই আওয়ামী লীগ আর এই আওয়ামী লীগ এক নয়। বামপন্থীরা একাত্তরের চেয়ে অনেক দুর্বল ক্ষয়িষ্ণু। বাংলাদেশের বিপদে আপদে এদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের ব্যক্তিত্ব-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতেন। এদের বেশিরভাগ আবার আওয়ামী লীগ করেন অথবা আওয়ামী লীগের প্রতি দুর্বল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাতে এরা আর আগের মতো ভূমিকা রাখছেন না বা রাখতে পারছেন না। বাংলাদেশ এখন এমন এক বন্ধ্যা সময়ের সম্মুখিন।

অথচ এই লালন-রবীন্দ্রনাথ-নজরুলের একদার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলায় যার যার ধর্মটা বরাবর মর্যাদার আসনে ছিল। পাকিস্তান দেশটিতে বাঙালি নিজের মতো চলতে পারছিল না বলে এখানে মুক্তিযুদ্ধ হয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের কিছুদিন না যেতেই পথ হারায় বাংলাদেশ! জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যার পর সে ধারার শুরু! অবৈধ ক্ষমতা দখলে রাখতে জিয়া-এরশাদ শয়তানির নিয়তে ধর্মটাকে নানান বিশ্রি কায়দায় রাজনীতিতে টেনে এনেছেন। পাকিস্তানের অভিজ্ঞতায় মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে ধর্মের নামে রাজনৈতিক দল গঠনের পরিবেশ, আইনগত সুযোগ ছিল না। অবৈধ ক্ষমতা দখলকে জায়েজ করতে প্রথমে জিয়া, পরে এরশাদ রাজনীতিতে আবার ধর্মকে টেনে আনেন। মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী নামে আবার একটি রাজনৈতিক দল গঠনের সাহস ছিল না জামায়াতীদের! সেই চিহ্নিত বাংলাদেশ বিরোধীদের আবার ইসলামী ডেমোক্রেটিক লীগ তথা আইডিএল নামে মাঠে নামার সুযোগ করে দেন জিয়া! মাওলানা রহিমের নেতৃত্বাধীন সেই দলটিই পরে জামায়াতে ইসলামী নামে আত্মপ্রকাশ করে।

পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযম দেশে ফিরে আসেন জিয়ার ছত্রছায়ায়! বাংলাদেশ বিরোধী রাজনৈতিক দল মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলামী এসবও মাঠে ফিরে আসে জিয়ার ইন্দনে! সেই নানা খন্ডের মুসলিমলীগ সমূহের কোনটি বিএনপি, কোনটি পরে জাতীয় পার্টির সংগে মিশে যায়। মাওলানা ভাসানীর দল ভাসানী ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান যাদু মিয়াসহ অনেকে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। এরা জায়গা পান জিয়ার কাছে। মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে সুড়সুড়ি দিয়ে একটা জায়গা পাবার ধান্ধায় জিয়া সংবিধানে বিসমিল্লাহ আর এরশাদ ইসলামকে রাষ্ট্র ধর্ম করেন! সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমের দেশে বিষয়গুলো এত স্পর্শকাতর যে পরবর্তীতে কেউ আর এসব জায়গায় হাত দেবার সাহস পায়নি।

এমনকি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট যখন অষ্টম সংশোধনীর হাইকোর্টের বেঞ্চগুলো ঢাকার বাইরে নিয়ে যাবার সিদ্ধান্ত অবৈধ বলে বাতিল করলো তখনো রাষ্ট্র ধর্মের অংশগুলোতে হাত দেবার সাহস করেনি দেশের সর্বোচ্চ আদালত! ২০০৮ সালে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফেরার পর সংবিধানকে মুক্তিযুদ্ধের আসল জায়গায় ফেরত নিয়ে যাবার সুযোগ হয়েছিল শেখ হাসিনার। কিন্তু তিনি তা করেননি অথবা সাহস করেননি!

বাংলাদেশের জন্মের সময় ধর্ম ভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর অপপ্রচার ছিল বাংলাদেশ হলে এখানে ইসলাম ধর্মের চিহ্ন থাকবে না! জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার সময়ও খেলা হয়েছে ধর্ম কার্ড ! এরপর আওয়ামী লীগকে যে একুশ বছর ক্ষমতার বাইরে রাখা হয়েছে বরাবর বলা হয়েছে এদল আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারলে ইসলাম ধর্ম থাকবে না।

মসজিদে উলুধ্বনি হবে! এটি জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়া এবং তাদের দোসরদের বরাবরের প্রচারনার অন্যতম ছিল! এমন সব অপ্রচারের বাইরে গিয়ে দাঁড়াতে, ক্ষমতায় যেতে শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতারা ধার্মিক হবার দিকে মনোযোগ দেন! আওয়ামী লীগের নেতাদের মাথায় উঠে আসে গোলটুপি! চট্টগ্রামের এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, সিলেটের বদরউদ্দিন কামরানসহ অনেকের মাথা থেকে সেই গোলটুপি আর কোনদিন নামেনি! বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর দেশটি ধর্ম নিরপেক্ষ সংবিধানের কথা বললেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সেই দেশটিই তখন লাহোরের ওআইসি সম্মেলনে গিয়ে যোগ দেয়। আর বহুদিন পরে এসে কিতাবে ধর্ম নিরপেক্ষ আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে বলেন, দেশ চলবে মদিনা সনদে! এসবের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ এখন একটি অদ্ভুত জগাখিচুরি সংবিধানের এক দেশ! এর সংবিধানে ধর্ম নিরপেক্ষতার কথা আছে।

আর একই সংগে আছে জিয়ার বিসমিল্লাহ, এরশাদের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলামের অদ্ভূত মিশেল! আজ খালেদা জিয়ার সঙ্গে ইসলাম নামাবলীর যতগুলো দল আছে এর সবকটি বাংলাদেশের জন্মবিরোধী দল অথবা সেগুলোর অপভ্রংশ! এগুলোকে ভাগিয়ে নিতে ওয়ান ইলেভেনের আগে আওয়ামী লীগ শায়খুল হাদিসের সঙ্গে ফতোয়া চুক্তিও করেছিল! বিএনপির সঙ্গে যতগুলো ইসলাম ধর্মীয় দল আছে আওয়ামী লীগ ইসলাম ধর্মীয় যাদেরকে সঙ্গে নিতে চায় তাদের সবারই লক্ষ্য এখানে ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা তথা বাংলাদেশকে একটি ইসলাম ধর্মীয় রাষ্ট্র বানানো! জামায়াত শিবির, হিযবুত তাহরীর, জেএমবি, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম , আইএস, আল কায়েদা সবাইতো তাইই চায়। অথচ এর সবগুলো ইচ্ছাই বাংলাদেশের সংবিধান বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

কেউ ভোটের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র চায়, কেউ অস্ত্র হাতে চায়। আপনি যদি মদিনা সনদ চান সেটিওতো ইসলাম ধর্মীয় একটি রাষ্ট্র অথবা জীবন ব্যবস্থা হবে। কাজেই বাংলাদেশ রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং আওয়ামী লীগকেও আগে লক্ষ্য স্পষ্ট করতে হবে। কী চান আসলে আপনারা? ইসলাম ধর্মীয় একটি রাষ্ট্র না মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গিকার সব ধর্মের সমান অধিকারের ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র? ধর্মীয় রাষ্ট্র চাইলে শুধু বিসমিল্লাহ, রাষ্ট্র ধর্ম না, সব করতে পারবেন । শুধু হিজাব না বোরকাও বাধ্যতামূলক করতে পারবেন। শুধু আপনি শেখ হাসিনা আপনি খালেদা জিয়া কিন্তু নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না। ধর্মীয় রাষ্ট্র না চাইলে সংবিধান থেকে শুধু বিসমিল্লাহ , রাষ্ট্র ধর্ম না এমন অনেক কিছু সোজাসাপটা বাদ দিতে হবে। তখন দেশের সংবিধান বিরোধী এসব জঙ্গি বা তাদের দোসরদের দেখা মাত্র গুলির নির্দেশও দিতে পারবেন।

আর তা না করে রোগের লক্ষণ শনাক্ত না করে কারন দ্যাখে এখন পেরেশান ভাবেন আহা মাসুম বাচ্চাগুলো কী করে হলো বিপদগামী! এভাবে কী ধর্ম হয়? এভাবে না, ওভাবে ধর্ম মানলে পালন করলে বেহেস্তে যাওয়া যাবে! লক্ষ্য ও নিয়ত ঠিক না থাকায় শায়ক আবদুর রহমান, বাংলা ভাই এদেরকে ফাঁসি দেবার পরও কিন্তু এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ উচ্ছেদ-নির্মূল হয়নি।

তখন অনেকে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে ভেবেছিলেন বলেছিলেন হরকাতুল জিহাদ, জেএমবির কোমর ভেংগে দিয়েছি, তারা আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না, ইত্যাদি। সেই ধারনা আজ ভুল প্রমানিত হয়েছে। উল্টো সেই সময়ের চেয়ে অনেক বেশি উর্বর জঙ্গি উপাদান এখন আমাদের চারপাশে। আগে মনে করা হতো জঙ্গি উৎপাদনের কারখানা বুঝি দেশের অনুৎপাদশীল মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থা! সেখানে বিস্তর মোল্লা-মৌলভী তৈরি হয়, তারা কাজ পায় না বলে জঙ্গি হয়! সে ধারনা এখন ভুল প্রমানিত। বুয়েট-প্রাইভেট-পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া জঙ্গিদের দাপটে মাদ্রাসা শিক্ষা থেকে আসা জঙ্গিরা এখন কোনঠাসা! আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেও এখন জঙ্গি হয়! কারণ আচারে রাজনৈতিক চিন্তায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির নেতাদের মধ্যে এখন খুব বেশি পার্থক্য নেই। সবার অর্থনৈতিক কর্মসূচিও মুক্ত বাজার অর্থনীতি। বিএনপি-জাতীয় পার্টির সংবিধানের বিসমিল্লাহ-রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আওয়ামী লীগ মেনে নিয়েছে।

উল্টো ধর্ম নিরপেক্ষতার দাবিদার আওয়ামী লীগ যোগ করেছে মদিনা সনদ, যা বিএনপি-জাতীয় পার্টির নেই! আওয়ামী লীগ-বিএনপির পার্থক্য শুধু বিএনপির সঙ্গে জামায়াত আছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গে নেই! কিন্তু জামায়াত-শিবিরের যে কেউ এখন আওয়ামী লীগে-ছাত্রলীগে যোগ দিতে পারে! আগে এসব চিহ্নিত হলে দলের অনেকে শরমে মরে যেতো! এখন আর সে রকম শরম-প্রতিক্রিয়া কম হয়। কাজেই ইসলাম ধর্মীয় বন্ধু-বান্ধবের ইস্যুতে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মিল মহব্বত-ঐক্য ঠিকই আছে।

কেউ অস্ত্রহাতে কেউ দোয়া-দুরুদ পড়তে পড়তে বেহেস্তে যেতে চান। ধর্মের নামে অস্ত্রহাতে বেহেস্তপন্থীদের যদি ঠেকাতে চান তাহলে স্ট্রেটকাট নীতি বদলাতে হবে। যেতে হবে মুক্তিযুদ্ধের কাছে-মুক্তিযুদ্ধের পথে। যে কথাগুলো বলে যুদ্ধ হয়েছিল, এতগুলো মানুষের জীবন নেয়া হয়েছে, আজকের বাংলাদেশের নীতি সেই মুক্তিযুদ্ধের নীতি-আদর্শের সঙ্গে স্রেফ বেঈমানি। দেশকে বাঁচাতে চাইলে মুক্তিযুদ্ধের পথে ফেরত যাবার ঐক্য করুন। নতুবা ইসলাম ধর্মীয় জঙ্গিদের ঠেকাতে পারবেন না। এ নিয়ে মাঝামাঝি কোন পথ নেই।


Place your ads here!

Related Articles

ডেঙ্গু আক্রান্ত পরিবারগুলোর জন্যে ক্ষতিপূরনের ব্যবস্থা করুন

ফজলুল বারী: মশা মারতে কামান দাগা নিয়ে রসাত্মক একটা উপমা আছে বাংলা সাহিত্যে। এটি এখন সত্য বাস্তব বাংলাদেশে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিকে

পূণ্যভূমি সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি নারীর লাশও আসে

ফজলুল বারী: মুসলমানদের পূণ্যভূমি, আল্লাহর ঘরের দেশ সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশি নারীর লাশও আসে। এ নিয়ে বাংলাদেশের নানা মিডিয়ার খবর

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment