এবার গাজী শুভ্রর প্রতি প্রতারনার অভিযোগ
বিউটি ফুল বাংলাদেশ আইনি লড়াইয়ে যাচ্ছেন মুকুল: এবার গাজী শুভ্রর প্রতি প্রতারনার অভিযোগ
জুয়েল রাজ, যুক্তরাজ্যঃ অনলাইনে বিউটিফুল বাংলাদেশ সার্চ করলে এখন শুধু বিতর্ক আর বিতর্ক। কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বব্যাপী গত অর্ধ যুগে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ যে ব্যান্ড ভেল্যু তৈরী করেছিল গত ১ সপ্তাহে তা ধ্বংস করে দেয়ার দায় দায়িত্ব রেড ডট’কেই নিতে হবে। লন্ডনে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবি করেন বিউটিফুল বাংলাদেশের নির্মাতা হিসাবে এওয়ার্ড প্রাপ্ত মইনুল হোসেন মুকুল।
গ্রে এ্যাডভারটাইজিং কিংবা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কাছ থেকে গাজী শুভ্র’র পরিচালনায় ওয়ার্ক-অর্ডার নিয়ে যদি তা আমাকে দিয়ে বানানো হয় তবেতো এখানে প্রতারক হচ্ছে গাজী শুভ্র। আপনি মাঠে না থেকেতো প্লেয়ার দাবী করতে পারেন না। পরিচালনা এমন একটি বিষয় আপনাকে মাঠে না থেকে এটি দাবী করার কোন সুযোগ নেই।
সম্প্রতি সময়ে বিউটিফুল বাংলাদেশের এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিয়ে বিতর্কের ঝড় বইছে দেশে বিদেশে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রেড ডট ও ডিরেক্টর হিসাবে দাবী করা মইনুল হোসেন কে অস্বীকার করে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করলে দেশে বিদেশে এর আলোচনা সমালোচনার ডালপালা ছড়াতে থাকে।
মুকুল তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি আপনাদের মাধ্যমে একটি কথা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ১০ মিনিট এর আমি কোন স্বত্ব দাবী করিনি। আমি এর প্রযোজক নই, এর প্লট, কনসেপ্ট আমার নয়, প্রোডাকশনও আমার নয়। আমি কখনো এসব দাবীও করিনি। আমি এটির পরিচালক ছিলাম, আমি এর কম বা বেশী কোন কৃতিত্বই আমি নিতে চাই না। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড, আইসিসি, গ্রে এ্যাডভারটাইজিং এবং রেড ডটের টোটাল টীমওয়ার্ক ছাড়া কখনই এমন কাজ করা সম্ভব হতো না। আমি শুধু দাবী করতে পারি ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ ১০ মিনিটের পরিচালকের ভূমিকাটুকু।
বাংলাদেশে সংবাদ সম্মেলন করে রেড ডট এর কর্মকর্তাগণ মইনুল হোসেন মুকুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার যে সব অভিযোগ উত্থাপন করেছেন, তার প্রতিবাদে স্থানীয় সংগঠন বেঙ্গল আর্ট ফোরাম এর পক্ষে গতকাল পূর্বলন্ডনের মন্টিফিউরি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। মঈনুল হোসেন মুকুল সংবাদ সম্মেলনে তাঁর অবস্থান তুলে ধরেন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন গাজী শুভ্র সহ রেড ডটের অনেকেই বহুবার সাড়ে ৩মিনিটের ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার দিয়েছেন কিন্তু কখনই ১০ মিনিটের ফিল্মটি শেয়ার দেননি, এমনকি আজ পর্যন্ত না। গাজী শুভ্র কখনো বলেনওনি যে তিনি ১০ মিনিটের পরিচালক ছিলেন এবং তার শো রিলে ১০ মিনিটের প্রামান্যচিত্রের কোন ক্লিপ ব্যবহার করেননি।
বেশ অনেক পরে রেড ডট এর পরিচালক জিয়াউল পাইকার জুয়েল ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’ এর পরিচালক হিসেবে আমাকে এপ্রিসিয়েশন লেটার দিলেন। জুয়েলের সাক্ষরসহ মূল কপিটি বর্তমানে আমার কাছে রয়েছে।যা তিনি উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখান।
তিনি বলেন এখানে আমার এ্যাওয়ার্ড ক্লেইম করার কিছু নেই। আমার ফিল্মটি যদি এ্যাওয়ার্ড পায় তবে আমি সেই গৌরবের অংশিদার হতে পারি। বলতে পারি যে ফিল্মটি এ্যাওয়ার্ড পেয়েছে আমি সেই ফিল্মটির ডাইরেক্টর ছিলাম। আর যদি সাড়ে ৩মিনিটের ফিল্মটিও পায় তবেও আমি গর্বিত, কারন আমিতো সেটিরও সহযাত্রী ছিলাম।
মুকুল উপস্থিত সাংবাদিকদের রেড ডটের এপ্রিসিয়েশন লেটার, মূল চরিত্র ভিকি কার্টারের বক্তব্য, পার্শ্ব চরিত্র আদিবাসী গাইডের বক্তব্য, প্রোডাকশনের ছবি, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সরবরাহকৃত ডিভিডির ক্রেডিট লাইন
রেড ডটের এপ্রিসিয়েশন লেটার তিন ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন এ নিয়ে। রেড ডট থেকে দেয়া চিঠিটিকে কখনো বলা হচ্ছে বানানো, কখনো বলা হচ্ছে ফটোশপ আবার কখনো বলা হচ্ছে এটা আমাকে অস্ট্রেলিয়া যাবার জন্য দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় আপনারা সকলেই বুঝতে পারছেন এটা কত হাস্যকর যুক্তি যে, আমি ইউকে থেকে অস্ট্রেলিয়া যেতে চাইলে বাংলাদেশের রেড ডট নামক একটি প্রতিষ্ঠানের চিঠি আমাকে সাহায্য করবে। আমি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি এই চিঠির যে কোন ফরেনসিক, ডিএনএ পরীক্ষার জন্য। সুট্যিং কালীন সময়ের ষ্টিল ছবি দেখানোরও দাবী জানান।
বাংলাদেশে সফল বিশ্বকাপ আয়োজনের পর বিসিবি’র সৌজন্য ‘বিউটিফুল বাংলাদেশে’ এবং ওপেনিং সিরিমনির বেশ কিছু ডিভিডি কপি লন্ডনে আসে, যে ডিভিডিগুলো ২০১১ সালের ৩ অগাস্ট বার্ণ করা হয়েছে। ইউকে‘র অনেক ক্রীড়ামোদীদের কাছে সেই ডিভিডি আজো সংগ্রহে আছে। তাতে দুটি ‘বিউটিফুল বাংলাদেশে’র ক্রেডিটলাইন সহ রয়েছে, সাড়ে ৩মিনিটের কমর্সিয়ালে গাজী শুভ্র‘র নাম এবং ১০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্রে আমার নাম স্পষ্ট করে ডিরেক্টর হিসেবে লেখা রয়েছে। এটি রেড ডট এবং গ্রে থেকে সরবরাহ করা হয়েছে।
ইতিহাসে অনেক অর্জনকে আমরা প্রশ্নবিদ্ধ করেছি, শহীদ মিনার, জাতীয় পতাকা ডিজাইন, স্বাধীনতার ঘোষনা থেকে হিমালয় বিজয় কোনটাকেই আমরা ছাড় দিইনি। সর্বশেষ বিউটিফুল বাংলাদেশ।
এ ধরনের আন্তর্জাতিক এ্যাওয়ার্ড কেউ ভুল তথ্য দিয়ে নিতে পারেনা। চাইলে উনারা চেষ্টা করে দেখতে পারেন।বাংলাদেশের বয়স আর আমাদের বয়স প্রায় একই। অন্তত এ বয়সে আমাদের পরিণত আচরন করা উচিত। আমরা যাতে যার যার যোগ্য সম্মান দিতে পারি।
আশাকরি আমার বক্তব্যে সকলের ভুল ধারনা ভেঙ্গে যাবে। উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুকুল জানান এস এ টিভির ৩২ কোটি টাকা মেরে যদি আমি চলেই আসি তাহলে বাংলাদেশি আইডল অনুষ্ঠান অনইয়ারে গেল কিভাবে। এইভাবে মিথ্যাচার করে সম্মানহানির জন্য খুব শীঘ্রই আইনী ব্যবস্থা নেয়ার কথা ও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বিউটিফুল বাংলাদেশ ‘স্কুল অব লাইফ’ ১০ মিনিটের তথ্যচিত্রের পরিচালনা নিয়ে প্রতরাণার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগটি এনেছেন জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস। সম্প্রতি বিউটিফুল বাংলাদেশ ‘স্কুল অব লাইফ’ ১০ মিনিটের তথ্যচিত্রের পরিচালক হিসেবে পোল্যান্ড ট্যুরিজম ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন মইনুল হোসেন মুকুল। সংবাদ সম্মেলনে তার ওই পুরস্কার গ্রহণকে প্রতারণার সামিল হিসেবে আখ্যায়িত করেন জেমস। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে রেড ডট আয়োজিত ‘মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ – বিষয়: তথ্যচিত্র বিউটিফুল বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওই সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, মূলত এ তথ্যচিত্রের পরিচালক ছিলেন গাজী নুরুদ্দিন আহমেদ শুভ্র। কিন্তু মুকুল প্রতারণা করে এই পুরস্কারটি নিজের করে নিয়েছেন। জেমস বলেন, ‘২০১১ সালে বাংলাদেশে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের সময় বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড আইসিসির লোকাল পার্টনার ছিল। তখন বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে জন্য আইসিসি ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কয়েকটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে। এই প্রামাণ্যচিত্রগুলোই হচ্ছে ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’।
Related Articles
News from Boston
বোস্টন বাংলা নিউজ সহযোগী সম্পাদক বিশ্বজিত সাহার পিতৃ বিয়োগ সুহাস বড়ুয়া: বিবিএন/বাপস নিউজ অনলাইন পত্রিকা বোস্টন বাংলা নিউজ (www.bostonbanglanews.com) এর
Bribie Island
শান্ত-সুন্দর ব্রাইবি, (Bribie Island)……:) আগেই বলেছি একটু অবসর মিললোতো আমি দে ছুট !! পাখীর মত ডানা মেলে উড়ে বেড়াই যাই
Dr Muhammad Yunus
ড. মোহাম্মদ ইঊনুস: প্লিজ প্রকৃত শান্তির প্রতীক হবেন কি? বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকবার ড. মোহাম্মদ ইঊনুসকে ইঙ্গিত করে “রক্তচোষা” বলেছেন