তালপট্টি কাহিনী

তালপট্টি কাহিনী

সমুদ্র জয়ের ঘটনা না ঘটলে দক্ষিণ তালপট্টি কাহিনী অথবা কেলেংকারি এভাবে খোলাসা করে জানা যেতোনা! বঙ্গোপসাগরের ভারত-বাংলাদেশের বিরোধপূর্ণ এলাকায় জেগে উঠেছিল দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ! জিয়ার আমলে তালপট্টি দ্বীপ ভারত দখল করে নিয়েছে খবর পেয়ে জিয়া নৌবাহিনীর একটি দলকে ওই এলাকায় পাঠান! তাদের সঙ্গে ছিল ১৩০ টন ওজনের একটি জাহাজ! কিন্তু ওই দলটি দূর থেকে দেখে ভারতীয় নৌবাহিনী ১২০০ টনের বেশি চারটি জাহাজ নিয়ে অবস্থান নিয়েছে দ্বীপটির চারপাশে! অসম অবস্থা দেখে নৌবাহিনীর দলটি চুপচাপ মান সম্মান নিয়ে এল…াকাটি থেকে ফিরে আসে। এরপর থেকে তালপট্টি হয় বক্তৃতার একটি স্থায়ী মসল্লা! কিন্তু সেটি উদ্ধারে যুদ্ধ অথবা আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা, এর কোনটিরই উদ্যোগ কোন দিন কেউ নেয়নি!

এরপর ১৯৮৫ সালে উড়িরচরের ঘূর্নিঝড়-জলোচ্ছাসের সময় প্রাকৃতিক নিয়মে সাগরে তলিয়ে যায় তালপট্টি দ্বীপ! কিন্তু সেটি টিকে থাকে ভারত বিরোধী রাজনীতির বক্তৃতায়! বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত-শফিউল আলম প্রধানরা প্রতিটি নির্বাচনের আগে তালপট্টি ইস্যুতে গরম বক্তৃতা দিয়েছে! অথচ কোন দিন বলেনি যে দ্বীপটি আর ইহজগতে নেই! ১৯৯১ সাল থেকে বিএনপি মাঝের ৫ বছর বাদে দুই টার্মে ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু এত বক্তৃতা স্বত্ত্বেও ভারতের সঙ্গে কোন আলোচনায় তারা কোন দিন তোলেনি তালপট্টি প্রসঙ্গ!

সমুদ্র বিরোধ নিয়ে মামলা করতে গিয়ে বাংলাদেশ কিন্তু তালপট্টির বিষয়টিও মুখস্ত লিখেছিল! আন্তর্জাতিক আদালতের বিচারকরা তালপট্টির সন্ধানে জাহাজে করে চষে বেড়িয়েছেন পুরো এলাকা! কিন্তু তারা তালপট্টি দ্বীপের কোন অস্তিত্ব খুঁজে পাননি! কিন্তু সাগর রায়ের পর আবার উঠেছে তালপট্টি প্রসঙ্গ! বিএনপি অভিযোগ করে বলেছে বাংলাদেশ তালপট্টি সহ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দিয়ে এসেছে ভারতকে! কিন্তু সাগরের পুরো এলাকাটি বাংলাদশের দখলে নিতে মামলা বা কোন উদ্যোগ কেন তারা কোন দিন কেন নেয়নি, কোমরে ব্যাথা করেছে কীনা এসব কিন্তু তারা কোন দিন বলেনি!

এখন আদালতের রায়ে ১৯ হাজার ৪ শ ৬৭ বর্গ কি:মি: পেয়ে আরেক ঝামেলায় যেন পড়েছে দেশ! এখন বাংলাদেশের কাছে যে সব জাহাজ সহ নানান নৌযান আছে এগুলো নিয়ে তারা বঙ্গোপসাগরের ৫০ কি:মি পর্যন্ত নজরদারিতে অথবা মাছ ধরতে যেতে পারে! কিন্তু এখন যে এত বিশাল এলাকা পাহারা দিতে হবে, এত সামর্থ্য কোথায় বাংলাদেশের? সামর্থ্য সৃষ্টিতে যে সব কেনাকাটা লাগবে তার বাজেট বরাদ্দ অথবা টাকাকড়ি কে দেবে? না টেন্ডার সহ নানাকিছুর নতুন রূট হয়ে যাবে বঙ্গোপ সাগর

একই সঙ্গে বিএনপি অব্যাহত রাখতে পারে তাদের তালপট্টি ইস্যুর বক্তৃতা! বলতে পারে যদি কোন দিন তালপট্টি জেগে ওঠে আবার! পৃথিবী উত্তপ্ত হচ্ছে বলে এন্টার্কটিকার বরফ গলছে বেশি! বলা হচ্ছে একদিন ডুবে যেতে পারে মালদ্বীপের মতো দেশও! তেমন ঘটনা ঘটলে পানির নিচে মালদ্বীপের মন্ত্রি পরিষদের বৈঠক করার মহড়াও হয়েছে! বাংলাদেশের বিএনপি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে কী এমন একটি মহড়ার ব্যবস্থা করতে পারে বঙ্গোপসাগরের কথিত তালপট্টি এলাকায়? অন্তত সে এলাকায় অন্তত স্থায়ী কমিটির একটি বৈঠকের আয়োজনের পাবলিক তখন ভাববে আসলেই সিরিয়াস একটা দল বিএনপি, নইলে ভাববে ফালতু।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment