একি দেউলিয়ার রাজনীতি , নাকি রাজনীতির দেউলিয়াত্ব

একি দেউলিয়ার রাজনীতি , নাকি রাজনীতির দেউলিয়াত্ব

১.

মিথ্যের , চাপাবাজির কিংবা তেলমারার ও একটি নির্দিষ্ট সীমারেখা ও গ্রামার থাকা উচিত কিংবা দরকার রয়েছে । কিন্তু বি ,এন, পির নেতানেত্রী এবং দেশের তথাকথিত কতিপয় বুদ্ধিজীবিদের ইদানীংকালের একটি বিশেষ ব্যাপারে বক্তৃতা – বিবৃতি ও লেখালেখি দেখে দেশের মানুষ যারপর নাই খুশী , এমনই খুশী যে , মানুষ মুখ টিপে টিপে শুধু হাসে । বিষয়টি হোল – বাংলার নতুন নবরাজের হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পুনরুদ্ধার প্রকল্পের কসরত দেখে । না নামটি কারোর অজানা নয় , জিয়া তনয় তারেক জিয়া সম্পর্কিত ।

মানুষ মরে গেলে কিংবা তার কর্মের বিশেষ অবদানের জন্যে – মানুষ তাকে সমরণে রাখবার জন্যে ; তার জন্যে মনুমেন্ট তৈরী করে , সভা সেমিনার করে , বই লিখে চেষ্টা করে তার কর্মফলকে চির জাগরুপ রাখতে যা থেকে ভবিষৎ প্রজন্ম শিক্ষা নিয়ে নিজেকে , নিজেদেরকে আরো বেশী করে সমৃদ্ধ করতে পারে । কিন্তু কতিপয় রাজনৈতিক নেতানেত্রী ও তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা , ঐ ব্যক্তির ৪০বৎসরের আয়ুষ্কালের মধ্যে এমন কি খুঁজে পেল যে , যার জন্যে বই লিখতে হবে এবং তাও আবার কতিপয় তথাকথিত বুদ্ধিজীবিরা ঘটা করে সেই বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের আয়োজন করতে হবে । বুঝি না , আমাদের মত আমজনতার দল এই জগতে কত কিছু আছে , যা বুঝতে পারি না কিংবা বুঝবার ক্ষমতা রাখি না ।

জিয়া , খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক জিয়া যার নামে আওয়ামী লীগ নয় , গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রুজু করা ১২টি মামলা এখন ও অমীমাংসিত পর্যায়ে । আর্ন্তজাতিক মুরুব্বীদের লবিংয়ের ফলে যাকে আইনের হাত থেকে বাঁচাবার জন্যে দেশের বাহিরে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে । সেই তারেক জিয়া হাওয়া ভবনের কর্ণধার । যেই হাওয়া ভবন জাতির সামনে সন্ত্রাস , লুটপাট , দূর্ণীতি ও অবৈধ ক্ষমতার আকড় হিসেবে আকাশের শুকতারা ও সন্ধ্যাতারার মত এখন ও জ্বজল্যেমান । সেই জাতিয় লোকদের লক্ষ্যে বই রচিত হয় , সভা – সেমিনার , মিছিল মিটিঁং হয় , সত্যিই সেলুকাস বড় বিচিত্র এই দেশ —–।

তারেক জিয়ার আদর্শ ও রাজনৈতিক কৃতিত্বের কথা বলা হয় । কিন্তু তারেক জিয়ার কি এমন আদর্শ ছিল যা জাতি এতদিন জানতে পারল না , কিংবা কি এমন রাজনৈতিক কৃতিত্ব ছিল যার জন্যে এখন বই লিখবার প্রয়োজনীতা উপলব্ধি হোল এই জাতির । বরজ্ঞ তারেক জিয়ার আদর্শ বলতে ত জাতি বুঝে – লুটপাট , চরম দূর্ণীতি , ক্ষমতার অপব্যবহার ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্যে পরিণত হতে যাওয়া একটি জনপদ , ধর্মের লেবাসধারী চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদেরকে নবরুপে পুর্ণবাসনের জন্যে বি এন পি ও জামাত একই মায়ের পেটের সন্তান জাতিয় ব্রান্ড রাজনৈতিক নব আদর্শ প্রতিষ্টার সেই কি প্রায়ান্ত প্রয়াস ।

অন্যদিকে রাজনৈতিক কৃতিত্ব বলতে আমরা বুঝি – হাওয়া ভবন প্রতিষ্টা করে কিভাবে দেশের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে ছিনিমিনি খেলা যায় , কিভাবে মামুন ,বাবর জাতিয় ঘড়ি সমাগলারদের দিয়ে লুটপাট ও খুন খারাপি করা যায় । কিভাবে একের পর এক রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েলের নামে নৃশংসভাবে হত্যা করা যায় , যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল আহসান উল্লাহ মাষ্টার , কিবরিয়া সাহেবদের মত বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের । রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে চিরতরে শেষ করে দেবার জন্যে ২১শে আগষ্টের গ্রেনেড হামলার মাষ্টার মাইন্ড ছিলেন এই তারেক জিয়া । তারেক জিয়ার রাজনৈতিক কৃতিত্ব বলতে আমরা বুঝি – কি কুৎসিতভাবে বি চৌধুরীকে রাষ্ট্রপতি পদ থেকে হটানো হয়েছিল ; এখানেই নাটকের শেষ নয়- বি চৌধূরিকে গুন্ডা লেলিয়ে রেল লাইন ধরে সেই দৌঁড়ানোর দৃশ্য এখন ও জাতির চোখে ভাসে । এরশাদ সাহেবকে নিয়ে ইঁদুর – বেড়াল খেলা এই তারেক জিয়ারা কম খেলেননি ।এরকম আরো ডজনখানেক রাজনৈতিক কৃতিত্ব প্রকাশ করা যাবে , কিন্তু করলাম না , কারন এসব প্রকাশ আমাদের রুচিতে বাঁেধ । এসব কৃতিত্বের ফলে যদি বাহাবা পাওয়া যায় , বই ও লেখা হয় তাহলে এসব কাজ করতে খারাপ কি ! ধন্যবাদ ঐসকল বুদ্ধিজীবি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের তাদের এই জাতিয় তারেক প্রশংসামূলক কর্মকান্ডের জন্যে , আপনারা যুগ যুগ বেঁচে থাকুন আর এভাবে জাতির অনিষ্ট করে যান ।

বি এন পি কথায় কথায় জাতিকে জিয়ার আদর্শের কথা শুনায় , কিন্তু আমাদের এ প্রজন্মের প্রশ্ন হোল জিয়াউর রহমানের এমন কি আদর্শ ছিল ? যা জাতিকে অনুসরণ করতে হবে । জিয়ার আদর্শ বলতে ত আমরা বুঝি – কিভাবে অবৈধ উপায়ে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা যায় , ক্ষমতার হালুয়া রুটি ছিটিয়ে দল গঠন করে সেই দল দিয়ে দেশের মানুষকে গণতন্ত্রের লেসন শেখানো যায় । দেশের জাতির জনকের হত্যাকারীদের বিচার না করে আইনী প্রটেকশন দেয়া যায় এবং স্বীকৃত খুনীদেরকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা দিয়ে কিভাবে পুর্ণবাসন করা যায় । কিভাবে নিজের অবৈধ ক্ষমতাকে নিরংকুশ করার জন্যে দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শত শত অফিসার জওয়ানদের অন্যায় বিচারে হত্যা করা যায় । জিয়ার আদর্শ বলতে জাতি বুঝে -গণতন্ত্রের নামে দেশের স্বাধীনতার শত্রুদেরকে রাজনৈতিকভাবে পুর্ণবাসনের ইতিহাস । সুুপ্রীম কোর্টের পঞ্চম সংশোধনী সৎক্রান্ত রায়ের পর এবার সময় এসেছে জিয়ার আদর্শ নামক স্থানটিতে কালো কাগজ লাগিয়া দেয়ার , যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আদর্শের নামে কেউ বিভ্রান্তির খেলায় ফেলতে না পারে ।

এদেশের রাজনীতির ক্ষতি রাজনীতিবিদরা যতটুকুন না করেছেন , তার চেয়ে অনেক বেশী করেছেন তথাকথিত কতিপয় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিজাতিয় ইতরগণ । সেটা করেছেন সত্যের পক্ষে না দাঁড়িয়ে নিজেদের আখেড় গুছানোর জন্যে জাতিকে বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করে । রাজনীতিবিদরা অবৈধ হালুয়া রুটি কিছুটা হলে ও তাদের সাঙ্গপাঙ্গদের দেন , কিন্তু এই জাতিয় শিক্ষিত ইতররা পুরোটাই খেয়ে সাবাড় করে ফেলেন । দেশের তথাকথিত শিক্ষিত বুদ্ধিজীবিদেরকে তিনটি শ্রেণীতে ফেলা যায় – একটা শ্রেণী হলেন জঘন্য গ্রুপের অর্ন্তভূক্ত ইয়াজউদ্দিন , এমাজউদ্দিনরা হলেন এজাতিয় শ্রেণীর , দ্বিতীয় শ্রেণীটি হলেন সুুবিধাবাদী গ্রুপের পর্যায়ভূক্ত মোজাফফর আহমদ দেবপ্রিয় ভট্রাচার্য্যরা হলেন এই শ্রেণীর , অন্য শ্রেণীটি হলেন প্রকৃত বুদ্ধিজিবী গ্রুপের পর্যায়ভূক্ত সরদার ফজলুল করিমরা হলেন এই শ্রেণীর আওতাভূক্ত । এবার জাতি বুঝুন কাদেরকে বিশ্বাস করা যায় , কাদেরকে করা উচিত নয় । সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত হলেই বেহুশ হবার কোন কারন নেই । নিজের বিবেক , বুদ্ধি দিয়ে বিচার করুন , তারপর সিদ্ধান্তে পৌঁছুন ।

২.

আওয়ামী লীগের ৬১ বৎসরের ইতিহাস হোল , জনগণের অধিকার প্রতিষ্টার জন্যে , মাটি থেকে উঠে আসা একটি রাজনৈতিক দলের ইতিহাস । যেখানে ভন্ডামী কিংবা ছলছাতুরী নয় , আছে শুধু জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্টার লক্ষ্যে নিরন্তর প্রয়াস । রাজনীতি থেকে যেখানে রাজনীতিবিদ হওয়া যায় , তার নাম হোল আওয়ামী লীগ । অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ যারা করে না এবং প্রশ্রয় দেয় না , তাদের নাম হোল আওয়ামী লীগ । এ দলের নেতা হতে হলে রাজনীতির ধারাপাত থেকে শুরু করতে হবে , তারপর পর্যায়ক্রমে নিজের যোগ্যতা দিয়ে স্থান করে নিতে হবে । যেখানে আত্মীয়তা কিংবা স্বজনপ্রীতির কোন স্থান নেই কিংবা হওয়া উচিত ও নয় । শেখ হাসিনার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় আওয়ামী লীগের সদস্য পদ নিয়েছেন , ধন্যবাদ ওনাকে রাজনীতিতে অংশগ্রহনের জন্যে । তবে কথা হোল এটা বিএনপি জাতিয় কোন কারখানা নয় , জয়কে তার যোগ্যতা দিয়ে দলে স্থান করে নিতে হবে ; অন্যথায় আমাদের কিছু করবার নেই । জাতির জনকের দৌহিত্র ও প্রধান মন্ত্রীর ছেলে হিসেবে ওনি আমাদের ভালবাসা পেতে পারেন কিন্তু পক্ষপাতীত্ব নয় ওনাকে উঠে আসতে হবে ওনার নিজের পায়ের উপর ভর করে । অন্য কোনভাবে নয়, এবং সেটা সম্ভব ও নয় । আওয়ামী লীগে যদি এ জাতিয় কোন শিক্ষিত বুদ্ধিজীবী থেকে থাকেন , যাদের উদ্দেশ্য প্রশংসায় প্রশংসায় জয়কে ভরিয়ে দেবেন কিংবা ওনার নামে বই লিখে ফেলবেন । এই জাতিয় লোকজন ও যদি দলে পাওয়া যায় , তাহলে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের উচিত হবে ওনাদেরকে দল থেকে বের করে দেয়া । চামচামি কিংবা তেলমারার জায়গা আওয়ামী লীগে নেই । গঠনমূলক আলোচনা – সমালোচনা সর্বদাই স্বাগতম ।

সরকারের গত একবৎসরের কর্মকান্ড সত্যিই প্রশংসা পাওয়ারযোগ্য । বিস্তারিতে যাব না , শুধু দু-একটি বিষয়ে আলোকপাত না করলে নিজেই নিজের কাছে ছোট হয়ে যাই । কৃষিক্ষেত্রে মতিয়া চৌধূরীর সাফল্য সত্যিই তাক লাগানোর মত , ওনার সর্বশেষ কর্মকান্ড কৃষকদেরকে কৃষি কার্ড প্রদান বাংলায় খুব শীঘ্রই সোনালী বিপ্লব গঠবে । শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ সাহেবের শিক্ষা নিয়ে সমস্ত কর্মকান্ড জাতিকে ২০২১ ভিশন বাস্তবায়নে সত্যিই সাফল্য দবে । অর্থমন্ত্রীর ডায়নামিক নেতৃত্ব জাতিকে ২০১৭ য়ের মধ্যেই মধ্যমসারীর দেশে পরিণত করবে । এক বৎসর কোন সরকারের সমালোচনা কিংবা মূল্যায়নের সময় হতে পারে না । কিন্তু দিনবদলের সরকার শুরুতেই আমাদেরকে যা খেলা দেখাচ্ছেন তাতে আমরা আশান্বিত । ইংরেজীতে একটি কথা আছে মনিং সোজ দা ডে । সত্যিই ভোর দেখলেই বুঝা যায় দিনটা কেমন যাবে । মনে হচ্ছে সরকারের গাড়ী সবেমাত্র পাকা রাজপদে নামল , এবার শুধু গতিবাড়ানোর পালা ৪০ থেকে ৬০ , ৬০থেকে ৮০, ৮০ থেকে ১০০ । যাবে গাড়ী — ,গন্তব্য : ভিশন ২০২১ , ডিজিটাল বাংলাদেশ । সেই প্রত্যাশায় ———আমরা সকলে ।

৩.

ইদানীংকালে দেখা যাচ্ছে যে , কথায় কথায় মওদুদ আহমেদ ও সাকা চৌরা জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ ও ফখরুদ্দিন আদমেদ সাহেবের প্রতিদিন মুন্ডুপাত করছেন , কিন্তু প্রশ্ন হোল কেন ? আমরা পরিষ্কার ভাষায় জানাতে চাই যে , মঈন ইউ আহমেদ , ফখরুদ্দিন আদমেদ এবং গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে জড়িত সকল হর্তাকর্তারা কিন্তু আওয়ামী লীগ ঘরানার কেউ নন , এবং জীবনে ছিলেন ও না । ওনারা সকলেই ছিলেন কমবেশী বি এন পির আর্শীবাদপুষ্ট । নাটক ওনারা গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কম করেননি । বরজ্ঞ ওনারা যেভাবে আওয়ামী লীগের উপর ষ্টীম রোলার চালিয়েছেন , তা পাকিরা ও করতে সাহস করে নাই । কিন্তু বিএনপিপুষ্ট ঐসকল লোকেরা করেছিলেন । কিন্তু দেশের বৃহত্তর স্বার্থের দিকে তাকিয়ে আমরা ঐসব ক্ষমার চোখে দেখেছি বলা যায় ঐটা আমাদের উদারতা । কিন্তু দুর্বলতা ভাবলে , ওনারা মস্ত বড় ভূল করবেন । কারন আর যাই হউক , ওনাদের হাতে জিয়ার মত রক্তের দাগ ছিল না , যা ওনাদের মার্জনা পাবার অন্যতম কারন ছিল , অন্য কিছু নয় ।

নির্বাচনে চুরি করতে না পেরে , ভোট জালিয়াতি করতে না পেরে , জনগনের হাতে রাম ধোলাই খেয়ে ওনাদের মাথা এমনই খারাপ হয়ে গেছে যে , কখন কি বলবেন , কি করবেন হুশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে । তাই ওনারা ক্ষনে ক্ষণে ওকে ধরছেন ত ওকে ছাড়ছেন । একবার ধরছেন ইয়াজউদ্দিন আহমেদকে , আবার পরক্ষণেই ধরছেন মঈন ইউ আহমেদ কে , ক্ষনে বা ফখরুদ্দিন আহমেদকে ।কিন্তু ওনাদের চরিত্র হোল ওনাদের স্বার্থে কেউ চুরি , খুন খারাপি করলে সে ভাল মানুষ , ওনাদের সবার্থের বাইরে গেলে ওনাদের যত কাছের লোকই হউক , তার গলা কাটতে ওনাদের বিন্দুমাত্র বাধবে না । এই হোল বি এন পির চরিত্র । যেই ইয়াজুদ্দিন আহমেদ জাতীয়তাবাদীর ওয়াজ করতে করতে জীবন -যৌবন ক্ষয় করে দিলেন , ওনার নাকি এখন বিচার করতে হবে । হায়রে বি এন পি , হায়রে তোর রাজনীতি ।

আমরা একথা বলতে পারি যে , মঈন ইউ আহমেদের নয় ; জাতি খুব শীঘ্রই মওদুদ আহমেদ , সাকা চৌদের বিচার করবে তাদের নষ্টামীর জন্যে , সেই দিন আর বেশী দূরে নয় । তার চেয়ে বরং আমরা একথা বলতে পারি যে , জাতির ক্রান্তিলগ্নে জেনারেল মঈন যেভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শেষ সময়টাতে নিজের সাহস ও দৃঢতা দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনের ব্যাপারে সর্বাত্মক সাহায্য করেছিলেন এবং সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষ রেখে সকলের সাথে মিলে নির্বাচনকে সম্পূর্ণ করে দেশের গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখবার প্রয়াস নিেেয়ছিলেন , সেজন্যে ওনি বাংলাদেশের ৩৯ বৎসরের ইতিহাসে অনন্য সাধারন হয়ে থাকেন । ঐ সময়ে ওনার ঐ ভূমিকার জন্যে জাতি কৃতঞ্চচিত্তে মঈন ইউ আহমেদকে সমরণ করবে ।

পরিশেষে , আমার পাঠক সকলকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি , ওনাদের মূল্যবান সময় নষ্ট করে লেখাটি পড়বার জন্যে । সকলে ভাল থাকুন , সুুস্থ্য থাকুন , এ কামনায় ——— ।

আরশাদ হোসেন ভূঁইয়া ।

এডেলেইড , অষ্ট্রেলিয়া —

১২ই মার্চ ২০১০

লেখক পরিচিতি : ডিপ্লোমা এন্ড এডভান্সড ডিপ্লোমা অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট (ক্যানবেরা ইনস্‌টিটিউট অফ টেকনোলজি ) , ব্যাচেলার অফ হোটেল ম্যানেজম্যান্ট ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,গ্র্যাজুয়েট সার্টিফিকেট অফ ইংলিশ ফর প্রফেশনাল পারপাজেজ ( ইউনির্ভিিসটি অফ ক্যানবেরা ) ,কোয়ালিটি ম্যানেজম্যান্ট অন সাপোর্টিং ইনডাসট্রিজ ( পি , এস , বি সিংগাপুর ) , বিএস এস অনার্স , এম এস এস রাষট্রবিঞ্চান (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ) । লেখক ক্যানবেরা ইনস্‌টিটিউট অফ টেকনোলজির ষ্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের ২০০১ /০২ দুই ,দুইবার নির্বাচিত প্রতিনিধি ।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment