নতুন প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হলো সার্ক সম্মেলন: ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে

নতুন প্রত্যাশা নিয়ে শেষ হলো সার্ক সম্মেলন: ওয়াসিম খান পলাশ প্যারিস থেকে

দুদিন ব্যাপি ১৫ তম সার্ক সম্মেলন শেষ হলো শ্রীলংকার রাজধানী কলম্বোতে। দক্ষিন এশিয়ার আটটি দেশ এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছে। এছাড়া সার্কের পর্যবেক্ষক ইরান, চীন, জাপান, দক্ষিন কোরিয়া, মরিসাস ও ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের উপ সহকারি পররাষ্ট্র মন্ত্রী রিচার্ড বাউচার ও নিজ দেশের বাণী পৌছে দেন। প্রায় তিন ঘন্টা স্থায়ী উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটি ছিল বণাঢ্য ও জাকজমকপূর্ন। এবারের সম্মেলনে সার্কের সরকার প্রধানেরা এক যোগে এ অঞ্চলকে ক্ষুধা ও দ্রারিদ্র মুক্ত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধশালী অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত ও সন্ত্রাস দমনে এক সংগে কাজ করার আহবান জানিয়েছেন। সমাপনী দিবসে খাদ্য সংকট মোকাবিলা, সন্ত্রাস দমন এবং বানিজ্য ও বিনিয়োগে সহযোগিতা করতে এক সংগে কাজ করার আহবান জানিয়েছে। আন্ত- আঞ্চলিক বানিজ্য বাড়াতে বহুমুখী যোগাযোগ ও ট্রানজিট সুবিধা এবং খাদ্য ও জ্বালানি নিশ্চিত করার উপর সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ৪১ দফা কলম্বো ঘোষনা দেয়া হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে চারটি সহযোগিতা চুক্তি অনুমোদন করা হয়। এগুলো হচ্ছে, অপরাধী- সন্ত্রাসীদের বিষয়ে তথ্য বিনিময়, আইনগত সহয়তা প্রদান, আইন উন্নয়ন তহবিলের সনদ অনুমোদন, দক্ষিন এশীয়মান পরীক্ষার ল্যাবরেটরী প্রতিষ্ঠা এবং সাফটার আওতায় আফগানিস্তানকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে অন্তুভূক্তি।

সার্ক নেতারা বলেন, সন্ত্রাস এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন ব্যাহত করছে। সার্ক দেশগুলোকে একযোগে কঠোর হাতে সন্ত্রাস মোকাবিলা করে এ অঞ্চলকে শান্তি, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে। এছাড়া দারিদ্র বিমোচন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা, ব্যাবসা বানিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান বাধা অপসারন এবং জালানি সমস্যা নিশ্চিত করার জন্য জোর দেন।

প্রায় দেড়শ কোটি জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই অঞ্চলের জনগন দ্রারিদ্র সীমার নীচে বসবাস করছে। একটি অভিন্ন কর্মপন্থা নিয়ে সবাইকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত বলে সবাই মনে করেন। এছাড়া এ অঞ্চলের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় সমন্বিত কর্মসুচী প্রনয়ন ও বাস্তবায়ন করা দরকার বলে তারা মনে করেন।

বিশ্ব ব্যাপি খাদ্য দ্রব্যের মূল্য স্ফীতি প্রসঙ্গে বলেন, এর নেতিবাচক প্রভাবে এ অঞ্চলের মানুষ মারাত্মক খাদ্যাভাবের শিকার। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে প্রত্যাশিত খাদ্য উতপাদন বিঘ্নিত হচ্ছে।

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড ফকরুদ্দিন আহমেদ দক্ষিন এশিয়াকে আরও শান্তিপুর্ন , সমৃদ্ধি ও অগ্রসর অঞ্চল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সার্কের এই সম্মেলনকে একটি টার্নিং পয়েন্ট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পিছিয়ে পড়া চলবে না। স্বপ্ন ও দর্শন নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি বলেন দক্ষিন এশিয়ার মানুষের কল্যান ও বৃহত্তর অগ্রগতি সাধন করতে সার্কের জন্য একটি রোড ম্যাপ প্রনয়ন করা আমাদের দায়িত্ব। এ জন্য রাজনৈতিক স্বদিচ্ছা ও অঙ্গীকার প্রয়োজন। বাংলাদেশ এজন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞবদ্ধ। এছাড়াও তারা নিজেদের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা করেন।

প্যারিস – ০৫-০৮-০৮ polashsl@yahoo.fr


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment