Kalam Dadi: wife of freedom fighter

Kalam Dadi: wife of freedom fighter

মুক্তিযুদ্ধে শহীদের স্ত্রী এখন ফেরিওয়ালা!!!জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রাপ্যটা আমরা এভাবে দিলাম!?

কোন পেশাকেই ছোট করে দেখা উচিৎ নয়, কলম বিক্রিটাও অসম্মানজনক পেশা নয়।কিন্তু অর্থের অভাবে দোকান দিতে না পেরে একজন বয়োবৃদ্ধার পক্ষে রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কলম বিক্রি করা সত্যিই খুবই কষ্টকর।ঠিক তেমনি আমাদের নাসেরা বেগম ২২টি বছর ধরে করছেন।৭৩ বছর বয়সী এই হৃদরোগী একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী বরাবর সাহায্যের আবেদন করেও কোনো ভাতা বা সাহায্য পাননি।যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ‘কলমদাদি’ নামে পরিচিত।

জানা গেছে, নাসেরা বেগম ১৯৬৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্সসহ মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ১ এপ্রিল ব্যাংক কর্মকর্তা স্বামী চান মিঞাকে হানাদার পাকিস্তান বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করে। গতকাল চোখ মুছতে মুছতে নিজের জীবন কাহিনী শুনাচ্ছিলেন কলমদাদি। তিনি জানান, এখন হৃদরোগসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। নাসেরা বেগমের জন্ম ১৯৩৮ সালে নাটোরের কান্দিভিটা গ্রামে। নাটোর গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। লেখাপড়া শেষে কর্মজীবন শুরু করেন একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে। ১৯৬৯ সালে হাবীব ব্যাংকের (বর্তমান অগ্রণী ব্যাংক) কর্মকর্তা চান মিঞার সঙ্গে বিবাহ হয়। ভালোই চলছিল নাসেরা বেগমের সংসার। স্বামীকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন নাসেরা। পরে আর বিবাহ করেননি। ১৯৮৫ সালে খুলনা মেমোরিয়াল হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পালনকালে ধরা পড়ে তার হার্টের ভাল্ব নষ্ট। বাধ্য হয়ে চাকরি ছেড়ে ১৯৮৭ সালে ঢাকায় এসে কল্যাণপুর কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি নেন অপেক্ষাকৃত কম পরিশ্রমে। অসুস্থতার জন্য সে চাকরিও ছেড়ে দিতে হয়। জমানো টাকা দিয়ে কল্যাণপুরের রাজিয়া সুলতানা রোডে একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের দোকান দেন। একপর্যায়ে তাকে দোকানও বিক্রি করতে হয়। এর পর শুরু হয় রাস্তায় ঘুরে ঘুরে কলম বিক্রির সংগ্রামী জীবন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ১৯৮৯ সাল থেকে শহরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কলম বিক্রি শুরু করেন। অসুস্থতার কারণে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়া সম্ভব হয় না বলে জানান। নাসেরা বেগম বলেন, ২০০৭ সালে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এরশাদ রহমান নামে এক ডাক্তার তাকে মিরপুর হার্ট ফাউন্ডেশনে চিকিৎসা দেন। তার হার্টে ৫টি ব্লক ধরা পড়ে। এরপর ওই ডাক্তারের বোন সঞ্জিতা রিমা ওষুধ বাবদ মাসে ১৫০০ টাকা করে দিতেন। গত ২ বছর ধরে কারও কাছ থেকে কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পান না। নাসেরা বেগম বলেন, বুকে ব্যথার কারণে কথা বলতে খুব কষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধে স্বামী হারানো একজন উচ্চশিক্ষিত বয়োবৃদ্ধা অসুস্থ নারী হিসেবে বিবেচনা করে যাতে বয়স্ক ভাতাসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা তাকে প্রদান করা হয়।
কলমদাদিকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-অ্যাকাউন্ট নম্বর-২০৮২১৮, অগ্রণী ব্যাংক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।

আরো একটি স্বাধীনতার মাস চলছে,প্রকৃতঅর্থে স্বাধীনতার বাহকদের আজো কি আমরা কি যথার্থ মূল্যায়ন করতে পেরেছি??
করতে কি পেরেছি প্রকৃত যুদ্ধাপরাধীদের বিচার??একজন দেশপ্রেমী সচেতন নাগরিক হিসেবে নিজের বিবেকের কাছে একটিবার জিজ্ঞেস করে দেখুন….
আমরা সকলে কি পারি না অসহায় এ নারীর পাশে এসে দাড়াতে??
সে যার অবস্থান থেকে যতটুকু পারি সাহায্যের হাত প্রসারিত করতে….
যার স্বামী দেশে জন্য সর্বোচ্চো আত্মত্যাগে কুন্ঠিত হয়নি আমরা আজ তার এই প্রতিদান দিচ্ছি!!!

সত্যি আমরা বড় স্বার্থপর জাতি…..

Original source at http://www.somewhereinblog.net/blog/Osamajik007007/29344537

2011/pdf/91167_kalam_dadi_wife_of_freedom_fighter_430210694.pdf ( B) 


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment