প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলাতে পারলেন না? মতিউর রহমান

প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলাতে পারলেন না? মতিউর রহমান

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এক মাসের মাথায় আবারও ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে। গত সোমবার এই সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১৫ জন। এ সময় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষকের বাসায় ভাঙচুর চালিয়েছে। রেহাই পায়নি নিরীহ শিক্ষার্থীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন এসব তান্ডব চলছিল তখন সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্িথত ছিলেন। তাঁরা সন্ত্রাসীদের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন নীরব দর্শকের মতো। এর আগে ১৪ ও ১৬ জানুয়ারিও সেখানে এই দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়েছিল। তখনো পুলিশের ভুমিকা ছিল একই রকম।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগ এ ধরনের সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু করে। দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দখল ও সন্ত্রাসে জড়িয়ে পড়ে। তখন (১৯ জানুয়ারি, সোমবার) আমরা লিখেছিলাম “প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলান”। কিন্তু গত সোমবারের সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখন আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী কি ছাত্রলীগকে সামলাতে পারছেন না?

“দিনবদলের সনদ” নিয়ে আওয়ামী লীগ বিপুল বিজয়ের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। ক্ষমতায় আসার পরপরই ক্ষমতাসীন দলটির ছাত্রসংগঠন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল প্রভৃতি নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ার খবর আমরা পাচ্ছি। ২৯ ডিসেম্বরের সফল সাধারণ নির্বাচনের পরের দিন থেকে এক পক্ষকালের মধ্যে ঢাকা এবং এর বাইরে অনেকগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে প্রায় ২০০ জন আহত হয়। এক মাস আগে আমরা ছাত্রলীগের এ ধরনের কর্মকান্ড সম্পর্কে সরকার তথা আওয়ামী লীগকে সতর্ক করেছিলাম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে “সংঘর্ষের পেছনে ১০ কোটি টাকার টেন্ডার ভাগাভাগি”সবিস্তারে এমন প্রতিবেদন ছাপিয়ে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণও করেছিলাম।

তখন ওই সব ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ও অন্য মন্ত্রীরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড নিয়ন্ত্রণ বা বন্ধের চেষ্টা করছিলেনএমন খবর গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে এসেছিল; কিন্তু এসবে তেমন কোনো ফল হয়নি। গত মাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কার্যক্রম এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। আর সতর্ক করা হয়েছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগকে। কিন্তু এসব স্থগিতাদেশ বা সতর্কবাণীতে কাজ হয়নি। বরং আরও একধাপ এগিয়ে এক মাসের মাথায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আরও বেপরোয়াভাবে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ বন্দুক নিয়ে সশস্ত্র সংঘর্ষে নেমে পড়ে। এবারও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যক্রম আরও এক মাসের জন্য স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। তখনো আমরা প্রশ্ন তুলেছিলাম, স্থগিত বা সতর্ক করার পরও অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে কি না। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করলাম, আমাদের আশঙ্কাই সত্য হলো। কোনো পরিবর্তন হলো না।

এখানে আবারও আমরা উল্লেখ করতে চাই যে ২০০১ সালের ১ অক্টোবরের জাতীয় নির্বাচনের ৩৫ দিন পর ওই বছরের ১৫ নভেম্বর খালেদা জিয়ার উদ্দেশে মন্তব্য প্রতিবেদনে লিখেছিলাম, “প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রদলকে সামলান”। ১৭ নভেম্বর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যক্রম স্থগিত করা হয়; কিন্তু ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ হয়নি। ২০০৩ সালে দুই বছর পর আবারও লিখতে বাধ্য হয়েছিলাম “প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রদলকে সামলাতে পারলেন না?” ঠিক একইভাবে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার ১৫ দিনের মাথায় ১৯ জানুয়ারি (সোমবার) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে একই শিরোনামে একই রকম আহ্বান জানিয়েছিলাম। সেই লেখাও খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে দুটি লেখার উদাহরণ টেনে বলেছিলাম, “আমরা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার বলতে চাই, ছাত্রলীগকে সামলান। যেন এ বছরই কিংবা আগামী বছর আমাদের আবার বলতে না হয়, “প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলাতে পারেননি?”

এক মাসের আগের সেই লেখার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সতর্ক করা আমাদের উদ্দেশ্য ছিল, যাতে তিনি এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য যে তিনি বা তাঁর সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে বা দলীয় কর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাই বছর নয়, মাত্র এক মাসের মাথায় এই অনাকাঙ্ক্ষিত লেখাটি লিখতে হচ্ছে যে “প্রধানমন্ত্রী, ছাত্রলীগকে সামলাতে পারলেন না?”

জাতীয় পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত খবর পর্যালোচনায় এক হিসাবে দেখা গেছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরদিন গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের মধ্যে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যে সংঘর্ষে কয়েক শ জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়েছে অন্তত ৭০ জন। এ ছাড়া সংঘর্ষ হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিএল কলেজ ও ময়মনসিংহে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সংঘাতের সংবাদ আসছে।

আমরা দেখেছি, প্রতিটি সন্ত্রাসী ঘটনার পর টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন কঠোর ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে “নির্দেশ” দেন। কিন্তু সেসব “নির্দেশে”র কোনো বাস্তব প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই না। উল্টো গত সোমবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনেই ছাত্রলীগের কর্মীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের সহায়তায় ছাত্রলীগের সভাপতির নেতৃত্বাধীন একটি অংশ ক্যাম্পাসের সব কটি হল দখলে নিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। তবে কি পুলিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশ মানছে না? নাকি সরকারদলীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ভয় পাচ্ছে? নাকি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এসব নির্দেশ ও হুঁশিয়ারি শুধু টেলিভিশনে প্রচারের জন্য লোক দেখানো?মানুষের মধ্যে এসব প্রশ্ন উঠেছে।

এর মধ্যে পুরান ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দখল হয়ে গেছে। যাত্রী পরিবহন কাউন্টার নিয়ন্ত্রণের জন্য জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরে নিরাপত্তাকর্মীদের সামনে শ্রমিক লীগ ও যুবলীগ মারামারি করেছে। যুবলীগ নেতার নেতৃত্বে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের চিকিৎসকদের ক্যান্টিন দখল করা হয়েছিল। বিভিন্ন জেলায় ট্রাক-বাস-টেম্পো স্ট্যান্ড এবং হাট-ঘাট-বাজার দখলের ঘটনা ঘটেছে ও ঘটছে। এসবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ আবার কোথাও কোথাও শ্রমিক লীগেরও নাম আসছে। আর এ সবকিছুর পেছনে তো রয়েছে আওয়ামী লীগ।

নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই চাল, আটা, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। নিম্নবিত্ত মানুষের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। সার ও ডিজেলে বড় ধরনের ভর্তুকি দেওয়ায় কৃষি উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, যুবলীগ-শ্রমিক লীগের দখল-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের কারণে নতুন সরকারের দুই মাস না পেরোতেই জনমনে অস্বস্তি ও আতঙ্কজনক পরিস্িথতি তৈরি হয়েছে। সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্িথতির অবনতি হচ্ছে, খুন-সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। অথচ চাঁদাবাজি-সন্ত্রাস বন্ধের অঙ্গীকার করে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে।

স্বাধীনতার পর থেকেই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে-শিক্ষাঙ্গনে ভয়ঙ্কর সব খুনোখুনি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, অপহরণ এসব চলছে। সব সরকারের আমলে এ সবকিছু হয়েছে। অতীতের গৌরবোজ্জ্বল ছাত্ররাজনীতির নামে এসব মেনে নেওয়া হয়েছে। সব সরকার, রাজনৈতিক দল এবং শিক্ষকসমাজ এগুলো মেনে নিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে তারা সহযোগিতা করছে। এভাবেই সারা দেশের বড় বড় পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি দানবীয় রূপ নিচ্ছে।

আমরা দেখেছি, সামরিক-বেসামরিক রাজনৈতিক সরকার এবং রাজনৈতিক দল ছাত্রদের ব্যবহার করেছে নিজেদের দলীয় সংকীর্ণ স্বার্থে। দশকের পর দশক ধরে একই ধরনের ঘটনা ঘটছে। স্বাধীনতার পর থেকে এ পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাসী ঘটনায় কয়েক শ ছাত্র মারা গেছে। আহত হয়েছে অগণিত। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেশনজট বেড়েছে। সাধারণ ছাত্রদের শিক্ষাজীবন বর্ধিত হচ্ছে। অভিভাবকদের উদ্বেগ বাড়ছে। দুই-তিন দশক ধরেই ছাত্ররাজনীতি দেশের অগ্রগতির জন্য অন্যতম বাধা হয়ে আছে। এ রকম চলতে পারে না। চলতে দেওয়া যায় না।

বিগত দশকগুলোতে দেশজুড়েই ছাত্রসংগঠন আর আন্দোলনের নামে যে ধরনের হত্যা আর খুনোখুনি, চাঁদা আর টেন্ডারবাজি, হল দখল আর পাল্টা দখল, ধর্মঘট-অবরোধ হয়েছে; এখনো যা আবার নতুন করে শুরু হয়েছে, তাতে এ প্রশ্নই আবার নতুন করে উঠেছে যে এই ধরনের ছাত্রসংগঠন আর ছাত্র-আন্দোলন কি আদৌ প্রয়োজন আছে দেশে? এই ধরনের ছাত্রসংগঠন আর ছাত্র-আন্দোলনের কারণে দেশের অপূরণীয় ক্ষতিসাধন হতেই থাকবে? এসবের দায় কে বহন করবে? আমরা সবাই মিলে কি এই ছাত্রসংগঠন আর ছাত্র-আন্দোলনের নামে এই দানবকে মেনে নেব?

এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তাঁর সরকার ছাত্রসংগঠন আর ছাত্র-আন্দোলনের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে এখনই সংসদে আলোচনা করতে পারে। বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়গুলোতে মতৈক্যের ভিত্তিতে একটি সিদ্ধান্তে আসা এখন জরুরি জাতীয় কর্তব্য। ছাত্রসংগঠন আর ছাত্র-আন্দোলনের চাঁদা, সন্ত্রাস, গোলাগুলি আর খুনোখুনি−এসব প্রতিরোধের ওপর বর্তমান সরকার এবং দেশের ভবিষ্যৎ বহুলাংশে নির্ভর করছে। প্রধানমন্ত্রী জরুরিভাবে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন।

বর্তমান সরকার যদি সত্যিই সমাজ ও রাষ্ট্রে পরিবর্তন চায়, “দিনবদলের সনদ” কার্যকর করতে চায়, তাহলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সব ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সন্ত্রাস, দখল, চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। যারাই সন্ত্রাসের সঙ্গে যুক্ত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এই ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ দিয়ে “দিনবদলের অঙ্গীকার” বাস্তবায়ন আদৌ সম্ভব কি না, প্রধানমন্ত্রীকে গভীর আর নির্মোহভাবে তা ভেবে দেখতে হবে।

আজ ছাত্রলীগের ৬১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। “এসো দিনবদলের যোদ্ধা হই”এই আহ্বানকে সামনে রেখে পল্টন ময়দানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুনর্মিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে “আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার” হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তিনি আবার ছাত্রলীগের “সাংগঠনিক নেত্রী”। জাতীয় নির্বাচনে বিপুল বিজয় এবং সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রথম কোনো প্রকাশ্য জনসভায় যোগ দিচ্ছেন। ছাত্রলীগের এই সভায় তিনি কী বলেন, কী বার্তা দেন ছাত্রলীগ এবং অন্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর জন্য, তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম আমরা। শেখ হাসিনা “ছাত্রলীগকে সামলাতে পারলেন না” বা “পারছেন না”এ কথা আমরা এত তাড়াতাড়ি বলতে চাই না। আমরা আরও কিছু সময় অপেক্ষা করতে চাই। দেখতে চাই, প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে কীভাবে সামলান, কতটুকু সামলান।

মতিউর রহমান: সম্পাদক, প্রথম আলো। | Link requested by Borhanuddin Shafi


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment