বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে শূন্য অভিকর্ষে ভাসলেন এফ আর সরকার
বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী এফ আর সরকার বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীর বায়ুম-লের ওপর শূন্য অভিকর্ষের শিহরণ অনুভব করলেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির জেনারেল সেক্রেটারি ও বিশিষ্ট জ্যোতির্বিজ্ঞানী এফ আর সরকার বাংলাদেশের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে পৃথিবীর বায়ুম-লের ওপর শূন্য অভিকর্ষের শিহরণ অনুভব করলেন। ২৪ মে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাস ম্যাকক্যারান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে প্লেনে করে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৬২ মাইল উচ্চতায় প্যারাবোলিক (ওপর-নিচ) উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে মহাকাশের শূন্য অভিকর্ষ অনুভব করেন। ‘জিরো গ্রাভিটি করপোরেশন’ পরিচালিত ‘জি ফোর্স-ওয়ান’ নামে একটি বোয়িং ৭২৭ প্রায় ৯০ মিনিট ধরে দ্রুতগতিতে ৪৫ ডিগ্রি কোণে ওঠানামা করে ১৫ বার প্লেনের ভেতরে শূন্য অভিকর্ষের সৃষ্টি করে।
এর ফলে এতে অবস্থিত সব যাত্রী ওই সময়ে পাখির মতো ভাসতে থাকেন এবং নিজের শরীরকে সম্পূর্ণ ভরশূন্য অনুভব করেন। এ সময় প্লেনের ভেতরে চাঁদের তুলনায় ১/৬ ভাগ এবং মঙ্গল গ্রহের তুলনায় ১/৩ ভাগ অভিকর্ষ অনুভূত হয়। যাত্রীরা বেশ সহজেই অনুভব করেন ভবিষ্যতে মানুষ চাঁদে বা মঙ্গল গ্রহে গেলে কি ধরনের অভিকর্ষ চাপের সম্মুখীন হবে।
জিরো-জি (http://www.gozerog.com/) প্রতিষ্ঠানটি আগে নাসার নভোচারীদের প্রশিক্ষণ হিসেবে এ ধরনের ফ্লাইট চালাতো। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন প্রশাসন জিরো গ্রাভিটি করপোরেশন নামে বেসরকারি এ প্রতিষ্ঠানটিকে মহাকাশের প্রতি উৎসাহী সাধারণ জনগণের এই ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেয়।
প্রখ্যাত জ্যোতিঃপদার্থবিদ স্টিফেন হকিং ২৬ এপ্রিল এই জিরো গ্রাভিটি বিমানে ভ্রমণ করেছিলেন। বাংলাদেশ থেকে এফ আর সরকারই প্রথম এ ধরনের একটি মহাকাশ অভিযান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা অংশ নিলেন। তিনি মন্তব্য করেন, মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য এটি হচ্ছে একটি ক্ষুদ্র পদক্ষেপ। তিনি আশা করেন, তার এই জিরো গ্রাভিটি ফ্লাইট দেখে দেশের তরুণ প্রজন্ম মহাকাশ বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহী হবে এবং অদূর ভবিষ্যতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে মহাকাশ বিজ্ঞানে তারা নিজেদের উপস্থাপন করতে সমর্থ হবে।
উল্লেখ্য, এফ আর সরকার বাংলা ভাষায় প্রকাশিত ইন্টারনেটভিত্তিক সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘মহাকাশ সংবাদ’ (www.mohakashsongbad.com)-Gi- এর সম্পাদনা ও প্রকাশনা চালিয়ে আসছেন।
মূল প্রকাশনা | লিংক সাহাদৎ মানিক