হ্যালো ব্রাদার

হ্যালো ব্রাদার
আমি আমার এই জীবন্ত পৃথিবীতে মাথা নোয়াতে এসেছি
কৃতজ্ঞতা জানাতে এসেছি এই প্রকৃতির মানবের অংশদারিত্বে
এসেছি শ্রষ্টাকে সেজদায় রেখে তার এই অপূর্ব সৃষ্টির গুণগানে ;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
আমার বুকের দিকে তেড়ে আসা তোমার এক ঝাঁক বুলেট ও,
আমার ঝাঁজরা হয়ে যাওয়া বুকের রক্তে কেন জানি
তোমার জন্যে কোনো ঘৃণা এখনো খুঁজে পায়নি;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
আমি তখনও নামাজে দাঁড়িয়ে, তোমার মুহুর্মুহ গুলির শব্দ
পারেনি আমাকে, তোমার জন্যে প্রার্থনা থেকে সরিয়ে নিতে!
আমি চাইনি অন্ধকারকে জয়ী করে, পরাজিত করতে তোমায়
দেখো তোমার বুলেটের আঘাতে যে রক্ত – তার রংটা কেমন;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
আমার বুকের ভিতরে আমার বাচ্চাটাকে খুব করে
আঁকড়ে ধরে আছি – সে যেন তোমাকে বা তোমার বুলেটকে
দেখতে না পায়! চোখের ঘৃণা বা মনের অন্ধকার
আমি চাইনি তোমার জন্যে সে কোনো ঘৃণা খুঁজে পাক;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
আমিই সেই ভাই যে তোমাকে নিবৃত করার চেষ্টা করেছি
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম তোমার অন্ধকারের উপর, আলোকিত করতে
তোমার অন্ধকারে আলো জ্বালাতে, আলোটা তোমার চোখে ছড়িয়ে দিতে
চাইনি ওই অন্ধকারে তুমি থাকো, গিলে খাক ওই অন্ধকার আজীবন তোমায়;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
তোমার অজস্র গুলির আঘাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে আছি আমি
আমার মৃত্যুতে আমার মুখায়বে তোমার মায়ের ছবি ফুটে উঠেছিল
জানি তোমার মনের সেই গভীর অন্ধকারও সে ছবি নিতে পারতো না
শুধরানোর আগে, আমি চাইনি তুমি আত্ম হন্তারক হও;
তোমার উপর শান্তি বর্ষিত হউক!
হ্যালো ব্রাদার
জুম্মা মোবারক!

ক্যানবেরা
১৮/৩/২০১৯
Related Articles
আহা! – দিলরুবা শাহানা
সন্ধ্যা ছিল মনোরম, খাবারদাবার সবই মনোহর, দাওয়াতীরা খোশগল্পে মশগুল , অল্পস্বল্প গল্প সব নিয়ে চলছিল। রবীন্দ্রনাথ থেকে ফুলসজ্জা সব সব
প্রেমিকা
প্রেমিকা হয় স্বচ্ছ লেকের মতো প্রেমিকা হয় বৃষ্টির মতো প্রেমিকা হয় ক্যানভাসের মতো প্রেমিকা হয় আল্পনার মতো প্রেমিকা হয় বেহালার
আমি আর যাব না
না, যাব নাতোমার সাথে আমি আর যাব না;না ডাকাতীয়ার পাড়ে, না ধুলু মাখাপ্রিয় মেঠ পথ ধরে, না বর্ষা, না বসন্তকোন