দৈব ক্রমে

ভাবি একদিন মন ভরে
আদর নেবো
বেশী বেশী বাড়াবাড়ি রকমের,
তুলতুলে বালিশে হেলান দিয়ে
তোমার দুদ্দার প্রেমের গল্প শুনবো।
ডাগর চোখে তোমার দিকে
তাকিয়ে থাকবো
বুঝতে চেষ্টা করবো তোমার
আবেগের পরত কতটা পুরু।
তাকিয়ে থাকতে থাকতে তোমার উপরে
কাম জাগবে ঝড়ের বেগে
তারপর আলিঙ্গন চাইব
শীতের রাত টেনে এনে লুটিয়ে
দেবো তরঙ্গ, শীতল পাটিতে ।
তুমি চাইবে মিশ্র ধাতু ঠোঁটের
বোতলে
ঢেলে দেবো অম্লজান, উদজান,
ছলাকলার রঙ তামাশা।
তুমি আরও চাইবে
উমরাহ জান হয়ে ঢেলে দেবো সুরা
দেবো নাচের মুদ্রা,
হারমোনিয়ামের বাক্স থেকে
বের করে দেবো সহস্র সুর ।
ফেলে যাওয়া প্রেমের ঘ্রাণ উথলে
উঠলে প্রাণে
অশত্থের উঁচু ডালে
চোখের তারা কাঁপবে,
দরজা খুলে আনতে ছুটবে ঝুড়ি ঝুড়ি
বেলিফুল, সুগন্ধি মোম, আর রাত্রি
কালের গান ।
ছাদের ঘরে বৃষ্টির ঘুম পাড়ানি শুনাবো
ঘুলঘুলি খুলে ,
তুমি যতই কবি গানের টালবাহানায়
কাটাবে সময়
আমার শালগাছ ততক্ষণে সাবালক সবুজ
পাতা ছড়াবে ।
দেখা থেমে যাবে, খেলা থেমে যাবে
বরেন্দ্র অঞ্চলের গম্ভীরায়
যোগিনীর দেহে খিস্তি খেঁউড়ের
অঙ্গ বস্ত্রে জড়াবে ,
ভোরের দোয়েল পাখি বাক্যবন্ধ
পাঠ করবে।
প্রকৃতি জানে দেহের সাথে মনের
এই যে নভোযান
ঘটা করে মেলেনি,
মিলেছে দৈবক্রমে!


Najmin Mortuza
দার্শনিক বোধ তাড়িত সময় সচেতন নিষ্ঠাবান কবি। চলমান বাস্তবতাকে ইতিহাস-ঐতিহ্যের পরম্পরায় জারিত করে তিনি কাব্য রূপান্তরে অভ্যস্ত। কাব্য রচনার পাশাপাশি ক্ষেত্রসমীক্ষাধর্মী মৌলিক গবেষণা ও কথাসাহিত্য সাধনায় তাঁর নিবেদন উল্লেখ করার মতো। গবেষণাকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত ফোকলোর ও লিখিত সাহিত্যঃ জারিগানের আসরে "বিষাদ-সিন্ধু" আত্তীকরণ ও পরিবেশন পদ্ধতি শীর্ষক গ্রন্থের জন্য সিটি-আনন্দ আলো সাহিত্য পুরস্কার ২০১২ অর্জন করেছেন।
Related Articles
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা মহা ধূমধাম, মা লক্ষ্মীর চরণেতে জানাই প্রণাম। বিষ্ণুর বনিতা তুমি রূপে অনুপমা, বিশ্বজুড়ে
মনসার ভাসান গান
মনসার ভাসান গান লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) মনসার ভাসান গান শুনি বসে আটচালার ঘরে, করুণ সুরে বাঁশি বাজে, চোখ
বৃষ্টি যখন – নদীটা কোথাও আছে
হাজার বছর ধরে বৃষ্টি আমি ঝরছি অঝর ধারায় ঝরছি তো ঝরছিই… মাঠ ঘাট শস্য লোকালয় কিছুই বাকি থাকে না; ভেসে