আমার প্রিয় শহর

জমে গেছি !
এখন আর আকাশ দেখি না
এখন আর পাখি দেখি না
না চাঁদ, না জোঁনাকি, না তাঁরা ভরা রাত
দেখি না – দেখা হয় না
দেখা হয়ে উঠে না – নোংরা আবর্জনার আচ্ছাদিত এই শহর আমার।
শুনেছি পরিমণ্ডল, পরিবেশ – সেই আগের পৃথিবী নেই আর
শুনেছি ওরা এখন দাঁপিয়ে বেড়ায় কৃষ্ণ গহ্বর বুকে নিয়ে – বুক উঁচিয়ে
ওদের পকেট বন্ধি থাকে চাঁদ, সূর্য, তাঁরা, পৃথিবীর যত সৌন্দর্য
আমাদের শ্রেষ্ঠ কবিদের যত স্বপ্ন আর প্রার্থনা
শুনেছি বণিকেরা এখন লিখে
লিখে যায় সময় চিহ্ন – সংস্কৃতির সাতকাহন
শুনেছি লেখকেরা এখন বণিকদের লেখা পড়ে মুগ্ধ হয়
এ ভাবেই লেখক বণিকদের সময় কাটে এই শহরে!
মাঝখানে বসে সারমেয় লুব্ধক’রা চোঁখে চোখ রেখে
গণিকা’রা চোঁখ টিপে যায় অহরহ – কামুক হাসি হাসে !
আমি ভয় পেয়ে যাই – এই প্রিয় শহরের নিকষ অন্ধকারে।
দিনের বেলাতেও – সারা শরীর ঢেকে রাখি – রাখতে হয়
হীম শীতল বাতাস শানিত ছুরি’র মত
চামড়া ভেদ করে ছুঁয়ে যায় সংবেদনশীল স্নায়ুগুলো !
কখনো সখনো একটু আধটু কেঁপে উঠি – আবার জমে যাই
হে কালের মহা কবি, আমার এই কবিতা – তোমার জন্যেই লেখা।
তোমাতেই আমি দেখি রবি ঠাকুর’কে
তোমাতেই আমি দেখি নজরুল কিংবা জীবনানন্দ
কিংবা কবিদের স্বপ্ন ভরা এক বঙ্গবন্ধু!
সেই যে বলেছিলাম – কখনো সখনো একটু আধটু কেঁপে উঠি
সে সময়ই এই লেখাটি লিখেছি তোমার জন্যে;
বুকের ভেতরকার কলম মানুষটা বের করে নিয়ে আসার
এখনই শ্রেষ্ঠ সময় – বন্দী বিবেক, জীবিত থাকে না মানুষ আর!
জাগ্রত হও – হে আমার বিবেক, হে আমার মহা কবি
এখনই শ্রেষ্ঠ সময়, আমার এই প্রিয় শহরকে বাঁচানোর!
সাহাদাত মানিক
ক্যানবেরা
২০/০৬/২০১৮
Related Articles
পূজোর সানাই বাজে
পূজোর সানাই বাজে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) গাঁয়ের পথে সারি সারি চলে কত গরুর গাড়ি। রাঙা মাটির পথ
আহা! – দিলরুবা শাহানা
সন্ধ্যা ছিল মনোরম, খাবারদাবার সবই মনোহর, দাওয়াতীরা খোশগল্পে মশগুল , অল্পস্বল্প গল্প সব নিয়ে চলছিল। রবীন্দ্রনাথ থেকে ফুলসজ্জা সব সব
ভোর হয় সুর্যি ওঠে
ভোর হয় সুর্যি ওঠে লক্ষ্মণ ভাণ্ডারী (নবাগত কবি) ভোরের বেলা কোকিল ডাকে আমকাঁঠালের শাখে শাখে, তালখেজুরের গাছের পাতায় রাতের