দুঃখ – শিশির পথচারী
(একটি বেদনা বিধুর অভিব্যক্তির স্বরলিপি । তাবৎ নিপীড়িত সংখ্যালঘু মানুষের বিদীর্ন হূদয়ের মলিন ক্যানভাসে রক্তবর্ণে খচিত।)
দুঃখ আমাকে দুঃখী করে
কষ্টে কাঁদি চুপিসারে
বুকের পাঁজরে সইছি আঘাত
বড় বেদনার ভারে।
হিংসা ঘৃনার নিষ্ঠুর দাবানলে
মন – মান -অধিকার দগ্ব হলে
রিক্ত পীড়িত শঙ্কিত একাধারে
এক জীবনেই বারেবারে।
বুকের পাঁজরে সইছি আঘাত
বড় বেদনার ভারে ।
সহিষু- সমতার সাবলীল ভূবনে
নিরন্তর সম্প্রীতির অনন্য বাঁধনে
সকলের মাঝে থাকতে চেয়েছি , মিলেমিশে এক হয়ে
ধর্ম – বর্ণ – বৈষম্যের উর্ধে , শুধু মানুষের পরিচয়ে
বঞ্চিত করে পড়শি আমারে
শক্তি সামর্থের অহংকারে ।
বুকের পাঁজরে সইছি আঘাত
বড় বেদনার ভারে ।
আজন্ম অভিশাপে করুণা কুড়াই
নিজেকে গুটিয়ে ক্ষীন করি তাই
উদার প্রসারিত বাহু আসে ফিরে ফিরে
বাধায় বিমূখ হয়ে ঈর্ষার প্রাচীরে
লজ্জার আবরণে পড়েনা ঢাকা , দগদগে জখমের চিহ¡খানি
বৃথা অনূনয়ে ভীষণ বিব্রত , উদাত্ত মানবতার অমৃত বাণী
পদে পদে অসাম্যের প্রসারে
ভীত রই সদা সংসারে ।
বুকের পাঁজরে সইছি আঘাত
বড় বেদনার ভারে ।