সিডনিতে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি সাংবাদিক রহমান পিয়ার

সিডনিতে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি সাংবাদিক রহমান পিয়ার

দূর্ভাগ্য ছাড়ছেনা সিডনিতে গ্রেফতারকৃত বাংলাদেশি সাংবাদিক রহমান পিয়ারের! সে জন্যে এখনও তিনি নিউসাউথ ওয়েলস পুলিশের একটি কারেকশনস সেন্টারে বন্দী আছেন। উল্লেখ্য বিশ্বকাপ কভার করতে সিডনি আসার পথে বিমানে এক কোরীয় তরুনীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে গ্রেফতার হন পিয়ার। আদালত তাকে জামিন দিলেও তার ভিসা বাতিল করেছে অস্ট্রেলিয়ান ইমিগ্রেশন বিভাগ। কিন্তু আইনি জটিলতার কারনে এখনও তাকে ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন সেন্টারে স্থানান্তর করা যায়নি।

উল্লেখ্য গত সোমবার আদালতে জামিনে মুক্তির আবেদনের সময় রাশেদ শ্রাবন ও সাইফুল ইসলাম নামের দুজন পিয়ারের জিম্মাদার হন। এরজন্যে দুজনেই ২ হাজার ডলার করে ৪ হাজার ডলার জমা দেন সংশ্লিষ্ট আদালতের অফিসে। পিয়ারের সঙ্গে থাকা ডলার থেকেও ২ হাজার ডলার একই কর্তৃপক্ষের কাছে বন্ড হিসাবে জমা করা হয়েছে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট আদালত অফিস থেকে জিম্মাদারদের টাকার উৎস নিশ্চিত হতে তাদের ব্যাংক হিসাব জমা দিতে বলা হয়। এসব হিসাবের আইনগত পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পিয়ারের জামিন কার্যকর হলেও এখন তার মুক্তি মিলবেনা। তাকে নিয়ে যাওয়া হবে ইমিগ্রেশনের ডিটেনশন সেন্টারে।

অস্ট্রেলিয়ায় এসব ডিটেনশন সেন্টারের বন্দীদের মোবাইল ফোন, প্রতিদিন এক ঘন্টা সময় ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়। সেখানে যাবার পর বাবা-মা, ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে ফোনে-ইন্টারনেটে যোগাযোগ করতে পারবেন পিয়ার। বর্তমান কারেকশনস সেন্টারের তুলনায় ডিটেনশন সেন্টারের পরিবেশও তুলনামূলক উন্নত। সেখানে বন্দীদের নানান খেলাধুলা, পড়াশুনা, টিভি দেখা, জিমের সুযোগ সুবিধা আছে। তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি বন্দিদের সেখানে সপ্তাহে হাতখরচের ডলারও দেয়া হয়। উল্লেখ্য ইমিগ্রেশন বিভাগে পিয়ারের বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই। ২০১৪ সালের একটি আইনি বলে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ তাকে তাদের জিম্মায় নিয়ে যাচ্ছে। ওই আইনে স্বল্প মেয়াদি ভিসায় আসা কারো বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ পাওয়া গেলে তার ভিসা বাতিলের ক্ষমতা ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়া হয়েছে। পিয়ারের বিরুদ্ধে আনা ফৌজদারি অভিযোগের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে থাকতে হবে সিডনির ভিলাউডের ডিটেনশন সেন্টারে।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment