National Mourning Day program news by Bonga Bondhu Parishad
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় শোক দিবস পালন
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৩রা সেপ্টেম্বর বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়া লাকাম্বা লাইব্রেরি হলে এক কর্মসূচি পালন করে। শোক দিবসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল দোয়া, আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। জাতীয় শোক দিবস ২০১১ উপলক্ষে “হৃদয়ে শেখ মুজিব” নামে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়।স্মরণিকাটি ছিল আকর্ষণীয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ থেকে আগত অধ্যাপক ডাঃ সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এবং সমাজ কল্যাণ বিষয়ক উপদেস্টা। সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন Tony Bourke MP, Member for Watson. Federal Minister for Sustainability,Environment,Water,Polution and Communities.
বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন Ms Michelle Rowland, Federal MP for Greenway. Guest Speaker হিসাবে বক্তব্য রাখেন ডঃ আতিক ইসলাম, প্রোঃ ভাইস চেন্সেলর ,Edith Cowan University,WA এবং ডঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, Griffith University, Queensland.
বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত-সভাপতি ডঃ রতন কুণ্ডের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ও সাধারন সম্পাদক ডাঃ লাভলী রহমানের উপস্থাপনায় জাতীয় শোক দিবসের বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডাঃ নুরুর রহমান খোকন।
বাবা দিবসে বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন ফেডারেল এম পি Michelle Rowland. Michelle বলেন Fathers Dayর মত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিনে এমন একজন মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পেরে আমি গৌরববোধ করছি। স্যালুট টু ইউ আওর গ্রেট লিডার। সিডনির গ্রীনওয়ে থেকে নির্বাচিত ফেডারেল এম পি Michelle বলেন, আমার বাংলাদেশী বন্ধুদের কাছে আমি এই মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শুনি। এরপর তাঁর ব্যাপারে গবেষণা, পড়াশুনা করে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হই। এক বিশাল ব্যাক্তিত্ব , ক্যারিশমা নিয়ে তিনি একটি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছেন। এমন বর মাপের একজন ক্যারিশমাটিক নেতার বিষয়ে এর আগে আমি অনেক বেশি পড়ার – জানার সুযোগ পাইনি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। Michelle বলেন, বাংলাদেশের বাঙ্গালিরা আজ মাল্টিকালচারাল অস্ট্রেলিয়ারই অংশ। আমরা এমন একটি জাতি যারা পরস্পরের গৌরব, আনন্দ-বেদনা ভাগ করে নেই। সে আনুসারে বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদেরও নেতা। বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ানদের জাতির পিতা আমাদেরও পিতা। হ্যাপি ফাদারস ডে টু ইউ । এ সময় হল ভর্তি প্রবাসী বাঙালিরা করতালি দিয়ে Michelleকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধুর প্রতি এক বিদেশিনীর ভালবাসা দেখে আবেগে অনেকের চোখে চলে আসে আনন্দাশ্রু।
প্রধান অতিথি বলেছেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে তৎপর। যারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি তারাই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে সপরিবারে হত্যা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীরা এ দেশকে আবার পাকিস্তানি রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। বাঙালি জাতিসত্তাকে চিরতরে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা বিরোধীদের সে চক্রান্ত সফল হয়নি।
বক্তারা বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত জাতিকে মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধু যেভাবে পুনর্গঠিত করেছেন তার তুলনা বিরল। তিনি দেশপ্রেম, সততা ও দক্ষতা দিয়ে দেশের প্রতিটি সেক্টরকে উন্নয়নের সুবর্ণ শিখরে পৌঁছে দিয়েছিলেন। ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে হত্যা করে তাঁর উন্নয়নের চলমান প্রক্রিয়া স্তব্ধ করতে চেয়েছে। কিন্তু তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বক্তাগন ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে নেত্রিত্ব শুন্য করার জন্
য বিএনপি -জামাত জোট যে চেষ্টা চালায় তার তীব্র নিন্দা জানায় এবং অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে ফাঁসিতে ঝুলানোর জন্য সরকারের প্রতি আবেদন জানায়।
অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের জন্য নৈশ ভোজের ব্যবস্থা করা হয়।