অস্ট্রেলিয়া বিএনপির মহান স্বাধীনতা দিবস ঊদযাপন

অস্ট্রেলিয়া বিএনপির মহান স্বাধীনতা দিবস ঊদযাপন

অস্ট্রেলিয়া থেকে এম.মোরশেদ :

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল(বিএনপি)অস্ট্রেলিয়া শাখার উদ্দ্যোগে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসূচী হাতে নেয়া হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ২৮শে মার্চ ২০১০ রবিবার সিডনির বনফুল রেস্টুরেন্টে এক বিশাল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক এম.এম.সারোয়ার বাবুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড.ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ের চৌধুরী রানা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল অস্ট্রেলিয়া শাখার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো:লুৎফুল কবির।

বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সঙ্গিতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরুর পরপরই বাংলাদেশ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লক্ষ্য শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশে গনতন্ত্র পুনরুদ্ধারের স্বপ্নপুরুষ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধানজলী নিবেদন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি অস্ট্রেলিয়ার যুগ্ম আহ্বায়ক সাবেক ছাত্রনেতা মোসলেহউদ্দিন আরিফের পরিচালনায় আলোচনা সভায় আর ও বক্তব্য রাখেন বিএনপি অস্ট্রেলিয়া যুগ্ম আহ্বায়ক ইব্রাহীম খলিল মাসুদ,জাসাস অস্ট্রেলিয়ার সাবেক সভাপতি নাসিমহোসাইন, অস্ট্রেলিয়া মহিলাদলের সভাপতি লাভলী আলম,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল অস্ট্রেলিয়া শাখার আহ্বায়ক হাফিজুল ইসলাম তারেক, যুগ্ম আহ্বায়ক যুগ্ম আাহ্বায়ক হাসান আল মামুন,এ এন.এম.মাসুম,বিএনপি নিউ সাউথ ওয়েলস শাখার সাধারন সম্পাদক মো: আশরাফুল আলম রনি, স্বেচ্ছাসেবকদল অস্ট্রেলিয়া শাখার সিনিয়র সহ সভাপতি শফিকুল ইসলাম সুমন, বিএনপি নেতা রাশেদুল হক মিলন,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল অস্ট্রেলিয়া শাখার আহ্বায়ক মোস্তফা মোরশেদ নিথুন, যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক,সজীব আহাম্মদ,স্বেচ্ছাসেবকদল অস্ট্রেলিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোনায়েম খান মিশু,মো¯াÍফিজ আল মামুন,আবুল কাশেম প্রমুখ।

প্রধান অতিথি ড.ইঞ্জিনিয়ার হুমায়ের চৌধুরী রানা, শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষক হিসেবে অভিহিত করে বলেন, আওয়ামী লীগ জিয়াকে ভয় পায় বলেই তার নাম মুছে ফেলার রাজনীতি শুরু করেছে। এভাবে নাম বদল করে জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। মেজর জিয়াই একাত্তরে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, এটা সেই সময়ে দেশের মানুষ ও সারা বিশ্বের মানুষ জানে। এই ইতিহাস পাল্টানোর সুযোগ নেই। তিনি সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা, কর্মসংস্থান বিষয়গুলো নিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সরকারের মেয়াদের এক বছর পেরিয়ে গেলেও তারা জনগণের কাছে দেয়া প্রতিশ্রুতির কোনটিরই বাস্তবায়ন করতে পারেনি।

লুৎফুল কবির বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। তাই যদি হতো তাহলে পরবর্তী সময়ে সমঝোতার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনায় বসতেন না। ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণা। আওয়ামী লীগ নেতা এ কে খন্দকার, তাজউদ্দিন আহমেদ, সুবিদ আলী ভুঁইয়াসহ অনেকের লেখনিতেই এর প্রমাণ রয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী ৭১ সালের ৭ নভেম্বর বলেছিলেন, তিনি শেখ মুজিব থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা পাননি। আসলে দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ বিদেশী সমর্থনপুষ্ট সরকার জনগণের দৃৃষ্টি এবং আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ বিষয় নিয়ে বিতর্ক করছে।

মোসলেহউদ্দিন আরিফ, বর্তমান সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন,বর্তমানে নাৎসী কায়দায় যেভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার লক্ষ নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপর হামলা ও একের পর এক মিথ্যে মামলা দায়ের করে যাচ্ছে বলে দাবী করে এর তীব্র প্রতিবাদ জানান।তিনি বিরোধী দলের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ওপর হামলা-মামলা ও নির্যাতনের মতো অপসংস্কৃতি রোধের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের অন্যায়, অপরাধ দুর্নীতির সমালোচনা করলে তাদের ওপর হামলা-মামলা ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়ার এ অপসংস্কৃতি আর কোনো দেশে আছে কি না জানা নেই। এটা কোনো সভ্যসমাজে চলতে পারে না বলে তিনি দাবি করেন।

সভাপতির ভাষনে, এম.এম.সারোয়ার বাবু বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান ,নতুবা অস্ট্রেলিয়া থেকে সমগ্র বহিঃবিশ্বে বর্তমান তাবেদারী বাকশালী আওয়ামী সরকারের কবর রচনার দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।


Place your ads here!

No comments

Write a comment
No Comments Yet! You can be first to comment this post!

Write a Comment