News: A tribute to Rabindranath Tagore
কেক কেটে ক্যানবেরাতে রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন – অজয় কর । ক্যানবেরা থেকে ।
বাংলাদেশ কমুনিটি ক্যানবেরাতে গত ৮মে ২০১১ বাংলাদেশ দূতাবাসের হলরুমে জন্মদিনের কেক কেটে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী পালন করে। বাংলাদেশ থেকে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হায়াত, আর বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বর হোসেন বাংলাদেশ কমুনিটির সাথে জন্মবার্ষিকীর কেক কাটায় অংশগ্রহণ করেন। কবিগুরুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজন করা হয় রবীন্দ্রনাথের উপর আলোচোনা, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি, রবীন্দ্রনাথের গান আর নৃত্য পরিবেশনার।
জন্মবার্ষিকীতে শিশু কিশোরদের পরিবেশনাকে উত্সাহিত করতে উপস্থিত রবীন্দ্র ভক্তদের সহযোগিতা কামনা করে ডঃ অজয় কর তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন রবীন্দ্রনাথের মতো চিন্তাশীল মণিষী ও কর্মযোগীদের জ়ীবনী মানূষকে হতাশার মধ্যে আস্থা ফিরে পেতে সাহায্য করে। ডঃ কামাল ঊদ্দিনের উপস্থাপনায় রবীন্দ্র আলোচনায় অংশ নিয়ে অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল হায়াত বলেন বাংলা সংস্কৃতির প্রসারে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আর বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদের প্রসারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহামান বাঙ্গালীর ইতিহাসে চির স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বীর মুক্তিযোদ্ধা স্থপতি মোবাশ্বর হোসেন বলেন য়ে রবীন্দ্রনাথ বাঙ্গালী চেতনার উত্স। রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্য কোন পথে যাচ্ছে সেটা নিয়ে পর্যালোচনার সময় এসেছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন ডঃ আবেদ চৌধুরী। বাংলাদেশ হাই কমিশনের প্রতিনিধি, কাউঞ্চিলর মোঃ আজাহারুল হক, বাংলাদেশ কমুনিটির উদ্যোগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০তম জন্মবার্ষিকীর আয়োজনকে ধন্যবাদ জানান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিশু কিশোরদের পরিবেশনা- একদিকে সেজুতি, রাদ, আর মাহিনের রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশনা, অন্যদিকে ছোট্ট জ়াহির, ণাফী, অর্নব আর অরোরার রবীন্দ্রনাথের জ়ীবণ, শিক্ষা ও সাহিত্যের উপর আলোচোনা উপস্থিত দর্শকদের দৃষ্টি কেড়ে নেয়। স্থানীয় কন্ঠশিল্পী ডাঃ ডালিয়া নিলুফার, রুপা সরকার, লানা শেখ, এবং সাকিবা রহমানের
রবীন্দ্রসঙ্গীত; ফাহামিদা আরেফিন চৌধুরী লিপি আর সপ্না শাহানাতের রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি; আর শৈলীর নৃত্য পরিবেশনা উপস্থিত দর্শকদের মুগ্ধ করে।
মিসেস শাকিবা রহমানের একক ভাবে রবীন্দ্রনাথের গান পরিবেশনার শেষে তার নেতৃত্বে সমবেত কন্ঠে ‘আমার সোনার বাংলা’ গানটি গেয়ে গানের পর্ব শেষ হলে, উপস্থিত সকলকে ধন্যনাদ জানিয়ে আনুস্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন মিঃ কামরুল আহসান।
অনুষ্ঠান পরিচালনায় বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেন, ডঃ মইন ঊদ্দিন, ডঃ এজাজ আল মামুন, শাহদাত মানিক, আর এউসুফ খন্দকার।